০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে’ দাঁড়িয়েছে গাজার হাসপাতালগুলো: WHO chief

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 397

সব হারিয়ে ফিলিস্তিনি এক মায়ের আর্তনাদ/পুবের কলম

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের লাগাতার হামলার জেরে ‘ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে’ দাঁড়িয়েছে গাজার হাসপাতালগুলো,  বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO chief) -এর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস। শুধু তাই নয়, এদিন তিনি ইসরাইলের অমানবিক কর্মাকাণ্ডের অবসানের দাবিও তোলেন। জানান, ইসরাইলের লাগাতার হামলার জেরে গাজার অবশিষ্ট হাসপাতালগুলোর অবস্থা শোচনীয়। একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে (WHO chief says Gaza hospitals on ‘brink of collapse’ )।

সেগুলোতে ডব্লিউএইচও জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে পারছে না।  প্রাণ বাঁচানোর খাতিরে যেই হাসপাতালগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই হাসপাতালগুলো’তেই এখন মানুষ নিরাপদে নেই। ইসরাইল হাসপাতালগুলোকে  যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে। আগে দুনিয়ার উন্মুক্ত জেলখানা ছিল ফিলিস্তিন, এখন কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। চারিদিকে লাশের সারি। হামাস শুধু বাহানা মাত্র। নিরীহ ফিলিস্তিনিরাও নেতানিয়াহুর চক্ষুশূল। ইসরাইলি বাহিনী হামাসকে দমন করার লক্ষ্যে গাজা সিটিকে যেভাবে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে, তাতে নিহত অধিকাংশ ফিলিস্তিনি  ‘সাধারণ নাগরিক। যাদের বেশিরভাগ শিশু, নারী, বৃদ্ধ।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবারের পর ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ হাজার ৬২ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন ফিলিস্তিনি।

 

আরও পড়ুন: সুশীলা কার্কিকে ফোন প্রধানমন্ত্রী মোদির

গাজায় উপত্যকা আটকে থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য গত ১৯ জুন আমেরিকা, মিশর ও কাতারের প্রচেষ্টায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল ইসরাইল ও হামাস।   কিন্তু ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইল। সে সময় থেকে এ পর্যন্ত ৫ মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ১২ হাজার ৫১১ জন এবং আহত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৬৫৬ জন।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে’ দাঁড়িয়েছে গাজার হাসপাতালগুলো: WHO chief

আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের লাগাতার হামলার জেরে ‘ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে’ দাঁড়িয়েছে গাজার হাসপাতালগুলো,  বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO chief) -এর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস। শুধু তাই নয়, এদিন তিনি ইসরাইলের অমানবিক কর্মাকাণ্ডের অবসানের দাবিও তোলেন। জানান, ইসরাইলের লাগাতার হামলার জেরে গাজার অবশিষ্ট হাসপাতালগুলোর অবস্থা শোচনীয়। একেবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে (WHO chief says Gaza hospitals on ‘brink of collapse’ )।

সেগুলোতে ডব্লিউএইচও জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জাম পৌঁছে দিতে পারছে না।  প্রাণ বাঁচানোর খাতিরে যেই হাসপাতালগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই হাসপাতালগুলো’তেই এখন মানুষ নিরাপদে নেই। ইসরাইল হাসপাতালগুলোকে  যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে। আগে দুনিয়ার উন্মুক্ত জেলখানা ছিল ফিলিস্তিন, এখন কবরস্থানে পরিণত হয়েছে। চারিদিকে লাশের সারি। হামাস শুধু বাহানা মাত্র। নিরীহ ফিলিস্তিনিরাও নেতানিয়াহুর চক্ষুশূল। ইসরাইলি বাহিনী হামাসকে দমন করার লক্ষ্যে গাজা সিটিকে যেভাবে টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে, তাতে নিহত অধিকাংশ ফিলিস্তিনি  ‘সাধারণ নাগরিক। যাদের বেশিরভাগ শিশু, নারী, বৃদ্ধ।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবারের পর ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ হাজার ৬২ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন ফিলিস্তিনি।

 

আরও পড়ুন: সুশীলা কার্কিকে ফোন প্রধানমন্ত্রী মোদির

গাজায় উপত্যকা আটকে থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য গত ১৯ জুন আমেরিকা, মিশর ও কাতারের প্রচেষ্টায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল ইসরাইল ও হামাস।   কিন্তু ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইল। সে সময় থেকে এ পর্যন্ত ৫ মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ১২ হাজার ৫১১ জন এবং আহত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৬৫৬ জন।