০৫ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘লাভ জিহাদে’ সম্মতি কেন? হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষকোর্টে মধ্যপ্রদেশ সরকার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 37

 পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ভিনধর্মের বিয়েতে  অন্যায়  কিছু দেখেনি হাইকোর্ট। আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, ভিনধর্মী হলেও ওই দম্পতি যেহেতু   প্রাপ্তবয়স্ক তাই তাদের বিয়ে নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলাই উচিত নয়। হাইকোর্টের এই রায়ে তীব্র অসন্তোষ জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। তারা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করতে চলেছে। উল্লেখ্য, জোর করে, প্রলোভন দেখিয়ে, জবরদস্তি করে ধর্মান্তরিত বা বিয়েকে আটকাতে এই আইন আনে মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু, হাইকোর্ট বলেছে, প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগ করা যাবে না।

 

আরও পড়ুন: মাহমুদাবাদ মামলা: তদন্তে দেরি নিয়ে সিটকে ভর্ৎসনায় করল সুপ্রিম কোর্ট

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে না জানিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ভিনধর্মী যুবক-যুবতীকে অভিযুক্ত করা থেকে  বিরত রাখতে হাইকোর্ট যে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিল তাকে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান সরকার। হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল, ‘মধ্যপ্রদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন’-এর ১০ নম্বর ধারার অধীনে যেন কোনও প্রাপ্তবয়স্ককে অভিযুক্ত করা না হয় যারা নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করেছে।

আরও পড়ুন: ‘উদয়পুর ফাইলস’ মামলা: কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শীর্ষ আদালত

 

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের এসআইআর বন্ধের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা

শুধু তাই নয়, ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পি সি গুপ্তার বেঞ্চের অভিমত, মধ্যপ্রদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন’-এর ১০ নম্বর ধারার বলা হয়েছে, ধর্মান্তরণে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে আবশ্যিক হিসেবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই বিষয়ে আগাম ঘোষণা দিতে হবে। আদালতের দৃষ্টিভঙ্গিতে এই ধরনের নির্দেশ অসাংবিধানিক। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সাতটি পিটিশন দাখিল হয় হাইকোর্টে। সেইসব মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট।

 

পাশাপাশি, আদালতের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে ৩ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে পিটিশনের প্রতিটি অনুচ্ছেদ ধরে ধরে জবাব দেওয়ার জন্য। হাইকোর্টের এই অভিমত প্রসঙ্গে সলিসিটর জেনারেল তথা সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত সিং বলেন, হাইকোর্ট বলেছে স্বেচ্ছায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া প্রাপ্তবয়স্কদের রাজ্যের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের ১০ নম্বর ধারায় বিচার করা যাবে না। আমরা উচ্চ আদালতের এই অন্তর্বর্তী রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে যাচ্ছি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘লাভ জিহাদে’ সম্মতি কেন? হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষকোর্টে মধ্যপ্রদেশ সরকার

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২২, রবিবার

 পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ ভিনধর্মের বিয়েতে  অন্যায়  কিছু দেখেনি হাইকোর্ট। আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, ভিনধর্মী হলেও ওই দম্পতি যেহেতু   প্রাপ্তবয়স্ক তাই তাদের বিয়ে নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলাই উচিত নয়। হাইকোর্টের এই রায়ে তীব্র অসন্তোষ জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। তারা হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করতে চলেছে। উল্লেখ্য, জোর করে, প্রলোভন দেখিয়ে, জবরদস্তি করে ধর্মান্তরিত বা বিয়েকে আটকাতে এই আইন আনে মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু, হাইকোর্ট বলেছে, প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগ করা যাবে না।

 

আরও পড়ুন: মাহমুদাবাদ মামলা: তদন্তে দেরি নিয়ে সিটকে ভর্ৎসনায় করল সুপ্রিম কোর্ট

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে না জানিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ভিনধর্মী যুবক-যুবতীকে অভিযুক্ত করা থেকে  বিরত রাখতে হাইকোর্ট যে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিল তাকে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহান সরকার। হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল, ‘মধ্যপ্রদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন’-এর ১০ নম্বর ধারার অধীনে যেন কোনও প্রাপ্তবয়স্ককে অভিযুক্ত করা না হয় যারা নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করেছে।

আরও পড়ুন: ‘উদয়পুর ফাইলস’ মামলা: কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শীর্ষ আদালত

 

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের এসআইআর বন্ধের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা

শুধু তাই নয়, ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি পি সি গুপ্তার বেঞ্চের অভিমত, মধ্যপ্রদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন’-এর ১০ নম্বর ধারার বলা হয়েছে, ধর্মান্তরণে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে আবশ্যিক হিসেবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই বিষয়ে আগাম ঘোষণা দিতে হবে। আদালতের দৃষ্টিভঙ্গিতে এই ধরনের নির্দেশ অসাংবিধানিক। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সাতটি পিটিশন দাখিল হয় হাইকোর্টে। সেইসব মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট।

 

পাশাপাশি, আদালতের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে ৩ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে পিটিশনের প্রতিটি অনুচ্ছেদ ধরে ধরে জবাব দেওয়ার জন্য। হাইকোর্টের এই অভিমত প্রসঙ্গে সলিসিটর জেনারেল তথা সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত সিং বলেন, হাইকোর্ট বলেছে স্বেচ্ছায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া প্রাপ্তবয়স্কদের রাজ্যের ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের ১০ নম্বর ধারায় বিচার করা যাবে না। আমরা উচ্চ আদালতের এই অন্তর্বর্তী রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে যাচ্ছি।