স্কার্ফ খুলতে বাধ্য করা হয়ে ছিল ২ ছাত্রীকে, ক্ষমা চাইল জার্মানি্র বিশ্ববিদ্যালয় !

- আপডেট : ৬ মার্চ ২০২২, রবিবার
- / 18
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মিউনিখের ঘটনা। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন পরীক্ষা চলাকালীন মাথায় স্কার্ফ পরিহিতা দুই মুসলিম ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযাগ উঠেছে হকসচুলে মিউনচেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। কর্তৃপক্ষের এমন আচরণ সোশ্যাল সাইটে সমালোচিত হয়েছে। পরে ওই দুই ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। হকসচুলে মিউনচেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ট্যুইটে জানায়, ’অনলাইন পরীক্ষার সময় জালিয়াতির সন্দেহে মুসলিম শিক্ষার্থীদের মাথার স্কার্ফ খোলার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী’।
ধর্মীয় পোশাককে সাধারণ ফ্যাশনের সাথে তুলনা করা যায় না এবং সেগুলোকে আলাদাভাবে পরিচালনা করতে হবে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় স্বাধীনতার সম্মান নিশ্চিত করতে পরীক্ষার সুপারভাইজারদের গাইডলাইনে পরিবর্তন আনবে। বৈষম্যের শিকার এক শিক্ষার্থী তাদের সমর্থনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি এই ঘটনায় বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনাও করেন।
নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তিনি বলেছেন, ’বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় সমান আচরণ নিশ্চিত না করা এবং বৈষম্যমূলক অনুশীলনের অবসান না করা পর্যন্ত মুসলিম শিক্ষার্থীরা তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না।’ উল্লেখ্য, জার্মান সংবিধান ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিলেও মুসলিমরা, বিশেষ করে মাথায় স্কার্ফ ও হিজাব পরিহিতা নারীরা প্রায়ই শিক্ষা ও কর্মস্থলে বৈষম্যমূলক আচরণের সম্মুখীন হন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে বর্ণবাদ ও ইসলামোফোবিয়া অনেক বেড়েছে। ৮৩ মিলিয়ন মানুষের দেশ জার্মানিতে মুসলিমের সংখ্যা ৫৩ লক্ষ। ফ্রান্সের পরে পশ্চিম ইউরোপে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যা জার্মানিতেই।