২১ জুন ২০২৫, শনিবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরব বিশ্বের ১৩ কোটি  মানুষ দারিদ্র্যের শিকার!

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 51

বিশেষ প্রতিবদন: করোনা মহামারি ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। আরব বিশ্বের পরিস্থিতিও বেশ নাজুক। সেখানে বাড়ছে দারিদ্র্য। লিবিয়া ও গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) দেশগুলো বাদে পশ্চিম এশিয়ার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দরিদ্র হয়ে জীবনযাপন করছে।

 

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

পশ্চিম এশিয়ায় করা রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘সার্ভে অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টস ইন দ্য আরব রিজিওন’ শীর্ষক ওই সমীক্ষায় বলা হয়, আরব দেশগুলোর ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্যের শিকার। তারা জাতীয় দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে।

আরও পড়ুন: দারিদ্র্যেরে অন্ধকারে ১০০ কোটি ভারতীয়!

 

আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্ব ভারতের ৫৫ শতাংশ মানুষ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর পক্ষে

সমীক্ষায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ২০২৪ সাল নাগাদ আরব বিশ্বে দারিদ্র্য আরও বাড়বে। আগামী ২ বছরে আরব বিশ্বের মোট ৩৬ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে। সমীক্ষায় আরও বলা হয়, গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব ছিল আরব অঞ্চলে। সেখানে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশেরও বেশি।

 

২০২৩ সালে বেকারত্বের হার কিছুটা কমে ১১ দশমিক ৭ শতাংশে নামতে পারে। করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বেকারত্ব কিছুটা কমতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে আরব অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। দেখা গিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকার লেবাননের মানুষ। দেশটির ২৯.২ ভাগ মানুষ কর্মহীন। সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি এবং ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় লেবাননে বেকার মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।

 

এদিকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত ইয়েমেনে বিরাজ করছে তীব্র খাদ্যসংকট। দেশটির লক্ষ লক্ষ শিশু অপুষ্টির শিকার। মানবিক বিপর্যয়ের মুখে দেশটি। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ইতিমধ্যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে আরব বিশ্বের কিছু দেশে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আরব বিশ্বের ১৩ কোটি  মানুষ দারিদ্র্যের শিকার!

আপডেট : ২ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার

বিশেষ প্রতিবদন: করোনা মহামারি ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। আরব বিশ্বের পরিস্থিতিও বেশ নাজুক। সেখানে বাড়ছে দারিদ্র্য। লিবিয়া ও গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) দেশগুলো বাদে পশ্চিম এশিয়ার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ দরিদ্র হয়ে জীবনযাপন করছে।

 

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

পশ্চিম এশিয়ায় করা রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘সার্ভে অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টস ইন দ্য আরব রিজিওন’ শীর্ষক ওই সমীক্ষায় বলা হয়, আরব দেশগুলোর ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্যের শিকার। তারা জাতীয় দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে।

আরও পড়ুন: দারিদ্র্যেরে অন্ধকারে ১০০ কোটি ভারতীয়!

 

আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্ব ভারতের ৫৫ শতাংশ মানুষ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর পক্ষে

সমীক্ষায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ২০২৪ সাল নাগাদ আরব বিশ্বে দারিদ্র্য আরও বাড়বে। আগামী ২ বছরে আরব বিশ্বের মোট ৩৬ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে। সমীক্ষায় আরও বলা হয়, গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেকারত্ব ছিল আরব অঞ্চলে। সেখানে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশেরও বেশি।

 

২০২৩ সালে বেকারত্বের হার কিছুটা কমে ১১ দশমিক ৭ শতাংশে নামতে পারে। করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বেকারত্ব কিছুটা কমতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে আরব অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশ ও ২০২৪ সালে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। দেখা গিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেকার লেবাননের মানুষ। দেশটির ২৯.২ ভাগ মানুষ কর্মহীন। সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি এবং ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় লেবাননে বেকার মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।

 

এদিকে গৃহযুদ্ধে জর্জরিত ইয়েমেনে বিরাজ করছে তীব্র খাদ্যসংকট। দেশটির লক্ষ লক্ষ শিশু অপুষ্টির শিকার। মানবিক বিপর্যয়ের মুখে দেশটি। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ইতিমধ্যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে আরব বিশ্বের কিছু দেশে।