০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২১ শে জুলাইয়ের শহিদ দিবস:  ১২ জুলাইয়ের পর চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করবে তৃণমূল

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৮ জুলাই ২০২৩, শনিবার
  • / 84

ফাইল চিত্র

আবদুল ওদুদঃ ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই এই দিনটিকে তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। বর্তমানে রাজ্যে চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আজ শনিবার ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১১ ই জুলাই পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণা হবে। আর এর পরেই শুরু হয়ে যাবে ২১ শে জুলাইয়ের কাউন্ট-ডাউন। ২১ শে জুলাইয়ের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানকে সফল করতে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার মেয়র তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সির পরামর্শে কাজ শুরু করেছেন ফিরহাদ হাকিম।

কলকাতা পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নিয়ে দিন কয়েক আগে থেকেই ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে দলীয় মিটিংঅনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার একথা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। পুবের কলমককে তিনি বলেন, বর্তমানে পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে রাজ্যে। সুব্রত বক্সি এবং ফিরহাদ হাকিম প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিজেপি সহ বিরোধী দল থেকে প্রায় ১৯০০ জন কর্মী সমর্থকের তৃনমূলে যোগদান

কলকাতার ধর্মতলার কাছে টিপু সুলতান মসজিদ এবং ভিক্টোরিয়া হাউসের মধ্যস্থলে অন্যান্যবারের মতোই বিশাল মঞ্চ তৈরি হবে। কলকাতা পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ভোট প্রক্রিয়া শেষ হলেই জোর কদমে ২১ শে জুলাই শহিদ দিবস উৎযাপনের কাজ শুরু হবে। জয় প্রকাশ মজুমদার বলেন, ১১ জুলাই পঞ্চায়েতের ভোট-এর ফল প্রকাশ হবে। ১২ জুলাই থেকে আমরা ১০দিন হাতে সময় পাবো এর মধ্যেই জেলায় জেলায় প্রচারের কাজ শুরু হয়ে যাবে। ১২ জুলাইয়ের পর থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ২১ শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রচার শুরু হবে। তিনি বলেন, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত বক্সির উদ্যোগে কলকাতায় যে সমস্ত এলাকায় ক্যাম্প করা হয় সেগুলি পরিদর্শন করা হয়েছে। এই ক্যাম্পে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত তৃণমূলকর্মীরা অবস্থান করবেন। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনেও বিশেষ মঞ্চ তৈরি করা হবে। সে’ানে জেলা থেকে আগত কর্মীদের নানা রকমভাবে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও কসবা, বিধাননগর, হাওড়া, ক্ষুদিরাম অনুশীলকেন্দ্র, যুব ভারতী, গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামে রাত্রী যাপন করবেন সে ব্যবস্থাগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

তৃণমুল কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ২১ শে জুলাই কর্মসূচীর জন্য প্রতি বছরই একটি ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয়। সেই ব্লু-প্রিন্ট অনুযায়ী কাজ হয়। আর আমাদের মাথার উপরে রয়েছে সুব্রত বক্সি আর তাঁর নির্দেশেই কাজকর্ম এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এ বারের ২১ শে জুলাই-এর শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে ১০ লক্ষের বেশি জমায়েত করবেন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই জেলায় জেলায় প্রচারের কাজকর্ম শুরু হয়েছে। ১২ জুলাইয়ের পর সেই কাজ আরও চূড়ান্তভাবে শুরু হবে।

আরও পড়ুন: Trinamool Congress: যৌথ সংসদীয় কমিটি বয়কটের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের

উল্লেখ্য,  ১৯৯৩ সালের ২১ শে জুলাই সিপিএম-এর হার্মাদের হাতে ১৩ জন নিরীহ যুব কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছিল তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পুলিশ। সেই সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুব সভা নেত্রী ছিলেন।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

২১ শে জুলাইয়ের শহিদ দিবস:  ১২ জুলাইয়ের পর চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করবে তৃণমূল

