২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমেছে: রাষ্ট্রসংঘ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 63

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ‘ক্ষুধা এবং খাদ্য ব্যবস্থার বিপর্যয়’ মোকাবিলায় বিশ্বকে একজোট হয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের সামনে গুতেরেস বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌’যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহে সুদূরপ্রসারী বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি করে যা দরিদ্রদের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলে।’ আরও বলেন, ‘এই যুদ্ধ ইউক্রেনকে ছাড়িয়ে গেছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ ও দেশগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’ তাঁর মতে, যুদ্ধের আগেও উন্নয়নশীল দেশগুলো ‘রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে লড়াই করছিল।’ ‍‌‌‌‌‌‌’আর এখন তাদের রুটির ঝুড়িতে বোমা ফেলা হচ্ছে’ উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, ইউক্রেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অর্ধেকেরও বেশি গম সরবরাহ করে। তিনি সতর্ক করেন, রাষ্ট্রসংঘের বৈশ্বিক খাদ্য মূল্যের সূচক সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে এবং বিশ্বের ৪৫টিরও বেশি দেশ তাদের গমের চাহিদার অন্তত এক-তৃতীয়াংশ ইউক্রেন বা রাশিয়া থেকে আমদানি করে। এ সব দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বুরকিনা ফাসো, মিশর, কঙ্গো, লেবানন, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন। তাই তিনি বলেন, ‘ক্ষুধার তাণ্ডব এবং বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থার বিপর্যয় এড়াতে আমাদের অবশ্যই যথাসাধ্য চেষ্টা চালাতে হবে।’ ফের একবার যুদ্ধ বন্ধের ডাক দিয়েছেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: ১২ কোটির বেশি লোক হিংসার শিকার হয়ে ঘরছাড়া এ বিশ্বে

 

আরও পড়ুন: পৃথিবীতে টিকে থাকতে গেলে চাই গতি, গতিই এদের করেছে শ্রেষ্ঠ

 

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘ ‘অপ্রাসঙ্গিক’: আন্তর্জাতিক সংস্থার তীব্র সমালোচনা মোদির

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিশ্ব খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমেছে: রাষ্ট্রসংঘ

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ‘ক্ষুধা এবং খাদ্য ব্যবস্থার বিপর্যয়’ মোকাবিলায় বিশ্বকে একজোট হয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে। নিউ ইয়র্কে সাংবাদিকদের সামনে গুতেরেস বলেন, ‍‌‌‌‌‌‌’যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহে সুদূরপ্রসারী বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি করে যা দরিদ্রদের ওপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলে।’ আরও বলেন, ‘এই যুদ্ধ ইউক্রেনকে ছাড়িয়ে গেছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ ও দেশগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’ তাঁর মতে, যুদ্ধের আগেও উন্নয়নশীল দেশগুলো ‘রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি, ক্রমবর্ধমান সুদের হার এবং ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে লড়াই করছিল।’ ‍‌‌‌‌‌‌’আর এখন তাদের রুটির ঝুড়িতে বোমা ফেলা হচ্ছে’ উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, ইউক্রেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অর্ধেকেরও বেশি গম সরবরাহ করে। তিনি সতর্ক করেন, রাষ্ট্রসংঘের বৈশ্বিক খাদ্য মূল্যের সূচক সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে এবং বিশ্বের ৪৫টিরও বেশি দেশ তাদের গমের চাহিদার অন্তত এক-তৃতীয়াংশ ইউক্রেন বা রাশিয়া থেকে আমদানি করে। এ সব দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বুরকিনা ফাসো, মিশর, কঙ্গো, লেবানন, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন। তাই তিনি বলেন, ‘ক্ষুধার তাণ্ডব এবং বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থার বিপর্যয় এড়াতে আমাদের অবশ্যই যথাসাধ্য চেষ্টা চালাতে হবে।’ ফের একবার যুদ্ধ বন্ধের ডাক দিয়েছেন তিনি।

 

আরও পড়ুন: ১২ কোটির বেশি লোক হিংসার শিকার হয়ে ঘরছাড়া এ বিশ্বে

 

আরও পড়ুন: পৃথিবীতে টিকে থাকতে গেলে চাই গতি, গতিই এদের করেছে শ্রেষ্ঠ

 

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘ ‘অপ্রাসঙ্গিক’: আন্তর্জাতিক সংস্থার তীব্র সমালোচনা মোদির