ঢাকায় বাসে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণ: ১৭ হাজার পুলিশ মোতায়েন, সর্বোচ্চ সতর্কতায় প্রশাসন
- আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 23
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সোমবার একাধিক স্থানে বাসে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচির আগেই এই ঘটনা ঘটে, যা ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে রাজধানীজুড়ে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, আগামী ১৩ নভেম্বরের কর্মসূচি ঘিরে শহরজুড়ে ১৭ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও মাঠে থাকবেন। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে রাজধানীর প্রবেশপথ, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা, কূটনৈতিক এলাকা ও আবাসিক মহল্লাগুলোয়।
সোমবার সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভোরে বাড্ডা ও শাহজাদপুরে আরও দুটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগানো হয়। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া মিরপুর, খিলগাঁও, মোহাম্মদপুর, বাংলাদেশ বেতার ভবন ও এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেলমেট পরা মোটরসাইকেল আরোহীরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে,“রাস্তায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলেই গ্রেপ্তার করা হবে।” ইতিমধ্যেই অভিযানে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩৪ নেতা,কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিএমপি এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সব ধরনের সভা–সমাবেশ ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “নাগরিকদের সহযোগিতা পেলে এসব চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিরোধ আরও সহজ হবে।” ইতিমধ্যে ককটেল হামলায় জড়িত সন্দেহে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর সব গির্জা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।




























