০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউক্রেন যেন ইরাক! মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন হামলার পর দেখা যেত একই ছবি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ মার্চ ২০২২, শুক্রবার
  • / 37

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : এতদিন ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান ও লিবিয়ার মতো দেশে বোমা ফেলত আমেরিকা। মুহূর্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত সবকিছু। আর প্রাণে বেঁচে যাওয়া সর্বহারাদের ঠাঁই হতো রাস্তায়। খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে হত বা দাতব্য সংস্থার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। এখন সেই একই ছবি ইউরোপে। ইউক্রেন যেন হয়ে গিয়েছে আফগানিস্তান অথবা ইরাক। বিমান হামলার পর বাস্তুচ্যুত হয়ে একটু খাদ্যের আশায়ে লাইনে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে মানুষদের। বলা যায় দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমাদের হামলায় সিরিয়া, লিবিয়া, সুদানে যে দৃশ্য স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল মাত্র এক সপ্তাহের যুদ্ধে একই দৃশ্য যাচ্ছে ইউক্রেনেও। পেটের জ্বালা মেটাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিতে। রাজধানী কিয়েভ এখন রাশিয়ার হামলার কেন্দ্রবিন্দু। বিশাল বাহিনী নিয়ে কিয়েভের দ্বারপ্রান্তে রুশ সেনাবাহিনী।

 

আরও পড়ুন: সংঘাতের আবহে ইরানের পাশে নয়াদিল্লি, ভারতবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানাল তেহরান

বিমান হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও হতে পারে যে কোনও মুহূর্তে। ভয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ বাঙ্কারে কেউ মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার খোলা আকাশের নিচে দেখা গেছে অনেক মানুষকে। তবে প্রাণের ভয়ের থেকেও বড় সমস্যা এখন পেটের দায়। সাত দিনের যুদ্ধে বাড়িতে জমানো খাবার শেষ হয়ে গেছে। ক্ষুধার জ্বালায় শিশুরা তো বটেই সহ্য করতে পারছেন না বড়রাও। বাধ্য হয়ে নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে নেমেছেন রাস্তায়। একটি ছবিতে দেখা গেছে কমপক্ষে শতাধিক লোক লাইন দিয়েছে খাবার কিনতে। কিয়েভের মতো চার্নিহিভেও দেখা গেছে একই দৃশ্য। উল্লেখ্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পরমাণু অস্ত্রমুক্তকরণ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানসহ বিভিন্ন অজুহাতে দেশে দেশে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন পশ্চিমা রাষ্ট্র । আজ পশ্চিমা বিশ্ব ঠিক সেটাই ফেরত পাচ্ছে। রাশিয়া যে হুমকি দিচ্ছে তাতে এ যুদ্ধ দীর্ঘ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা নিয়ে শঙ্কায় ইউক্রেনীয়রা।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কোনও সাইকস-পাইকট চুক্তি নয়: এরদোগান

আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা বাতিলের অর্ধেক ভারতীয় পড়ুয়া, সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউক্রেন যেন ইরাক! মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন হামলার পর দেখা যেত একই ছবি

আপডেট : ৪ মার্চ ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : এতদিন ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান ও লিবিয়ার মতো দেশে বোমা ফেলত আমেরিকা। মুহূর্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত সবকিছু। আর প্রাণে বেঁচে যাওয়া সর্বহারাদের ঠাঁই হতো রাস্তায়। খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে হত বা দাতব্য সংস্থার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। এখন সেই একই ছবি ইউরোপে। ইউক্রেন যেন হয়ে গিয়েছে আফগানিস্তান অথবা ইরাক। বিমান হামলার পর বাস্তুচ্যুত হয়ে একটু খাদ্যের আশায়ে লাইনে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে মানুষদের। বলা যায় দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমাদের হামলায় সিরিয়া, লিবিয়া, সুদানে যে দৃশ্য স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল মাত্র এক সপ্তাহের যুদ্ধে একই দৃশ্য যাচ্ছে ইউক্রেনেও। পেটের জ্বালা মেটাতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিতে। রাজধানী কিয়েভ এখন রাশিয়ার হামলার কেন্দ্রবিন্দু। বিশাল বাহিনী নিয়ে কিয়েভের দ্বারপ্রান্তে রুশ সেনাবাহিনী।

 

আরও পড়ুন: সংঘাতের আবহে ইরানের পাশে নয়াদিল্লি, ভারতবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানাল তেহরান

বিমান হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও হতে পারে যে কোনও মুহূর্তে। ভয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ বাঙ্কারে কেউ মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার খোলা আকাশের নিচে দেখা গেছে অনেক মানুষকে। তবে প্রাণের ভয়ের থেকেও বড় সমস্যা এখন পেটের দায়। সাত দিনের যুদ্ধে বাড়িতে জমানো খাবার শেষ হয়ে গেছে। ক্ষুধার জ্বালায় শিশুরা তো বটেই সহ্য করতে পারছেন না বড়রাও। বাধ্য হয়ে নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে নেমেছেন রাস্তায়। একটি ছবিতে দেখা গেছে কমপক্ষে শতাধিক লোক লাইন দিয়েছে খাবার কিনতে। কিয়েভের মতো চার্নিহিভেও দেখা গেছে একই দৃশ্য। উল্লেখ্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পরমাণু অস্ত্রমুক্তকরণ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানসহ বিভিন্ন অজুহাতে দেশে দেশে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন পশ্চিমা রাষ্ট্র । আজ পশ্চিমা বিশ্ব ঠিক সেটাই ফেরত পাচ্ছে। রাশিয়া যে হুমকি দিচ্ছে তাতে এ যুদ্ধ দীর্ঘ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা নিয়ে শঙ্কায় ইউক্রেনীয়রা।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে নতুন কোনও সাইকস-পাইকট চুক্তি নয়: এরদোগান

আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা বাতিলের অর্ধেক ভারতীয় পড়ুয়া, সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের