র্যান্টাক জিনট্যাক অ্যাসিলকে ক্যানসারের উপাদান খতিয়ে দেখার নির্দেশ কেন্দ্রের
- আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২৫, রবিবার
- / 2
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ গ্যাস অম্বল পেটব্যথার উপশমে বাজারে প্রচলিত র্যান্টাক জিনট্যাক অ্যাসিলক নামের ওষুধ নিয়ে সাবধানী কেন্দ্র সরকার। র্যান্টিডিন গোত্রের ওই সব মেডিসিনে ক্যানসারের উপাদান কতটা পরিমাণে রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে বলল ‘সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন’ (সিডিএসসিও)। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলিকে নির্দেশ, র্যান্টিডিন হল হিস্টামিন-২ ব্লকার গ্রুপের ওষুধ। এই ওষুধ তৈরি করার সময়ে এন-নাইট্রোসোডিমিথাইলামাইনের (এনডিএমএ) মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে। ওই ওষুধ যাতে দীর্ঘ দিন ধরে দোকানে পড়ে না থাকে, তা-ও দেখতে হবে। এই ধরনের ওষুধের বেশি ব্যবহারে ক্যানসার হতে পারে, এই সম্ভাবনা নিয়ে চর্চা চলছিল অনেক দিন ধরেই।
র্যান্টিডিনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য গত বছরের ডিসেম্বরে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির জমা দেওয়া রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সিডিএসসিও। ২০১৯ সাল থেকে র্যান্টিডিন ওষুধ নিয়ে নানা রকম অভিযোগ উঠতে শুরু করে। আমেরিকার খাদ্য এবং ওষুধ নিয়ামক সংস্থা (এফডিএ) অভিযোগ করে, ক্যানসারের কারণ হতে পারে, এমন উপাদানের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে র্যান্টিডিনে। এই ওষুধ খেলে নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে, এমন খবরও রটে। আমেরিকায় এই ওষুধ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় ২০২০ সাল থেকে। ভারতেও ওষুধটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। দাবি করা হয়, এই র্যান্টিডিনে রয়েছে এন-নাইট্রোসোডিমিথাইলামাইন (এনডিএমএ) নামক একটি উপাদান, যা পাকস্থলি, খাদ্যনালি, মূত্রাশয়ের ক্যানসারের কারণ হতে পারে।