০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উইঘুর নির্যাতন­ রাষ্ট্রসংঘে চিনের সমালোচনায় ৪৭ দেশ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ জুন ২০২২, বুধবার
  • / 55

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর নির্যাতন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কয়েক ডজন দেশ। একইসঙ্গে সমালোচনা করেছে চিনের। এ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার প্রধানকে অবিলম্বে একটি রিপোর্ট প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলি। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের দূত পল বেকার্স বলেন, ‘আমরা শিনজিয়াংয়ের উইঘুরদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছি।’ বিশ্বের ৪৭টি দেশের তরফে সম্মিলিত বিবৃতি পেশ করেন তিনি। বেকার্স বলেন, শিনজিয়াংয়ে ১০ লক্ষেরও বেশি উইঘুরকে নির্বিচারে আটক করে রাখার ব্যাপারে ‘বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট’ রয়েছে। তবে বেজিং বরাবরই বলে আসছে, এই উইঘুরদের প্রশিক্ষণ শিবিরে রেখে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও উগ্রপন্থা মোকাবিলা করছে তারা। বেকার্স বলেন, ‘উইঘুর-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের প্রতি বিভাজন ও নজরদারির নীতি নেওয়া হয়েছে বলে রিপোর্ট বেরিয়েছে।’ ৪৭ দেশের বিবৃতিতে, উইঘুর নির্যাতন, শাস্তি, জোরপূর্বক বন্ধ্যাত্বকরণ, যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা, জোরপূর্বক শ্রম এবং উইঘুর পিতামাতার কাছ থেকে শিশুদের জোর করে আলাদা করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার প্রধানের কাছে বেকার্সের অনুরোধ, ‘চিনের কাছে আমাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করুন এবং উইঘুর মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নির্বিচারে আটকে রাখা বন্ধ করুন।’ উল্লেখ্য, এর আগে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট, ১৭ বছরের মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের প্রথম কোনও আধিকারিক হিসাবে চিন সফর করেন। তবে এ সময়ে চিনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নিয়ে সুর নরম করতে দেখা যায় তাঁকে। এ কারণে তাঁর সমালোচনা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: সন্তান জন্ম দিলেই মিলবে টাকা, জন্মহার বাড়াতে অনুদান দিচ্ছে শি জিনপিং-এর সরকার

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উইঘুর নির্যাতন­ রাষ্ট্রসংঘে চিনের সমালোচনায় ৪৭ দেশ

আপডেট : ১৫ জুন ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর নির্যাতন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কয়েক ডজন দেশ। একইসঙ্গে সমালোচনা করেছে চিনের। এ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার প্রধানকে অবিলম্বে একটি রিপোর্ট প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলি। মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের দূত পল বেকার্স বলেন, ‘আমরা শিনজিয়াংয়ের উইঘুরদের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছি।’ বিশ্বের ৪৭টি দেশের তরফে সম্মিলিত বিবৃতি পেশ করেন তিনি। বেকার্স বলেন, শিনজিয়াংয়ে ১০ লক্ষেরও বেশি উইঘুরকে নির্বিচারে আটক করে রাখার ব্যাপারে ‘বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট’ রয়েছে। তবে বেজিং বরাবরই বলে আসছে, এই উইঘুরদের প্রশিক্ষণ শিবিরে রেখে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও উগ্রপন্থা মোকাবিলা করছে তারা। বেকার্স বলেন, ‘উইঘুর-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের প্রতি বিভাজন ও নজরদারির নীতি নেওয়া হয়েছে বলে রিপোর্ট বেরিয়েছে।’ ৪৭ দেশের বিবৃতিতে, উইঘুর নির্যাতন, শাস্তি, জোরপূর্বক বন্ধ্যাত্বকরণ, যৌন ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা, জোরপূর্বক শ্রম এবং উইঘুর পিতামাতার কাছ থেকে শিশুদের জোর করে আলাদা করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার প্রধানের কাছে বেকার্সের অনুরোধ, ‘চিনের কাছে আমাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করুন এবং উইঘুর মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নির্বিচারে আটকে রাখা বন্ধ করুন।’ উল্লেখ্য, এর আগে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট, ১৭ বছরের মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের প্রথম কোনও আধিকারিক হিসাবে চিন সফর করেন। তবে এ সময়ে চিনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নিয়ে সুর নরম করতে দেখা যায় তাঁকে। এ কারণে তাঁর সমালোচনা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: সন্তান জন্ম দিলেই মিলবে টাকা, জন্মহার বাড়াতে অনুদান দিচ্ছে শি জিনপিং-এর সরকার