০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কাশ্মীরে নিহত ২ সন্ত্রাসবাদী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 105

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের বারমুল্লায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই। নিহত দুই লস্কর-ই-তইবার সন্ত্রাসী। ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭  রাইফেল সহ পিস্তল উদ্ধার  হয়েছে । ফের সন্ত্রাস-দমন অভিযানে বড়সর সাফল্য পেল সুরক্ষা বাহিনী।

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোরে বারমুল্লার ওয়ানিগাম পায়েন ক্রিরি এলাকায় সন্ত্রাসীদের লুকিয়ে থাকার খবর মেলে। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা  ঘিরে  ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তা বাহিনীকে দেখে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। বাধ্য হয়ে পাল্টা গুলি চালায় সুরক্ষা বাহিনী। সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ওই  দুই সন্ত্রাসবাদীর। নিহত জঙ্গিদের নাম শাকির মাজিদ  ও হানাম আহমেদ শেহ। এক মাস আগে দু’জন লস্কর-ই-তইবা দলের সঙ্গে যুক্ত হন। দু’জনই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানায় এক পুলিশ আধিকারিক। এর আগে, বুধবার কাশ্মীরের কুপওয়াড়ায় নিরাপত্তা  বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে দুই সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়। ২৪  ঘণ্টার মধ্যে ফের এনকাউন্টার হল বারামুল্লায়।

ঘটনাপ্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শ্রীনগরের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, আগে থেকেই খবর ছিল এলওসি বা নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন মাছিল সেক্টর দিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা অনুপ্রবেশ করতে পারে। অত্যন্ত দুর্গম ও পাহাড়ি এলাকা দিয়ে তারা ভারতে  আসবে বলেই গোপন সূত্রে খবর ছিল। কথামাফিক এলাকাগুলিতেও মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশও। এছাড়াও সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকার কথা জানানো হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত মাসে কাশ্মীরের পুঞ্চে সেনা ট্রাকে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জইশ-ই-মুহাম্মদের সন্ত্রাসবাদীদের। গ্রেনেড হামলার জেরে ট্রাকে আগুন ধরে। ঝলসে মৃত্যু হয় পাঁচ জওয়ানের। ঈদ উপল্যক্ষে কাশ্মীরের একটি গ্রামে ফল বিলি করতে যাচ্ছিলেন ওই সেনা জওয়ানরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কাশ্মীরে নিহত ২ সন্ত্রাসবাদী

আপডেট : ৪ মে ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের বারমুল্লায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই। নিহত দুই লস্কর-ই-তইবার সন্ত্রাসী। ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭  রাইফেল সহ পিস্তল উদ্ধার  হয়েছে । ফের সন্ত্রাস-দমন অভিযানে বড়সর সাফল্য পেল সুরক্ষা বাহিনী।

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোরে বারমুল্লার ওয়ানিগাম পায়েন ক্রিরি এলাকায় সন্ত্রাসীদের লুকিয়ে থাকার খবর মেলে। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা  ঘিরে  ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তা বাহিনীকে দেখে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। বাধ্য হয়ে পাল্টা গুলি চালায় সুরক্ষা বাহিনী। সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ওই  দুই সন্ত্রাসবাদীর। নিহত জঙ্গিদের নাম শাকির মাজিদ  ও হানাম আহমেদ শেহ। এক মাস আগে দু’জন লস্কর-ই-তইবা দলের সঙ্গে যুক্ত হন। দু’জনই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানায় এক পুলিশ আধিকারিক। এর আগে, বুধবার কাশ্মীরের কুপওয়াড়ায় নিরাপত্তা  বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে দুই সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়। ২৪  ঘণ্টার মধ্যে ফের এনকাউন্টার হল বারামুল্লায়।

ঘটনাপ্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শ্রীনগরের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, আগে থেকেই খবর ছিল এলওসি বা নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন মাছিল সেক্টর দিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা অনুপ্রবেশ করতে পারে। অত্যন্ত দুর্গম ও পাহাড়ি এলাকা দিয়ে তারা ভারতে  আসবে বলেই গোপন সূত্রে খবর ছিল। কথামাফিক এলাকাগুলিতেও মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশও। এছাড়াও সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকার কথা জানানো হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, গত মাসে কাশ্মীরের পুঞ্চে সেনা ট্রাকে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জইশ-ই-মুহাম্মদের সন্ত্রাসবাদীদের। গ্রেনেড হামলার জেরে ট্রাকে আগুন ধরে। ঝলসে মৃত্যু হয় পাঁচ জওয়ানের। ঈদ উপল্যক্ষে কাশ্মীরের একটি গ্রামে ফল বিলি করতে যাচ্ছিলেন ওই সেনা জওয়ানরা।