০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তরকাশী: রাতেই উদ্ধারের সম্ভাবনা, প্রস্তুত অস্থায়ী হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসক দল

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার
  • / 23

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বুধবার রাতের মধ্যেই উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনা হতে পারে ৪১ জন শ্রমিককে। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২১ জন উদ্ধারকারী প্রবেশ করেছে সুড়ঙ্গে। আর মাত্র ১২ মিটার খোঁড়া হলেই শ্রমিকদের নাগাল পাবেন উদ্ধারকারীরা। বুধবার রাতেই অথবা বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা মুক্ত আকাশের নীচে শ্বাস নিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

 

জানা গিয়েছে, উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা অক্সিজেন মাস্ক, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে সুড়ঙ্গে প্রবেশ করেছেন উদ্ধারকারীরা। প্রয়োজন মতো রাস্তা খুঁড়ে খুঁড়ে তাঁরা এগিয়ে যাবেন। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকায় তৈরি অত্যাধুনিক খননযন্ত্র বুধবার সন্ধ্যায় সুড়ঙ্গের ধ্বংসস্তূপের আরও ছ’মিটার খুঁড়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। ১৮ মিটার বাকি থাকতেই উদ্ধারকারীরা জানিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। আরও ছ’মিটার খোঁড়া হয়ে গেলে রাতের মধ্যেই শ্রমিকদের উদ্ধারের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

ধসে পড়া সুড়ঙ্গে দশদিন ধরে আটকে থাকার পর, তাদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার সুপারিশ করেছেন চিকিৎসকরা। দুর্ঘটনাস্থলের ঠিক বাইরেই কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। সেই কন্ট্রোলরুমের ভিতরেই আট শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে সবসময় থাকছেন ১৫ জন চিকিৎসকের একটি দল। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞদের ডেকে আনা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিজেন মাস্ক, স্ট্রেচার, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র, রক্তচাপ স্বাভাবিক করার যন্ত্রের মতো, বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামও রয়েছে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গস্থলে। আটকে পড়া শ্রমিকদের শারীরিক অবস্থা দেখে প্রয়োজন হলে দ্রুত উন্নতমানের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য ‘স্ট্যান্ডবাই’ রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি হেলিকপ্টার। ৪০ থেকে ৪১টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উত্তরকাশী: রাতেই উদ্ধারের সম্ভাবনা, প্রস্তুত অস্থায়ী হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসক দল

আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বুধবার রাতের মধ্যেই উত্তরকাশীর ভাঙা সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনা হতে পারে ৪১ জন শ্রমিককে। ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২১ জন উদ্ধারকারী প্রবেশ করেছে সুড়ঙ্গে। আর মাত্র ১২ মিটার খোঁড়া হলেই শ্রমিকদের নাগাল পাবেন উদ্ধারকারীরা। বুধবার রাতেই অথবা বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা মুক্ত আকাশের নীচে শ্বাস নিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

 

জানা গিয়েছে, উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা অক্সিজেন মাস্ক, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে সুড়ঙ্গে প্রবেশ করেছেন উদ্ধারকারীরা। প্রয়োজন মতো রাস্তা খুঁড়ে খুঁড়ে তাঁরা এগিয়ে যাবেন। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকায় তৈরি অত্যাধুনিক খননযন্ত্র বুধবার সন্ধ্যায় সুড়ঙ্গের ধ্বংসস্তূপের আরও ছ’মিটার খুঁড়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। ১৮ মিটার বাকি থাকতেই উদ্ধারকারীরা জানিয়েছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। আরও ছ’মিটার খোঁড়া হয়ে গেলে রাতের মধ্যেই শ্রমিকদের উদ্ধারের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

ধসে পড়া সুড়ঙ্গে দশদিন ধরে আটকে থাকার পর, তাদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার সুপারিশ করেছেন চিকিৎসকরা। দুর্ঘটনাস্থলের ঠিক বাইরেই কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। সেই কন্ট্রোলরুমের ভিতরেই আট শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে সবসময় থাকছেন ১৫ জন চিকিৎসকের একটি দল। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন রোগের বিশেষজ্ঞদের ডেকে আনা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিজেন মাস্ক, স্ট্রেচার, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র, রক্তচাপ স্বাভাবিক করার যন্ত্রের মতো, বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামও রয়েছে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গস্থলে। আটকে পড়া শ্রমিকদের শারীরিক অবস্থা দেখে প্রয়োজন হলে দ্রুত উন্নতমানের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য ‘স্ট্যান্ডবাই’ রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি হেলিকপ্টার। ৪০ থেকে ৪১টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।