২৬ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতির আপত্তিতে ফেরত ‘অপরাজিতা বিল’, রাজ্যকে ব্যাখ্যা চাইল রাজভবন

আফিয়া‌‌ নৌশিন
  • আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 37

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ড ঘিরে উত্তাল রাজনীতির পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে কড়া আইন এনেছিল, সেই ‘অপরাজিতা বিল ২০২৪’ এবার রাষ্ট্রপতির আপত্তিতে ফেরত এল রাজভবনে। সূত্র অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে পাস হওয়া বিলটি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। তবে রাষ্ট্রপতি ভবন সম্প্রতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে বিলটি রাজভবনে ফেরত পাঠিয়েছে।

 

২০২৩ সালের ২৮ অগস্ট, আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ধর্ষণ ও নারকীয় অপরাধ রুখতে বিশেষ আইন আনবে রাজ্য। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ডাকা হয় বিশেষ অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই পাশ হয় ‘অপরাজিতা বিল’। যার মাধ্যমে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের কারণে মৃত্যুর ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির মনোনয়নে চমক: উজ্জ্বল নিকম, হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, সদানন্দন মাস্টার ও মীনাক্ষী জৈন মনোনীত

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, তদন্তে কমিটি

রাজভবন সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রশ্নগুলির ব্যাখ্যা রাজ‍্য সরকারের কাছে চাইবে রাজভবন। এরপর বিলটি রাজভবন থেকে পাঠানো হবে বিধানসভার সচিবালয়ে। সেখান থেকে বিল পৌঁছবে নবান্নে, ব্যাখ্যা প্রস্তুতির জন্য।

আরও পড়ুন: কিছু ইউরোপীয় রুশফোবিয়াকে কাজে লাগাচ্ছে­ রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি

 

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “ধর্ষণ ও খুনের সাজা যদি কারও কাছে ‘অত্যধিক নিষ্ঠুর’ মনে হয়, তাহলে সেই মানসিকতা প্রশ্নের মুখে পড়ে। অপরাজিতা বিল যদি ফেরত পাঠিয়ে থাকে কেন্দ্র, তবে তা নিন্দনীয়। বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তবে সত্যি হলে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাব।”

 

উল্লেখযোগ্য, ২০২৪ সালের শুরুতেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিলটি দ্রুত অনুমোদনের অনুরোধ জানায়। তৃণমূলের মহিলা সাংসদরাও রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে প্রাতরাশ বৈঠকে গিয়ে একই দাবি তোলেন। তখন তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, রাষ্ট্রপতি তাঁদের আশ্বস্ত করেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন।

 

রাজ্যের ‘অপরাজিতা বিল’-এর ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই নির্ভর করছে কেন্দ্রের বক্তব্য ও রাজ্য সরকারের ব্যাখ্যার উপর। তবে এই ঘটনায় কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত যে আরও বাড়তে চলেছে, তা কার্যত স্পষ্ট।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাষ্ট্রপতির আপত্তিতে ফেরত ‘অপরাজিতা বিল’, রাজ্যকে ব্যাখ্যা চাইল রাজভবন

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: আরজি কর হাসপাতাল কাণ্ড ঘিরে উত্তাল রাজনীতির পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে কড়া আইন এনেছিল, সেই ‘অপরাজিতা বিল ২০২৪’ এবার রাষ্ট্রপতির আপত্তিতে ফেরত এল রাজভবনে। সূত্র অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে পাস হওয়া বিলটি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে। তবে রাষ্ট্রপতি ভবন সম্প্রতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে বিলটি রাজভবনে ফেরত পাঠিয়েছে।

 

২০২৩ সালের ২৮ অগস্ট, আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ধর্ষণ ও নারকীয় অপরাধ রুখতে বিশেষ আইন আনবে রাজ্য। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ডাকা হয় বিশেষ অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই পাশ হয় ‘অপরাজিতা বিল’। যার মাধ্যমে ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের কারণে মৃত্যুর ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির মনোনয়নে চমক: উজ্জ্বল নিকম, হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, সদানন্দন মাস্টার ও মীনাক্ষী জৈন মনোনীত

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, তদন্তে কমিটি

রাজভবন সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রশ্নগুলির ব্যাখ্যা রাজ‍্য সরকারের কাছে চাইবে রাজভবন। এরপর বিলটি রাজভবন থেকে পাঠানো হবে বিধানসভার সচিবালয়ে। সেখান থেকে বিল পৌঁছবে নবান্নে, ব্যাখ্যা প্রস্তুতির জন্য।

আরও পড়ুন: কিছু ইউরোপীয় রুশফোবিয়াকে কাজে লাগাচ্ছে­ রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি

 

এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, “ধর্ষণ ও খুনের সাজা যদি কারও কাছে ‘অত্যধিক নিষ্ঠুর’ মনে হয়, তাহলে সেই মানসিকতা প্রশ্নের মুখে পড়ে। অপরাজিতা বিল যদি ফেরত পাঠিয়ে থাকে কেন্দ্র, তবে তা নিন্দনীয়। বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, তবে সত্যি হলে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাব।”

 

উল্লেখযোগ্য, ২০২৪ সালের শুরুতেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিলটি দ্রুত অনুমোদনের অনুরোধ জানায়। তৃণমূলের মহিলা সাংসদরাও রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে প্রাতরাশ বৈঠকে গিয়ে একই দাবি তোলেন। তখন তৃণমূল সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, রাষ্ট্রপতি তাঁদের আশ্বস্ত করেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন।

 

রাজ্যের ‘অপরাজিতা বিল’-এর ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই নির্ভর করছে কেন্দ্রের বক্তব্য ও রাজ্য সরকারের ব্যাখ্যার উপর। তবে এই ঘটনায় কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত যে আরও বাড়তে চলেছে, তা কার্যত স্পষ্ট।