১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে চায় ইউনূস সরকার

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 244

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ছাত্র ও সাধারণ মানুষের নেতৃত্বে ঘটে যাওয়া গণ-অভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে চায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্র্বতী সরকার। এই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নামে পরিচিত হয়। সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে তা চূড়ান্ত করতে চায় সরকার।

এই ঘোষণাপত্র তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে। তিনিই খসড়া প্রস্তাবটি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছেন। সরকার চায়, এই ঘোষণাপত্রটি শুধু রাজনৈতিক দলিল হিসেবে নয়, সংবিধানেই স্থান পাক।

খসড়া ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ যুগ যুগ ধরে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে এসেছে, যার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে। এতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তাঁর ভারতের পালিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী সরকারের গণহত্যা ও দুর্নীতির বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের সূত্র বলছে, মঙ্গলবার ও বুধবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই ঘোষণাপত্র ও রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। খসড়ায় ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান পর্যন্ত উল্লেখ থাকলেও, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বা ‘৬৯-এর গণ-আন্দোলনের মতো ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ নেই। বিএনপি এই বিষয়গুলো সংযোজনের দাবিতে প্রস্তাব দিতে পারে। ঘোষণাপত্রের ভাষা ও শধচয়ন নিয়েও কিছু আপত্তি আছে বিএনপির। নেতাদের মতে, সেখানে কিছু মারপ্যাঁচ রয়েছে, যা পরিবর্তনের প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু বাংলাদেশের অমর একুশে বইমেলা

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এই ঘোষণাপত্রের উদ্যোগ নেয়। যদিও ইউনূস সরকারের অনুরোধে তারা তখন তা প্রকাশ করেনি। পরবর্তীতে সরকার খসড়া পাঠালেও দীর্ঘদিন কার্যকর কোনও উদ্যোগ নেয়নি। তবে ১০ মে জাতীয় নাগরিক পার্টির চাপের মুখে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করা হবে।

আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচন: ঐতিহাসিক জয় শিবিরের

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তঘোষণাপত্র মূলত রাজনৈতিক দলিল। তবে জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানকে সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে যুক্ত করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

আরও পড়ুন: Jucsu polls: জাকসুর ফল প্রকাশ সন্ধ্যা ৭-টায়

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে চায় ইউনূস সরকার

আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ছাত্র ও সাধারণ মানুষের নেতৃত্বে ঘটে যাওয়া গণ-অভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে চায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্র্বতী সরকার। এই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নামে পরিচিত হয়। সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছে। আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে তা চূড়ান্ত করতে চায় সরকার।

এই ঘোষণাপত্র তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে। তিনিই খসড়া প্রস্তাবটি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছেন। সরকার চায়, এই ঘোষণাপত্রটি শুধু রাজনৈতিক দলিল হিসেবে নয়, সংবিধানেই স্থান পাক।

খসড়া ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণ যুগ যুগ ধরে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে এসেছে, যার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে। এতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তাঁর ভারতের পালিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামী সরকারের গণহত্যা ও দুর্নীতির বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়েছে। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের সূত্র বলছে, মঙ্গলবার ও বুধবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই ঘোষণাপত্র ও রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। খসড়ায় ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান পর্যন্ত উল্লেখ থাকলেও, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বা ‘৬৯-এর গণ-আন্দোলনের মতো ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ নেই। বিএনপি এই বিষয়গুলো সংযোজনের দাবিতে প্রস্তাব দিতে পারে। ঘোষণাপত্রের ভাষা ও শধচয়ন নিয়েও কিছু আপত্তি আছে বিএনপির। নেতাদের মতে, সেখানে কিছু মারপ্যাঁচ রয়েছে, যা পরিবর্তনের প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: ১৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু বাংলাদেশের অমর একুশে বইমেলা

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এই ঘোষণাপত্রের উদ্যোগ নেয়। যদিও ইউনূস সরকারের অনুরোধে তারা তখন তা প্রকাশ করেনি। পরবর্তীতে সরকার খসড়া পাঠালেও দীর্ঘদিন কার্যকর কোনও উদ্যোগ নেয়নি। তবে ১০ মে জাতীয় নাগরিক পার্টির চাপের মুখে সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করা হবে।

আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচন: ঐতিহাসিক জয় শিবিরের

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তঘোষণাপত্র মূলত রাজনৈতিক দলিল। তবে জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানকে সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে যুক্ত করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।

আরও পড়ুন: Jucsu polls: জাকসুর ফল প্রকাশ সন্ধ্যা ৭-টায়