০৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার
  • / 85

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শরীরতত্ত্বে ২০২৫ সালের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী মেরি ই. ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র‌্যামসডেল এবং জাপানের শিমন সাকাগুচি। মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম কীভাবে নিজের শরীরকে আক্রমণ না করে তা নিয়ন্ত্রণে রাখে; সেই মৌলিক প্রক্রিয়া ‘পরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’-এর রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাঁদের এই সম্মান দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সুইডেনের স্টকহোমে ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

নোবেল কমিটি জানায়, ইমিউন সিস্টেম মানবদেহকে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। কিন্তু এই শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে এটি নিজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে দেখা দেয় নানা অটোইমিউন রোগ। এই জটিল প্রক্রিয়া কীভাবে দেহের ভেতরে নিয়ন্ত্রিত থাকে, সেটিই উন্মোচন করেছেন এই তিন বিজ্ঞানী।

গবেষণায় তাঁরা শনাক্ত করেন এক বিশেষ প্রকারের রোগপ্রতিরোধক কোষ; ‘রেগুলেটরি টি সেল’। এই কোষগুলো শরীরের অন্য ‘টি সেল’-এর কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেহকে নিজের টিস্যু ও অঙ্গকে আক্রমণ করা থেকে বিরত রাখে। এই আবিষ্কার মানবদেহের ইমিউন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার এক নতুন মাত্রা উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যতের ক্যানসার, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস ও অন্যান্য অটোইমিউন রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাঁদের এই আবিষ্কার চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। নোবেল কমিটির মতে, এই তিন গবেষকের কাজ ‘মানবদেহের ভেতরের ভারসাম্যের রহস্য উন্মোচনের ইতিহাসে এক মাইলফলক।’

মেরি ই. ব্রাঙ্কো প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করার পর বর্তমানে সিয়াটলের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজিতে সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। ফ্রেড র‌্যামসডেল লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন এবং এখন সান ফ্রান্সিসকোর সোনোমা বায়োথেরাপিউটিকসে বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন। অন্যদিকে জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গবেষক শিমন সাকাগুচি বর্তমানে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজি ফ্রন্টিয়ার রিসার্চ সেন্টারে অধ্যাপক।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী

আপডেট : ৬ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শরীরতত্ত্বে ২০২৫ সালের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী মেরি ই. ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র‌্যামসডেল এবং জাপানের শিমন সাকাগুচি। মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম কীভাবে নিজের শরীরকে আক্রমণ না করে তা নিয়ন্ত্রণে রাখে; সেই মৌলিক প্রক্রিয়া ‘পরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’-এর রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাঁদের এই সম্মান দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সুইডেনের স্টকহোমে ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

নোবেল কমিটি জানায়, ইমিউন সিস্টেম মানবদেহকে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। কিন্তু এই শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তবে এটি নিজের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে দেখা দেয় নানা অটোইমিউন রোগ। এই জটিল প্রক্রিয়া কীভাবে দেহের ভেতরে নিয়ন্ত্রিত থাকে, সেটিই উন্মোচন করেছেন এই তিন বিজ্ঞানী।

গবেষণায় তাঁরা শনাক্ত করেন এক বিশেষ প্রকারের রোগপ্রতিরোধক কোষ; ‘রেগুলেটরি টি সেল’। এই কোষগুলো শরীরের অন্য ‘টি সেল’-এর কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেহকে নিজের টিস্যু ও অঙ্গকে আক্রমণ করা থেকে বিরত রাখে। এই আবিষ্কার মানবদেহের ইমিউন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার এক নতুন মাত্রা উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যতের ক্যানসার, ডায়াবেটিস, আর্থরাইটিস ও অন্যান্য অটোইমিউন রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাঁদের এই আবিষ্কার চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। নোবেল কমিটির মতে, এই তিন গবেষকের কাজ ‘মানবদেহের ভেতরের ভারসাম্যের রহস্য উন্মোচনের ইতিহাসে এক মাইলফলক।’

মেরি ই. ব্রাঙ্কো প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করার পর বর্তমানে সিয়াটলের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজিতে সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। ফ্রেড র‌্যামসডেল লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন এবং এখন সান ফ্রান্সিসকোর সোনোমা বায়োথেরাপিউটিকসে বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন। অন্যদিকে জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গবেষক শিমন সাকাগুচি বর্তমানে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজি ফ্রন্টিয়ার রিসার্চ সেন্টারে অধ্যাপক।