২০ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গার্হস্থ্য হিংসার শিকার নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ালো ‘মধ্যমগ্রাম সৃষ্টির পথে’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার
  • / 10

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রতিনিয়ত সমাজে বেড়ে চলেছে গার্হস্থ্য হিংসা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মহিলারা এই হিংসার শিকার। এই রকমই একটি ঘটনায় অসহায় একটি মেয়ের পাশে দাঁড়াল ‘মধ্যমগ্রাম সৃষ্টির পথে’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

গার্হস্থ্য হিংসার শিকার নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ালো 'মধ্যমগ্রাম সৃষ্টির পথে' স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, সুস্মিতা দাস বয়স ২৬ বছর।চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল কাঁকিনাড়ার একটি ছেলের সঙ্গে ভালোবেসে। সেই থেকে বাবার বাড়িতেও আর ঠাঁই হয়নি মেয়েটির। অন্যদিকে শ্বশুর বাড়িতেও অত্যাচার চলছিল সুস্মিতার উপরে। এই মাসের প্রথম দিকে সুস্মিতার স্বামী ওকে এমন মারধর করে এবং মানসিক অত্যাচার করে মাথা ফাটিয়ে দেয় সুস্মিতা। তারপরেও কোনও চিকিৎসা করানো হয়নি। এই অবস্থায় সুস্মিতা মধ্যমগ্রামে সারদা পল্লীতে আত্মীয়ের বাড়িতে এসে ওঠে, সেখানে ও বুঝতে পারছিল বেশিদিন থাকতে পারবে না। দু তিন দিন থাকার পর তারাও বলেই দিল তোমার জায়গা খুঁজে নাও? সুস্মিতার মাথার ছাদ খাওয়া সমস্ত কিছু অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

এই অবস্থায় সুস্মিতার বন্ধু ‘মধ্যমগ্রাম সৃষ্টির পথে’ কাছে আবেদন করে সুস্মিতার একটি থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। সেই আবেদন অনুযায়ী আমাদের সংস্থা সন্ধানীড় এর ম্যানেজারের কাছে আবেদন করে সুস্মিতা থাকার ব্যবস্থার জন্য। সন্ধানীড় এ গৃহহীনদের থাকার ব্যবস্থা আছে , সেখানেই সুস্মিতার অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সুস্মিতা খুব খুশি, ‘মধ্যমগ্রাম সৃষ্টির পথে’র সমস্ত সদস্য ও এবং সন্ধ্যা নীড়ের আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গার্হস্থ্য হিংসার শিকার নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ালো ‘মধ্যমগ্রাম সৃষ্টির পথে’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

আপডেট : ২১ মে ২০২৪, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রতিনিয়ত সমাজে বেড়ে চলেছে গার্হস্থ্য হিংসা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মহিলারা এই হিংসার শিকার। এই রকমই একটি ঘটনায় অসহায় একটি মেয়ের পাশে দাঁড়াল ‘মধ্যমগ্রাম সৃষ্টির পথে’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

গার্হস্থ্য হিংসার শিকার নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ালো 'মধ্যমগ্রাম সৃষ্টির পথে' স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, সুস্মিতা দাস বয়স ২৬ বছর।চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল কাঁকিনাড়ার একটি ছেলের সঙ্গে ভালোবেসে। সেই থেকে বাবার বাড়িতেও আর ঠাঁই হয়নি মেয়েটির। অন্যদিকে শ্বশুর বাড়িতেও অত্যাচার চলছিল সুস্মিতার উপরে। এই মাসের প্রথম দিকে সুস্মিতার স্বামী ওকে এমন মারধর করে এবং মানসিক অত্যাচার করে মাথা ফাটিয়ে দেয় সুস্মিতা। তারপরেও কোনও চিকিৎসা করানো হয়নি। এই অবস্থায় সুস্মিতা মধ্যমগ্রামে সারদা পল্লীতে আত্মীয়ের বাড়িতে এসে ওঠে, সেখানে ও বুঝতে পারছিল বেশিদিন থাকতে পারবে না। দু তিন দিন থাকার পর তারাও বলেই দিল তোমার জায়গা খুঁজে নাও? সুস্মিতার মাথার ছাদ খাওয়া সমস্ত কিছু অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

এই অবস্থায় সুস্মিতার বন্ধু ‘মধ্যমগ্রাম সৃষ্টির পথে’ কাছে আবেদন করে সুস্মিতার একটি থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। সেই আবেদন অনুযায়ী আমাদের সংস্থা সন্ধানীড় এর ম্যানেজারের কাছে আবেদন করে সুস্মিতা থাকার ব্যবস্থার জন্য। সন্ধানীড় এ গৃহহীনদের থাকার ব্যবস্থা আছে , সেখানেই সুস্মিতার অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সুস্মিতা খুব খুশি, ‘মধ্যমগ্রাম সৃষ্টির পথে’র সমস্ত সদস্য ও এবং সন্ধ্যা নীড়ের আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।