মহারাষ্ট্রের পর ছত্তিসগড়, সুকমায় আত্মসমর্পণ করলেন ২৭ জন মাওবাদী সদস্য

- আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার
- / 46
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ৬০ জন কমরেডকে নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি। সেই ঘটনার একদিন পরই ছত্তিসগড়ের সুকমা জেলায় আত্মসমর্পণ করলেন আরও ২৭ জন মাওবাদী সদস্য। তাঁদের মধ্যে ১৬ জনকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ধরিয়ে দেওয়া জন্য অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছিল সরকার। বুধবার ছত্তিসগড়ের সুকমা জেলায় প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন মাওবাদীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ২৭ জনের মাও নেতার মধ্যে ১০ জন মহিলা। সুকমার পুলিশ সুপার কিরণ চৌহানের বলেন, এতদিন ধরে মাওবাদী আদর্শের পথে চললেও, এখন তাঁরা এই আদর্শ ফাঁপা বলে মনে করছেন। এ ছাড়া নিরীহ আদিবাসীদের উপরে মাওবাদীদের নৃশংসতা এবং এই অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রভাব যে ভাবে বাড়ছে তাতে হতাশ। পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ছত্তিসগড় সরকার যে উন্নয়নমূলক কাজ করছে তাতে মুগ্ধ তাঁরা। তাই অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফিরতে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।
এদিকে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন নিহত মাওবাদী নেতার ভাই ভূপতি। পুলিশের দাবি, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়ের বহু মাওবাদী হামলার আসল ‘চাঁই’ এই মাও নেতা। বাণিজ্যে স্নাতক ৬৯ বছরের এই নেতা গত ৪০ বছর ধরে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ছিল ৬ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, সম্প্রতি মাওবাদী সংগঠনের মধ্যে ভূপতিকে সুর নরম করতে দেখা গিয়েছিল। তাঁর দাবি ছিল, ক্রমশ এদেশে আরও জনপ্রিয়তা হারিয়েছে মাওবাদী সংগঠনগুলি। পাশাপাশি লাগাতার নিরাপত্তা বাহিনীর অপারেশনেও বহু মাও নেতার মৃত্যু হয়েছে। এহেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এবার আত্মসমর্পণ করেন ভূপতি।