০৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজও ৭০২ জনের শনাক্ত হয়নি

২০১৩ সালের কেদারনাথ বিপর্যয় : ফের শুরু হতে চলেছে কঙ্কালের অনুসন্ধান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
  • / 21

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ২০১৩ সালে কেদারনাথে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দুর্যোগে নিখোঁজ ব্যক্তিদের কঙ্কালের সন্ধান এ বছর আবার শুরু হতে পারে। সেই দুর্যোগে নিখোঁজ ৩০৭৫ জনকে আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ জন্য উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে একটি আবেদন দায়ের করা হয়েছিল।

আবেদনে সরকারকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের কঙ্কাল খুঁজে বের করে সম্মানের সাথে শেষকৃত্য করার আবেদন জানানো হয়েছিল। সরকার এ পর্যন্ত চারবার টিম পাঠিয়েছে। ২০১৩ সালের ১৬ জুন ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিধসে হয়েছিল, তাতে কেদারনাথ মন্দিরের বাইরে সর্বত্র ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়েছিল।

২০২০ সালে অনুসন্ধান টিম চাট্টি এবং গোমুখী এলাকায় ৭০৩টি কঙ্কাল উদ্ধার করে। ২০১৪ সালে ২১টি এবং ২০১৬ সালে ৯টি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে ১০টি টিম বিভিন্ন হাঁটাপথে অনুসন্ধানের জন্য বেরিয়েছিল, কিন্তু তারাও সাফল্য পায়নি। উদ্ধার হওয়া কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের আত্মীয়দের খুঁজে বের করা হয়। এতাবস্থায় এ বছর আবারও অনুসন্ধান দল পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব বিনোদ কুমার সুমনের মতে, এ বছরও অনুসন্ধান টিম পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট ২০১৬ সালে এবং পুনরায় ২০১৯ সালে রাজ্যকে ৩০৭৫ জন নিখোঁজ ব্যক্তির দেহাবশেষ অনুসন্ধান এবং শেষকৃত্য করার নির্দেশ দিয়েছিল। এই আদেশের পর সরকার কেদারনাথের আশেপাশের হাঁটাপথে অনুসন্ধান টিম পাঠিয়েছিল।

অন্যদিকে, কেদারনাথ বিপর্যয়ে নিহতদের মধ্যে ৭০২ জনের পরিচয় এ পর্যন্ত জানা যায়নি। পুলিশের কাছে এই মৃতদের ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট আছে। কিন্তু আজও তাদের পরিচয় জানা যায়নি। কারণ যে ৬ হাজার মানুষ তাদের ডিএনএ দিয়েছিলেন, তাদের কারও সঙ্গে তা মেলেনি। সেজন্য এখনও ৭০২ জনের লাশ শনাক্তের অপেক্ষায় রয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আজও ৭০২ জনের শনাক্ত হয়নি

২০১৩ সালের কেদারনাথ বিপর্যয় : ফের শুরু হতে চলেছে কঙ্কালের অনুসন্ধান

আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ২০১৩ সালে কেদারনাথে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দুর্যোগে নিখোঁজ ব্যক্তিদের কঙ্কালের সন্ধান এ বছর আবার শুরু হতে পারে। সেই দুর্যোগে নিখোঁজ ৩০৭৫ জনকে আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ জন্য উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টে একটি আবেদন দায়ের করা হয়েছিল।

আবেদনে সরকারকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের কঙ্কাল খুঁজে বের করে সম্মানের সাথে শেষকৃত্য করার আবেদন জানানো হয়েছিল। সরকার এ পর্যন্ত চারবার টিম পাঠিয়েছে। ২০১৩ সালের ১৬ জুন ভয়াবহ বন্যা এবং ভূমিধসে হয়েছিল, তাতে কেদারনাথ মন্দিরের বাইরে সর্বত্র ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়েছিল।

২০২০ সালে অনুসন্ধান টিম চাট্টি এবং গোমুখী এলাকায় ৭০৩টি কঙ্কাল উদ্ধার করে। ২০১৪ সালে ২১টি এবং ২০১৬ সালে ৯টি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে ১০টি টিম বিভিন্ন হাঁটাপথে অনুসন্ধানের জন্য বেরিয়েছিল, কিন্তু তারাও সাফল্য পায়নি। উদ্ধার হওয়া কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের আত্মীয়দের খুঁজে বের করা হয়। এতাবস্থায় এ বছর আবারও অনুসন্ধান দল পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব বিনোদ কুমার সুমনের মতে, এ বছরও অনুসন্ধান টিম পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট ২০১৬ সালে এবং পুনরায় ২০১৯ সালে রাজ্যকে ৩০৭৫ জন নিখোঁজ ব্যক্তির দেহাবশেষ অনুসন্ধান এবং শেষকৃত্য করার নির্দেশ দিয়েছিল। এই আদেশের পর সরকার কেদারনাথের আশেপাশের হাঁটাপথে অনুসন্ধান টিম পাঠিয়েছিল।

অন্যদিকে, কেদারনাথ বিপর্যয়ে নিহতদের মধ্যে ৭০২ জনের পরিচয় এ পর্যন্ত জানা যায়নি। পুলিশের কাছে এই মৃতদের ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট আছে। কিন্তু আজও তাদের পরিচয় জানা যায়নি। কারণ যে ৬ হাজার মানুষ তাদের ডিএনএ দিয়েছিলেন, তাদের কারও সঙ্গে তা মেলেনি। সেজন্য এখনও ৭০২ জনের লাশ শনাক্তের অপেক্ষায় রয়েছে।