০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিহার নির্বাচন: অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেলকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করল কংগ্রেস

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার
  • / 67

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এবার ঝাঁপিয়ে পড়ল কংগ্রেস। এ রাজ্যে ভোটযুদ্ধের কৌশল সাজাতে দায়িত্ব পেলেন দলের শীর্ষ নেতারা। এঁরা হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল ও লোকসভায় প্রাক্তন দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এই তিনজনকে সিনিয়র অবজার্ভার বা পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি, নির্বাচন পরিচালনায় অভিজ্ঞ এমন ৪১ জন সিনিয়র নেতা-কর্মীকে জেলার দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে।

দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এই নিয়োগে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানান কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে.সি. বেণুগোপাল। গেহলট ও বাঘেল গত কয়েক বছরে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, অন্যদিকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় পারদর্শী।

আরও পড়ুন: বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা পর্যায়ের নির্বাচনী দায়িত্বেও এমন নেতাদেরই বেছে নেওয়া হয়েছে যাঁরা অভিজ্ঞ ও তৃণমূল স্তরে কাজে দক্ষ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত অবিনাশ পাণ্ডে, সিডব্লিউসি সদস্য কমলেশ্বর প্যাটেল, ইন-চার্জ হরিশ চৌধুরী, কাজি নিজামুদ্দিন ও অজয় কুমার লল্লু।এই তালিকায় আরও রয়েছেন রাজ্য সভাপতি ভক্তচরণ দাস, অজয় রাই ও শুভঙ্কর সরকার, আদিবাসী কংগ্রেস প্রধান ড. বিক্রান্ত ভুরিয়া, সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী ও তনুজ পুনিয়া, দিল্লির প্রাক্তন সভাপতি অনিল চৌধুরী এবং যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বি.ভি. শ্রীনিবাস।

বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের সূচি এই সপ্তাহেই ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তাই তার আগে প্রস্তুতি সেরে ফেলছে কংগ্রেস। শনিবার পাটনায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো জানিয়েছে, উৎসবের পরপরই ভোট প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং তা দু’ধাপে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এবার সংগঠন শক্তিশালী করে আগের তুলনায় ভালো ফলের আশায় রয়েছে কংগ্রেস। গত নির্বাচনে জোটের অংশ হয়ে ৭০টি আসনে লড়েছিল এই দল, কিন্তু জিতেছিল মাত্র ১৯টিতে। ভোট শেয়ার ছিল ৯.৪৮ শতাংশ। ২০১৫ সালে জেডিইউ জোটে থাকাকালীন কংগ্রেস ৪১টির মধ্যে ২৭টি আসনে জিতেছিল, তখন ভোট শেয়ার ছিল ৬.৬ শতাংশ।

এইবার কংগ্রেসের লক্ষ্য সংখ্যার চেয়ে তগুণগতদ আসন লাভ করা, অর্থাৎ এমন আসন যেখানে জয়ের সম্ভাবনা বেশি। রাজ্য নেতারা বলছেন, লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে হওয়া ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ বিপুল সাড়া ফেলেছে। এই যাত্রা আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেস দলের পক্ষে জনমত তৈরি করছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিহার নির্বাচন: অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেলকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করল কংগ্রেস

আপডেট : ৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এবার ঝাঁপিয়ে পড়ল কংগ্রেস। এ রাজ্যে ভোটযুদ্ধের কৌশল সাজাতে দায়িত্ব পেলেন দলের শীর্ষ নেতারা। এঁরা হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল ও লোকসভায় প্রাক্তন দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এই তিনজনকে সিনিয়র অবজার্ভার বা পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি, নির্বাচন পরিচালনায় অভিজ্ঞ এমন ৪১ জন সিনিয়র নেতা-কর্মীকে জেলার দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে।

দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এই নিয়োগে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানান কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে.সি. বেণুগোপাল। গেহলট ও বাঘেল গত কয়েক বছরে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, অন্যদিকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীও নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় পারদর্শী।

আরও পড়ুন: বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা পর্যায়ের নির্বাচনী দায়িত্বেও এমন নেতাদেরই বেছে নেওয়া হয়েছে যাঁরা অভিজ্ঞ ও তৃণমূল স্তরে কাজে দক্ষ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ও উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত অবিনাশ পাণ্ডে, সিডব্লিউসি সদস্য কমলেশ্বর প্যাটেল, ইন-চার্জ হরিশ চৌধুরী, কাজি নিজামুদ্দিন ও অজয় কুমার লল্লু।এই তালিকায় আরও রয়েছেন রাজ্য সভাপতি ভক্তচরণ দাস, অজয় রাই ও শুভঙ্কর সরকার, আদিবাসী কংগ্রেস প্রধান ড. বিক্রান্ত ভুরিয়া, সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী ও তনুজ পুনিয়া, দিল্লির প্রাক্তন সভাপতি অনিল চৌধুরী এবং যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বি.ভি. শ্রীনিবাস।

বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের সূচি এই সপ্তাহেই ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তাই তার আগে প্রস্তুতি সেরে ফেলছে কংগ্রেস। শনিবার পাটনায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলো জানিয়েছে, উৎসবের পরপরই ভোট প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং তা দু’ধাপে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এবার সংগঠন শক্তিশালী করে আগের তুলনায় ভালো ফলের আশায় রয়েছে কংগ্রেস। গত নির্বাচনে জোটের অংশ হয়ে ৭০টি আসনে লড়েছিল এই দল, কিন্তু জিতেছিল মাত্র ১৯টিতে। ভোট শেয়ার ছিল ৯.৪৮ শতাংশ। ২০১৫ সালে জেডিইউ জোটে থাকাকালীন কংগ্রেস ৪১টির মধ্যে ২৭টি আসনে জিতেছিল, তখন ভোট শেয়ার ছিল ৬.৬ শতাংশ।

এইবার কংগ্রেসের লক্ষ্য সংখ্যার চেয়ে তগুণগতদ আসন লাভ করা, অর্থাৎ এমন আসন যেখানে জয়ের সম্ভাবনা বেশি। রাজ্য নেতারা বলছেন, লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে হওয়া ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ বিপুল সাড়া ফেলেছে। এই যাত্রা আসন্ন নির্বাচনে কংগ্রেস দলের পক্ষে জনমত তৈরি করছে।