০২ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ক্ষতি হবে কোটি কোটি মানুষের’ বায়ুদূষণ নিয়ে সতর্কতা রাষ্ট্রসংঘের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 103

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেখা দিচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দাবানল। ফলে বাড়ছে বায়ুদূষণ। এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছে রাষ্ট্রসংঘ। মানুষের স্বাস্থ্য ও বাস্তুসংস্থানের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলেও আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। ভয়াবহ এই ক্ষতি থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। চলতি বছর প্রকৃতির অস্বাভাবিক আচরণ দেখেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। কখনও খরা, কখনও অতিবৃষ্টি আবার কখনও নজিরবিহীন বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষ।

 

আরও পড়ুন: কলকাতায় শধদূষণ ও বায়ুদূষণ অন্যান্য মহানগরগুলির তুলনায় অনেক কমঃ পুলিশ কমিশনার

প্রকৃতির এই বিরূপ আচরণের জন্য মানুষের নানা কর্মকাণ্ডকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার নতুন করে আরেকটি শঙ্কার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। সম্প্রতি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা-ডব্লিউএমও প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঘন ঘন তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দাবানলের কারণে বিশ্বজুড়ে বাতাসের গুণমান খারাপ হচ্ছে। এতে মানুষের স্বাস্থ্য ও বাস্তুসংস্থানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ডব্লিউএমও বলছে, আগামী শতাব্দীতে কোটি কোটি মানুষকে ক্ষতির মুখে ফেলবে দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন। ভয়াবহ এই পরিস্থিতি থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে আগে থেকেই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

২০২১ সালে সাইবেরিয়া এবং উত্তর আমেরিকাজুড়ে ভয়াবহ দাবানলের প্রভাবের বিষয়টি গবেষণা করেছে ডব্লিউএমও। এতে দেখা গেছে, দাবানলের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এমনকি পূর্ব সাইবেরিয়াতেও বায়ুদূষণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা আগে দেখা যায়নি। পৃথিবী উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাবানল এবং বায়ুদূষণ বাড়বে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ডব্লিউএমও প্রধান পেতেরি তালাস। তিনি বলেন, এ বছর ইউরোপ ও চিনে ব্যাপক দাবদাহ দেখা গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রখর তাপ এবং বাতাসের কম গতি। এগুলো উচ্চদূষণের জন্য সহায়ক। এগুলোই ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা।

আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্ব ভারতের ৫৫ শতাংশ মানুষ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর পক্ষে

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘ক্ষতি হবে কোটি কোটি মানুষের’ বায়ুদূষণ নিয়ে সতর্কতা রাষ্ট্রসংঘের

আপডেট : ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেখা দিচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দাবানল। ফলে বাড়ছে বায়ুদূষণ। এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছে রাষ্ট্রসংঘ। মানুষের স্বাস্থ্য ও বাস্তুসংস্থানের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলেও আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। ভয়াবহ এই ক্ষতি থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। চলতি বছর প্রকৃতির অস্বাভাবিক আচরণ দেখেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। কখনও খরা, কখনও অতিবৃষ্টি আবার কখনও নজিরবিহীন বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষ।

 

আরও পড়ুন: কলকাতায় শধদূষণ ও বায়ুদূষণ অন্যান্য মহানগরগুলির তুলনায় অনেক কমঃ পুলিশ কমিশনার

প্রকৃতির এই বিরূপ আচরণের জন্য মানুষের নানা কর্মকাণ্ডকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার নতুন করে আরেকটি শঙ্কার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। সম্প্রতি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা-ডব্লিউএমও প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঘন ঘন তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দাবানলের কারণে বিশ্বজুড়ে বাতাসের গুণমান খারাপ হচ্ছে। এতে মানুষের স্বাস্থ্য ও বাস্তুসংস্থানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ডব্লিউএমও বলছে, আগামী শতাব্দীতে কোটি কোটি মানুষকে ক্ষতির মুখে ফেলবে দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন। ভয়াবহ এই পরিস্থিতি থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে আগে থেকেই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

২০২১ সালে সাইবেরিয়া এবং উত্তর আমেরিকাজুড়ে ভয়াবহ দাবানলের প্রভাবের বিষয়টি গবেষণা করেছে ডব্লিউএমও। এতে দেখা গেছে, দাবানলের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এমনকি পূর্ব সাইবেরিয়াতেও বায়ুদূষণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যা আগে দেখা যায়নি। পৃথিবী উষ্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাবানল এবং বায়ুদূষণ বাড়বে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ডব্লিউএমও প্রধান পেতেরি তালাস। তিনি বলেন, এ বছর ইউরোপ ও চিনে ব্যাপক দাবদাহ দেখা গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রখর তাপ এবং বাতাসের কম গতি। এগুলো উচ্চদূষণের জন্য সহায়ক। এগুলোই ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা।

আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্ব ভারতের ৫৫ শতাংশ মানুষ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর পক্ষে