পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর ভয়াবহ সংঘর্ষে মঙ্গলবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল অসমের পশ্চিম কার্বি আংলং জেলা। হিংসার ঘটনায় সেখানে এখনও পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩৮ জন পুলিশ অফিসার-কর্মীও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। তাতে ৮ জন বিক্ষোভকারীও জখম হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ওই জেলায় কার্ফু জারি হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবাও।
প্রশাসনের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, গুজব ও উত্তেজনা রুখতে কার্বি আংলং এবং পশ্চিম কার্বি আংলং— এই দুই জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, খেরোনি এলাকায় শান্তি ফেরাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। পাশাপাশি হিংসায় দু’জনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি।
এই অঞ্চলে পশুচারণের জন্য পশুচারণের জন্য সংরক্ষিত সরকারি জমি বিহারীরা অবৈধ ভাবে দখল করে আছে বলে অভিযোগ স্থানীয় আদিবাসী জনতার। এই অবৈধ দখলদারদের সেখান থেকে উচ্ছেদের দাবিতে গত ১৫ দিন ধরে অনশন করছেন তাঁরা। মঙ্গলবার অনশনরত এক আন্দোলনকারীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার পরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় জেলায়। খবর ছড়িয়ে, পুলিশ নাকি কার্বি নেতা তুলে নিয়ে গিয়েছে! যদিও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাস্তায় নেমেছিলেন ক্ষতিগ্রস্তরা। একই সময়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবিতে খেরোনি বাজার এলাকায় জড়ো হন আদিবাসী আন্দোলনকারীরাও। হঠাৎ দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এলাকায় মোতায়েন নিরাপত্তা বাহিনী তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আচমকাই দুই পক্ষই একে অন্যকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া শুরু করে দেয়। ইট-পাথর বৃষ্টিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ওই এলাকা। এখনও পরিস্থিতি থমথমে। অসম পুলিশের আইজি (আইনশৃঙ্খলা) অখিলেশ কুমার সিং বলেন, “এলাকার শান্তি ফেরাতে প্রশাসন সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলছে। এক মন্ত্রী এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। কারও যদিও কোনও বিষয় নিয়ে অসুবিধা থাকে, তারা আইনি পথে হাঁটতে পারে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। এলাকায় বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।”





























