১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগটুই কাণ্ডে ধৃত ৪, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে মুম্বই থেকে গ্রেফতার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৭ এপ্রিল ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 30

দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: বগটুই অগ্নিসংযোগে গণহত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সঙ্গী বাপ্পা শেখ, সাবু শেখ-সহ আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল সিবিআই। চলতি বছরে একুশে মার্চ ভাদু খুনের পর অগ্নিসংযোগে ন’জনের অগ্নিসংযোগে মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে সারা বাংলা। তারপর থেকেই মূল অভিযুক্ত লালন সেখ ফেরার।

বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে এই প্রথম বাপ্পা সেখ এবং সাবু সেখ সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই।

আরও পড়ুন: প্রচণ্ড ভিড়ে মুম্বাইয়ে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত অন্তত ৫

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় বলে সিবিআই সূত্রের খবর। ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁদের বাংলায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সিবিআই চেষ্টা করছে শুক্রবার সকালেই ধৃতদের রামপুরহাটে নিয়ে আসা হতে পারে।  বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে লালন সেখের সঙ্গী বাপ্পা সেখ এবং সাবু সেখের নাম বগটুই অগ্নিসংযোগে মৃত্যুর ঘটনায় এফ আই আর-এ অন্যতম অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রশ্ন, গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

এলাকা সূত্রে জানা গেছে, লালন সেখ, সাবু সেখ, বাপ্পা সেখ নিহত ভাদু সেখের সাগরেদ ছিল। এদের বাড়ি বগটুইয়ের পূর্ব পাড়ায়।  সাবু সেখের বাবা সিদ্দিক সেখের কাঠের ব্যবসা আছে। সাবু সেখ বেশি দূর পড়াশোনা করে নি। বগটুই মোড়ে ভাদু সেখের বাঁশ বিক্রির ব্যবসা ছিল। সাবু সেখ সেই ব্যবসা দেখাশোনা করতো।  বাপ্পা সেখের বাবা বাবু সেখ বেসরকারি বাসে ড্রাইভারী করতেন। তিনি সিদ্দিক সেখের ছেলে। সেদিক থেকে সাবু সেখ ও বাপ্পা সেখ চাচা ভাইপো। বাপ্পা সেখও বেশি দূর পড়াশোনা করে নি। মাত্র পনেরো বছর বয়সে প্রেম করে বিয়ে করে। সেরকম কিছু করত না। পাড়ায় মস্তানি করতো বলে এলাকা সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: জলমগ্ন মুম্বই-বিপর্যস্ত জনজীবন, রেড অ্যালার্ট জারি কর্ণাটকে

প্রসঙ্গত,  গত ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমা মেরে  খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। সেই রাতেই দুষ্কৃতীরা গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ঘটনায় আট জনের মৃত্যু হয়। ফরেনসিক রিপোর্টে দাবি,  আটজনকে প্রথমে কুপিয়ে তাদের জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে শেখলাল শেখের স্ত্রী নাজেমা বিবির মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯। মৃত্যুর আগেই নাজেমা বিবির বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই।

বগটুই কাণ্ডের পরেই রাজ্যের নির্দেশে সিট তদন্ত শুরু করে। এর পরেই হাই কোর্টের নির্দেশে সিট-এর থেকে তদন্তভার নেয় সিবিআই। আপাতত বগটুই কাণ্ডের তদন্তে রয়েছে সিবিআই।

রামপুরহাট সাসপেন্ডেড এএসআই ও কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো এসডিপিওকে জেরা করা হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বগটুই কাণ্ডে ধৃত ৪, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে মুম্বই থেকে গ্রেফতার

আপডেট : ৭ এপ্রিল ২০২২, বৃহস্পতিবার

দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: বগটুই অগ্নিসংযোগে গণহত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সঙ্গী বাপ্পা শেখ, সাবু শেখ-সহ আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল সিবিআই। চলতি বছরে একুশে মার্চ ভাদু খুনের পর অগ্নিসংযোগে ন’জনের অগ্নিসংযোগে মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে সারা বাংলা। তারপর থেকেই মূল অভিযুক্ত লালন সেখ ফেরার।

বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে এই প্রথম বাপ্পা সেখ এবং সাবু সেখ সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই।

আরও পড়ুন: প্রচণ্ড ভিড়ে মুম্বাইয়ে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত অন্তত ৫

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় বলে সিবিআই সূত্রের খবর। ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁদের বাংলায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সিবিআই চেষ্টা করছে শুক্রবার সকালেই ধৃতদের রামপুরহাটে নিয়ে আসা হতে পারে।  বগটুই গণহত্যা কাণ্ডে লালন সেখের সঙ্গী বাপ্পা সেখ এবং সাবু সেখের নাম বগটুই অগ্নিসংযোগে মৃত্যুর ঘটনায় এফ আই আর-এ অন্যতম অভিযুক্ত।

আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রশ্ন, গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

এলাকা সূত্রে জানা গেছে, লালন সেখ, সাবু সেখ, বাপ্পা সেখ নিহত ভাদু সেখের সাগরেদ ছিল। এদের বাড়ি বগটুইয়ের পূর্ব পাড়ায়।  সাবু সেখের বাবা সিদ্দিক সেখের কাঠের ব্যবসা আছে। সাবু সেখ বেশি দূর পড়াশোনা করে নি। বগটুই মোড়ে ভাদু সেখের বাঁশ বিক্রির ব্যবসা ছিল। সাবু সেখ সেই ব্যবসা দেখাশোনা করতো।  বাপ্পা সেখের বাবা বাবু সেখ বেসরকারি বাসে ড্রাইভারী করতেন। তিনি সিদ্দিক সেখের ছেলে। সেদিক থেকে সাবু সেখ ও বাপ্পা সেখ চাচা ভাইপো। বাপ্পা সেখও বেশি দূর পড়াশোনা করে নি। মাত্র পনেরো বছর বয়সে প্রেম করে বিয়ে করে। সেরকম কিছু করত না। পাড়ায় মস্তানি করতো বলে এলাকা সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: জলমগ্ন মুম্বই-বিপর্যস্ত জনজীবন, রেড অ্যালার্ট জারি কর্ণাটকে

প্রসঙ্গত,  গত ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমা মেরে  খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। সেই রাতেই দুষ্কৃতীরা গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ঘটনায় আট জনের মৃত্যু হয়। ফরেনসিক রিপোর্টে দাবি,  আটজনকে প্রথমে কুপিয়ে তাদের জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে শেখলাল শেখের স্ত্রী নাজেমা বিবির মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯। মৃত্যুর আগেই নাজেমা বিবির বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই।

বগটুই কাণ্ডের পরেই রাজ্যের নির্দেশে সিট তদন্ত শুরু করে। এর পরেই হাই কোর্টের নির্দেশে সিট-এর থেকে তদন্তভার নেয় সিবিআই। আপাতত বগটুই কাণ্ডের তদন্তে রয়েছে সিবিআই।

রামপুরহাট সাসপেন্ডেড এএসআই ও কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো এসডিপিওকে জেরা করা হয়েছে।