১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাজতের ১০ দিনের ইতিহাস জানলে অবাক হয়ে যাবেন!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার
  • / 23

প্রতীকী ছবি

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ  বরকতময় সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। রমজান মাস হল মুমিনের জীবনে রহমতের বসন্তকাল। নবী করীম (সা.) বলেছেন, রমজানের প্রথম দশ দিন হচ্ছে রহমতের দিন, অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের ওপর রহমত বর্ষণ করতে থাকেন। রহমতের পরে আসে মাগফিরাতের ১০ দিন অর্থাৎ ক্ষমা প্রার্থনার ১০ দিন । এই সময়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাইতে হয়, এবং সর্বজাহানের মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ক্ষমা করে থাকেন। আর শেষের দশ দিন হয় – নাজাতের দশ দিন।

নাজতের ১০ দিনের ইতিহাস জানলে অবাক হয়ে যাবেন!
প্রতীকী ছবি 

আপনি কি জানেন নাজাত মানে কি?

আরও পড়ুন: Darjeeling Tea: ১৬৯ বছরের ইতিহাসে উৎপাদন সর্বনিম্ন, চিন্তায় চা চাষিরা

নাজাত মানে হল মুক্তি। শেষ ১০ দিনে বান্দার জন্য নাজাতের ফায়সালা করেন মহান রাব্বুল আলামিন। হাদিস শরিফে এই সময়কে জাহান্নাম থেকে মুক্তির সময় বলা হয়েছে। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, ‘যখন রমজানের শেষ ১০ রাত আসত, তখন নবী করিম (সা.) বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন এবং রাত জেগে থাকতেন। আর পরিবার-পরিজনকেও তিনি জাগিয়ে দিতেন। ’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১০৫৩)

আরও পড়ুন: ইতিহাসের ‘সবচেয়ে উষ্ণতম’ দিন বিশ্বে

নাজতের ১০ দিনের ইতিহাস জানলে অবাক হয়ে যাবেন!
প্রতীকী ছবি

কেন নাজাতের দশ দিন এতটা গুরুত্বপূর্ণ !

আরও পড়ুন: স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সাবধান, চোখ রাঙাচ্ছে নতুন অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যার  ‘ডাম’  

রমজান মাসের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ দিন হলো শেষ ১০ দিন। কেননা এই ১০ দিনেই আছে পবিত্র শবেকদর অর্থাৎ লাইলাতুল কদর। শবেকদর সম্পর্কে আল্লহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআন শরিফে বলেছেন ‘নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে। তুমি কি জানো, লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হলও হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। ’ (সুরা : কদর, আয়াত : ১-৩)

নাজতের ১০ দিনের ইতিহাস জানলে অবাক হয়ে যাবেন!
আল্লাহর নবী সাঃ শেষের বিজোড় দিন গুলোকে তালাশ করতে বলেছেন। লাইলাতুল কদরের অর্থ হলও মহাসম্মানীয় রজনী। এই রাতে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাইতে হয়। জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় নিয়োজিত হতে হয় ।খালেশ অন্তরে আল্লাহর কাছে ইবাদত করতে হবে।

এই রাতের ফজিলত ?

নাজতের ১০ দিনের ইতিহাস জানলে অবাক হয়ে যাবেন!
এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।এই রাতের সব থেকে বেশি ফযিলত হল – এই রাত আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অন্য কোনও নবিকে দেননি। এই রাত শুধু উম্মাতি মোহাম্মাদ অর্থাৎ শেষ জামানার নবী ও তাঁর উম্মতকে দিয়েছেন।

২। এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব হতে পারে, এই রাতের ইবাদতে তার চেয়েও বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে। এ রাতের কারণেই পুরো রমজান তাৎপর্য ও ফজিলতপূর্ণ হয়েছে।

 

৩। এই ১০ দিনে বেশি পরিমাণে কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। পাশাপাশি এই ১০ দিনে বেশি বেশি দোয়া করা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমি যদি কদরের রাত পেয়ে যাই, তাহলে কী দোয়া পড়ব? তিনি তাঁকে এই দোয়া শিখিয়ে দেন। ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউ-উন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা‘ফু আন্নি। ’

 

অর্থ : হে আল্লাহ, তুমি ক্ষমাকারী, তুমি ক্ষমা করতেই ভালোবাসো। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮৫০)

নাজতের ১০ দিনের ইতিহাস জানলে অবাক হয়ে যাবেন!
ইবাদত বন্দেগী

তাই রমজানের বিগত দিনগুলো যাদের অবহেলায় কেটে গেছে, রমজানের শেষ ১০ দিন তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুবর্ণ সময়। আর কিছুতেই অবহেলা করা উচিত নয়। আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি ইবাদত করার তৌফিক দান করুণ। আমিন

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নাজতের ১০ দিনের ইতিহাস জানলে অবাক হয়ে যাবেন!

