০৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হতাশ হওয়া মোমিনের লক্ষন না – হতাশা কাটানোর পাঁচটি উপায় !

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শনিবার
  • / 29

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  হতাশা  শব্দটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত । হতাশ হয়না এমন কোনও মানুষ নেই , জীবনের নানান ক্ষেত্রে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি । আমাদের জীবনে যেমন রয়েছে প্রাপ্তির সুখ, ঠিক তেমন ভাবেই রয়েছে না পাওয়ার দুঃখ । কিছু আশা পূরণ হলে যেমন খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়ি , ঠিক তেমন ভাবেই দুঃখতে আমরা ভেঙে পড়ি। ফলে হয়ে যায় হতাশাগ্রস্থ । কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের রব , তাঁর নিয়ামত থেকে নিরাশ হতে বারণ করেছে । তাই আমাদের হতাশ হওয়া একবারেই উচিত না ।

 

আরও পড়ুন: ইসলামের দাওয়াত সবার জন্য

এই হতাশা কাটানোর কয়েকটি কুরআনিক আয়াত –

আরও পড়ুন: জীবনকে বদলে দিতে পারে সুরা লোকমান!

 

আরও পড়ুন: অমুসলিমদের প্রতি মহানবী সা.-এর আচরণ

১- আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে। ( সূরা – আল ইমরান আয়াত – ১৩৯ )

 

২ – ‘কষ্টের সঙ্গেই তো স্বস্তি আছে, অবশ্যই কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি রয়েছে । ‘ (সুরা ৯৪ ইনশিরাহ, আয়াত: ৫-৬)

 

৩ – হতাশা কাটাতে সালাতুল হাজতের নামায পড়ুন , ইস্তেখারার নামাযসহ তাহাজ্জুদের নামায পড়তে পারেন । কেননা মহান রাব্বুল আলামিন কুরআন শরীফের এক সূরাই বলেছেন , হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন । ( সূরা বাকারা আয়াত – ১৫৩ )

 

৪ – সব সময় ইস্তিগফার পড় , নিজের গুনাহর ক্ষমা চাও ।

 

৫ – দুশ্চিন্তা ও মানসিক অস্থিরতা থেকে নাযাতের উদ্দেশ্যে হাদিসে বেশ কিছু দোয়ার কথা বলা হয়েছে ,ওই দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়ুন । রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি এমন একটি দোয়া সম্পর্কে অবগত আছি, কোনো বিপদগ্রস্ত লোক তা পাঠ করলে আল্লাহতাআলা তার সেই বিপদ দূর করে দেন । সেটি হচ্ছে আমার ভাই ইউনুস (আ.)-এর দোয়া । দোয়াটি হলো—‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ্বলিমীন । ’সুতারং হতাশ না হয়ে আল্লাহ তাআলার ওপর বিশ্বাস রাখুন । দুঃখ যে দেয় , সুখ ও সেই দেবে – এই বিশ্বাস রাখুন । আল্লাহপাক আমাদের বোঝার তৌফিক দান করুক আমীন । ছবি – প্রতীকী

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হতাশ হওয়া মোমিনের লক্ষন না – হতাশা কাটানোর পাঁচটি উপায় !

আপডেট : ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  হতাশা  শব্দটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত । হতাশ হয়না এমন কোনও মানুষ নেই , জীবনের নানান ক্ষেত্রে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি । আমাদের জীবনে যেমন রয়েছে প্রাপ্তির সুখ, ঠিক তেমন ভাবেই রয়েছে না পাওয়ার দুঃখ । কিছু আশা পূরণ হলে যেমন খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়ি , ঠিক তেমন ভাবেই দুঃখতে আমরা ভেঙে পড়ি। ফলে হয়ে যায় হতাশাগ্রস্থ । কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের রব , তাঁর নিয়ামত থেকে নিরাশ হতে বারণ করেছে । তাই আমাদের হতাশ হওয়া একবারেই উচিত না ।

 

আরও পড়ুন: ইসলামের দাওয়াত সবার জন্য

এই হতাশা কাটানোর কয়েকটি কুরআনিক আয়াত –

আরও পড়ুন: জীবনকে বদলে দিতে পারে সুরা লোকমান!

 

আরও পড়ুন: অমুসলিমদের প্রতি মহানবী সা.-এর আচরণ

১- আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে। ( সূরা – আল ইমরান আয়াত – ১৩৯ )

 

২ – ‘কষ্টের সঙ্গেই তো স্বস্তি আছে, অবশ্যই কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি রয়েছে । ‘ (সুরা ৯৪ ইনশিরাহ, আয়াত: ৫-৬)

 

৩ – হতাশা কাটাতে সালাতুল হাজতের নামায পড়ুন , ইস্তেখারার নামাযসহ তাহাজ্জুদের নামায পড়তে পারেন । কেননা মহান রাব্বুল আলামিন কুরআন শরীফের এক সূরাই বলেছেন , হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন । ( সূরা বাকারা আয়াত – ১৫৩ )

 

৪ – সব সময় ইস্তিগফার পড় , নিজের গুনাহর ক্ষমা চাও ।

 

৫ – দুশ্চিন্তা ও মানসিক অস্থিরতা থেকে নাযাতের উদ্দেশ্যে হাদিসে বেশ কিছু দোয়ার কথা বলা হয়েছে ,ওই দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়ুন । রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আমি এমন একটি দোয়া সম্পর্কে অবগত আছি, কোনো বিপদগ্রস্ত লোক তা পাঠ করলে আল্লাহতাআলা তার সেই বিপদ দূর করে দেন । সেটি হচ্ছে আমার ভাই ইউনুস (আ.)-এর দোয়া । দোয়াটি হলো—‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ্বলিমীন । ’সুতারং হতাশ না হয়ে আল্লাহ তাআলার ওপর বিশ্বাস রাখুন । দুঃখ যে দেয় , সুখ ও সেই দেবে – এই বিশ্বাস রাখুন । আল্লাহপাক আমাদের বোঝার তৌফিক দান করুক আমীন । ছবি – প্রতীকী