৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাথরের গায়ে আস্ত কুরআন খোদাই ইরানি শিল্পীর

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাথরের গায়ে পবিত্র কুরআন খোদাই করার অতি সূক্ষ কাজ শুরু করেছেন ইরানের এক কারূশিল্পী। পাথরে পবিত্র কুরআনের পুরোটা খোদাই শেষ হলে এটিই হবে বিশ্বের প্রথম কুরআন যা পাথর দিয়ে নির্মিত। ইরানের কোম প্রদেশের পর্যটন বিভাগীয় প্রধান আলিরেজা আর্জমান্দির কথায়, ’পাথরে খোদাই ও কারুকার্য শিল্পের মাধ্যমে কোনও কুরআন এই প্রথম তৈরি হচ্ছে বিশ্বে। এই শৈল্পিক কাজের পুরোটাই হচ্ছে হাতে।’ আরও বলেন, ’এই কুরআনটির পাতার ব্যাস হল ২ মিলিমিটার। এখনও পর্যন্ত এই আয়তন ও পরিমাণে কোনও কাজ হয়নি।’ সুনিপুণ হাতে পবিত্র কুরআনের সমস্ত অধ্যায়কে পাথরে খোদাইয়ের কাজটি করছেন সায়্যেদ হোসেইন মিরেহেই নামক এক কারিগর।
প্রসঙ্গত, মাশহাদ শহরের পর ইরানের দ্বিতীয় পবিত্রতম নগরী হল কোম, যেখানে হজরত এ মাসুমেহ-র মাজার রয়েছে এবং রয়েছে বহু ধর্মীয় স্কুল ও মাদ্রাসা। এরই পাশাপাশি বিশ্বের বহু দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা কোম প্রদেশে এসে ইসলামি শিক্ষা লাভ করেন। ইরানের অন্যতম ধর্মীয় কেন্দ্র হিসাবে কোম সুপরিচিত হওয়ার সঙ্গে প্রদেশটির ঐতিহাসিক গুরুত্বও অপরিসীম। সাসসানিদ যুগের (২২৩ থেকে ৬৫১ সাল) কোমে বহু মসজিদ ও স্থাপনা নির্মিত হয়েছিল। প্রদেশটির শহর ও গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যও মন মাতানো।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

বাংলাতেই মাইক্রো অবজারভার নিয়োগ কেনো? কমিশনকে প্রশ্ন অভিষেকের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাথরের গায়ে আস্ত কুরআন খোদাই ইরানি শিল্পীর

আপডেট : ২২ জুন ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাথরের গায়ে পবিত্র কুরআন খোদাই করার অতি সূক্ষ কাজ শুরু করেছেন ইরানের এক কারূশিল্পী। পাথরে পবিত্র কুরআনের পুরোটা খোদাই শেষ হলে এটিই হবে বিশ্বের প্রথম কুরআন যা পাথর দিয়ে নির্মিত। ইরানের কোম প্রদেশের পর্যটন বিভাগীয় প্রধান আলিরেজা আর্জমান্দির কথায়, ’পাথরে খোদাই ও কারুকার্য শিল্পের মাধ্যমে কোনও কুরআন এই প্রথম তৈরি হচ্ছে বিশ্বে। এই শৈল্পিক কাজের পুরোটাই হচ্ছে হাতে।’ আরও বলেন, ’এই কুরআনটির পাতার ব্যাস হল ২ মিলিমিটার। এখনও পর্যন্ত এই আয়তন ও পরিমাণে কোনও কাজ হয়নি।’ সুনিপুণ হাতে পবিত্র কুরআনের সমস্ত অধ্যায়কে পাথরে খোদাইয়ের কাজটি করছেন সায়্যেদ হোসেইন মিরেহেই নামক এক কারিগর।
প্রসঙ্গত, মাশহাদ শহরের পর ইরানের দ্বিতীয় পবিত্রতম নগরী হল কোম, যেখানে হজরত এ মাসুমেহ-র মাজার রয়েছে এবং রয়েছে বহু ধর্মীয় স্কুল ও মাদ্রাসা। এরই পাশাপাশি বিশ্বের বহু দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা কোম প্রদেশে এসে ইসলামি শিক্ষা লাভ করেন। ইরানের অন্যতম ধর্মীয় কেন্দ্র হিসাবে কোম সুপরিচিত হওয়ার সঙ্গে প্রদেশটির ঐতিহাসিক গুরুত্বও অপরিসীম। সাসসানিদ যুগের (২২৩ থেকে ৬৫১ সাল) কোমে বহু মসজিদ ও স্থাপনা নির্মিত হয়েছিল। প্রদেশটির শহর ও গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যও মন মাতানো।