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ  বরকতময় সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। রমজান মাস হল মুমিনের জীবনে রহমতের বসন্তকাল। নবী করীম (সা.) বলেছেন, রমজানের প্রথম দশ দিন হচ্ছে রহমতের দিন, অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের ওপর রহমত বর্ষণ করতে থাকেন। রহমতের পরে আসে মাগফিরাতের ১০ দিন অর্থাৎ ক্ষমা প্রার্থনার ১০ দিন । এই সময়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাইতে হয়, এবং সর্বজাহানের মালিক আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ক্ষমা করে থাকেন। আর শেষের দশ দিন হয় – নাজাতের দশ দিন।

নাজতের ১০ দিনের ইতিহাস জানলে অবাক হয়ে যাবেন!
প্রতীকী ছবি 

আপনি কি জানেন নাজাত মানে কি?

আরও পড়ুন: Darjeeling Tea: ১৬৯ বছরের ইতিহাসে উৎপাদন সর্বনিম্ন, চিন্তায় চা চাষিরা

নাজাত মানে হল মুক্তি। শেষ ১০ দিনে বান্দার জন্য নাজাতের ফায়সালা করেন মহান রাব্বুল আলামিন। হাদিস শরিফে এই সময়কে জাহান্নাম থেকে মুক্তির সময় বলা হয়েছে। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, ‘যখন রমজানের শেষ ১০ রাত আসত, তখন নবী করিম (সা.) বেশি বেশি ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন এবং রাত জেগে থাকতেন। আর পরিবার-পরিজনকেও তিনি জাগিয়ে দিতেন। ’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১০৫৩)

আরও পড়ুন: ইতিহাসের ‘সবচেয়ে উষ্ণতম’ দিন বিশ্বে

নাজতের ১০ দিনের ইতিহাস জানলে অবাক হয়ে যাবেন!
প্রতীকী ছবি

কেন নাজাতের দশ দিন এতটা গুরুত্বপূর্ণ !

আরও পড়ুন: স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সাবধান, চোখ রাঙাচ্ছে নতুন অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যার  ‘ডাম’  

রমজান মাসের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ দিন হলো শেষ ১০ দিন। কেননা এই ১০ দিনেই আছে পবিত্র শবেকদর অর্থাৎ লাইলাতুল কদর। শবেকদর সম্পর্কে আল্লহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কুরআন শরিফে বলেছেন ‘নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে। তুমি কি জানো, লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হলও হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। ’ (সুরা : কদর, আয়াত : ১-৩)

নাজতের ১০ দিনের ইতিহাস জানলে অবাক হয়ে যাবেন!
আল্লাহর নবী সাঃ শেষের বিজোড় দিন গুলোকে তালাশ করতে বলেছেন। লাইলাতুল কদরের অর্থ হলও মহাসম্মানীয় রজনী। এই রাতে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাইতে হয়। জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় নিয়োজিত হতে হয় ।খালেশ অন্তরে আল্লাহর কাছে ইবাদত করতে হবে।

এই রাতের ফজিলত ?

নাজতের ১০ দিনের ইতিহাস জানলে অবাক হয়ে যাবেন!
এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।এই রাতের সব থেকে বেশি ফযিলত হল – এই রাত আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অন্য কোনও নবিকে দেননি। এই রাত শুধু উম্মাতি মোহাম্মাদ অর্থাৎ শেষ জামানার নবী ও তাঁর উম্মতকে দিয়েছেন।

২। এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব হতে পারে, এই রাতের ইবাদতে তার চেয়েও বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে। এ রাতের কারণেই পুরো রমজান তাৎপর্য ও ফজিলতপূর্ণ হয়েছে।

 

৩। এই ১০ দিনে বেশি পরিমাণে কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। পাশাপাশি এই ১০ দিনে বেশি বেশি দোয়া করা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমি যদি কদরের রাত পেয়ে যাই, তাহলে কী দোয়া পড়ব? তিনি তাঁকে এই দোয়া শিখিয়ে দেন। ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউ-উন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা‘ফু আন্নি। ’

 

অর্থ : হে আল্লাহ, তুমি ক্ষমাকারী, তুমি ক্ষমা করতেই ভালোবাসো। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৮৫০)

নাজতের ১০ দিনের ইতিহাস জানলে অবাক হয়ে যাবেন!
ইবাদত বন্দেগী

তাই রমজানের বিগত দিনগুলো যাদের অবহেলায় কেটে গেছে, রমজানের শেষ ১০ দিন তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুবর্ণ সময়। আর কিছুতেই অবহেলা করা উচিত নয়। আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি ইবাদত করার তৌফিক দান করুণ। আমিন