আপডেট : ৮ জুলাই ২০২৩, শনিবার

আবদুল ওদুদঃ ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই এই দিনটিকে তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। বর্তমানে রাজ্যে চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আজ শনিবার ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১১ ই জুলাই পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণা হবে। আর এর পরেই শুরু হয়ে যাবে ২১ শে জুলাইয়ের কাউন্ট-ডাউন। ২১ শে জুলাইয়ের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানকে সফল করতে ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার মেয়র তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সির পরামর্শে কাজ শুরু করেছেন ফিরহাদ হাকিম।

কলকাতা পুরসভার সমস্ত ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নিয়ে দিন কয়েক আগে থেকেই ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে দলীয় মিটিংঅনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার একথা জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। পুবের কলমককে তিনি বলেন, বর্তমানে পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে রাজ্যে। সুব্রত বক্সি এবং ফিরহাদ হাকিম প্রাথমিক প্রস্তুতির কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিজেপি সহ বিরোধী দল থেকে প্রায় ১৯০০ জন কর্মী সমর্থকের তৃনমূলে যোগদান

কলকাতার ধর্মতলার কাছে টিপু সুলতান মসজিদ এবং ভিক্টোরিয়া হাউসের মধ্যস্থলে অন্যান্যবারের মতোই বিশাল মঞ্চ তৈরি হবে। কলকাতা পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ভোট প্রক্রিয়া শেষ হলেই জোর কদমে ২১ শে জুলাই শহিদ দিবস উৎযাপনের কাজ শুরু হবে। জয় প্রকাশ মজুমদার বলেন, ১১ জুলাই পঞ্চায়েতের ভোট-এর ফল প্রকাশ হবে। ১২ জুলাই থেকে আমরা ১০দিন হাতে সময় পাবো এর মধ্যেই জেলায় জেলায় প্রচারের কাজ শুরু হয়ে যাবে। ১২ জুলাইয়ের পর থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ২১ শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রচার শুরু হবে। তিনি বলেন, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত বক্সির উদ্যোগে কলকাতায় যে সমস্ত এলাকায় ক্যাম্প করা হয় সেগুলি পরিদর্শন করা হয়েছে। এই ক্যাম্পে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত তৃণমূলকর্মীরা অবস্থান করবেন। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনেও বিশেষ মঞ্চ তৈরি করা হবে। সে’ানে জেলা থেকে আগত কর্মীদের নানা রকমভাবে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও কসবা, বিধাননগর, হাওড়া, ক্ষুদিরাম অনুশীলকেন্দ্র, যুব ভারতী, গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামে রাত্রী যাপন করবেন সে ব্যবস্থাগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Trinamool protest stage: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলছিল সেনা, খবর পেয়েই পৌঁছলেন মমতা

তৃণমুল কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ২১ শে জুলাই কর্মসূচীর জন্য প্রতি বছরই একটি ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয়। সেই ব্লু-প্রিন্ট অনুযায়ী কাজ হয়। আর আমাদের মাথার উপরে রয়েছে সুব্রত বক্সি আর তাঁর নির্দেশেই কাজকর্ম এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এ বারের ২১ শে জুলাই-এর শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে ১০ লক্ষের বেশি জমায়েত করবেন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই জেলায় জেলায় প্রচারের কাজকর্ম শুরু হয়েছে। ১২ জুলাইয়ের পর সেই কাজ আরও চূড়ান্তভাবে শুরু হবে।

আরও পড়ুন: Trinamool Congress: যৌথ সংসদীয় কমিটি বয়কটের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের

উল্লেখ্য,  ১৯৯৩ সালের ২১ শে জুলাই সিপিএম-এর হার্মাদের হাতে ১৩ জন নিরীহ যুব কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছিল তৎকালীন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পুলিশ। সেই সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুব সভা নেত্রী ছিলেন।