০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকাতে ভেটো আমেরিকার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার
  • / 8

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: যা প্রত্যাশা করা হয়েছিল সেটাই ঘটল। রাষ্ট্রসংঘে রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পথ আটকে দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে নিরাপত্তা পরিষদে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। খসড়া প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯৩ সদস্যের রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছিল। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১২টি দেশ এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।

 

ভোটদানে বিরত ছিল ব্রিটেন ও সুইজারল্যান্ড। ভেটো প্রদান করে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র আমেরিকা। সম্প্রতি, বাইডেন প্রশাসন হুমকি দিয়েছিল যে ইসরাইল যদি ফিলিস্তিন নিয়ে তাদের নীতির পরিবর্তন না করে তবে আমেরিকা তাদের ‘নীতি’ বদলাতে বাধ্য হবে। সেসব তর্জন-গর্জন নেহাতই লোকদেখানো ছিল তা স্পষ্ট হয়ে গেল এদিনের ভোটে। কসাই ইসরাইলের পাশেই দাঁড়াল আমেরিকা।

ভেটো না পড়লে প্রস্তাবটি পাস হতে ৯ ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের কোনো প্রস্তাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চিন; এ স্থায়ী পাঁচ সদস্যের কোনো একটি দেশ বিপক্ষে ভোট দিলে ওই প্রস্তাব আর গৃহীত হয় না। ফিলিস্তিন বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ২০১২ সালে রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদে কার্যত রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছিল ফিলিস্তিন। তবে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। অবশ্য সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাষ্ট্রসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ আটকাতে ভেটো আমেরিকার

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: যা প্রত্যাশা করা হয়েছিল সেটাই ঘটল। রাষ্ট্রসংঘে রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার পথ আটকে দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে নিরাপত্তা পরিষদে এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। খসড়া প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯৩ সদস্যের রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছিল। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১২টি দেশ এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়।

 

ভোটদানে বিরত ছিল ব্রিটেন ও সুইজারল্যান্ড। ভেটো প্রদান করে ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র আমেরিকা। সম্প্রতি, বাইডেন প্রশাসন হুমকি দিয়েছিল যে ইসরাইল যদি ফিলিস্তিন নিয়ে তাদের নীতির পরিবর্তন না করে তবে আমেরিকা তাদের ‘নীতি’ বদলাতে বাধ্য হবে। সেসব তর্জন-গর্জন নেহাতই লোকদেখানো ছিল তা স্পষ্ট হয়ে গেল এদিনের ভোটে। কসাই ইসরাইলের পাশেই দাঁড়াল আমেরিকা।

ভেটো না পড়লে প্রস্তাবটি পাস হতে ৯ ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের কোনো প্রস্তাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চিন; এ স্থায়ী পাঁচ সদস্যের কোনো একটি দেশ বিপক্ষে ভোট দিলে ওই প্রস্তাব আর গৃহীত হয় না। ফিলিস্তিন বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ২০১২ সালে রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদে কার্যত রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছিল ফিলিস্তিন। তবে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। অবশ্য সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।