২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মন্ত্রীর স্বামীকে ‘বেধড়ক মার’, পুলিশের জালে ৪ বিজেপি কর্মী

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মন্ত্রীর স্বামীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। ভরা বাজারের মধ্যে মারধর করা হয়েছে, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। শুক্রুবার রাতে বাঁকুড়ার খাতড়া শহরে এই ঘটনা ঘটে। রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডিকে খাতড়া শহরের দাসের মোড় এলাকায় মারধরা করা হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনার পরেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও পুলিশ গিয়ে তুহিন মান্ডিকে উদ্ধার করেন। পরে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা করানো হয়। স্থানীয় বিজেপি নেতা শান্তনু সিংহ-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তুহিন মান্ডি। পুলিশ চারজন বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে।

আরও পড়ুন: অনুদানের ৮২ শতাংশই বিজেপির ঘরে, বিতর্কে ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট

রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, “অন্যান্য দিনের মতোই আমার স্বামী শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ খাতড়ার করালির দাসের মোড় এলাকায় গিয়েছিলেন। সেই সময়েই স্থানীয় বিজেপি নেতা শান্তনু সিংহের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন অতর্কিতে তাঁকে আক্রমণ করে। তাঁকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। আমার স্বামী রাজনীতি করেন না। উনি একজন সরকারি কর্মী। তারপরেও বিজেপির দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিতভাবে আমাকে টার্গেট করেই আমার স্বামীর উপর এই ঘৃণ্য হামলা চালিয়েছে।”

আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের আক্রমণের নিশানায় হুমায়ুন কবীর

মন্ত্রীর অভিযোগ, “শান্ত শহর খাতড়াকে অশান্ত করার জন্যই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার স্বামীর উপরে এই হামলার মূল পান্ডা হলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা শান্তনু সিংহ। এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে।”  খাতড়া মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে খবর, তুহিন মান্ডির একটি হাতে চোট লেগেছে।

আরও পড়ুন: নীতীশের ডেপুটি সম্রাট-বিজয়, ১৯ মন্ত্রীর মধ্যে ১০ মন্ত্রীই বিজেপির

লাঠির ঘায়ে পিঠেও আঘাত লেগেছে। এক্সরে হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার বিজেপি নেতৃত্বের। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মন্ত্রীর স্বামীর আচরণে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। সামান্য বচসা থেকেই এই গন্ডগোল হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে আমাদের দলের স্থানীয় কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এটা সত্যি।  তারা কেউ মারধর করেনি। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্যই আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে  অভিযোগ আনা হয়েছে।”

 

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

গ্যাংস্টার দুবের জীবনী নিয়ে ওয়েব সিরিজ, ‘সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন’ হওয়ার আশঙ্কায় হাইকোর্টে স্ত্রী

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মন্ত্রীর স্বামীকে ‘বেধড়ক মার’, পুলিশের জালে ৪ বিজেপি কর্মী

আপডেট : ১৪ জুন ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মন্ত্রীর স্বামীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। ভরা বাজারের মধ্যে মারধর করা হয়েছে, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে। শুক্রুবার রাতে বাঁকুড়ার খাতড়া শহরে এই ঘটনা ঘটে। রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডিকে খাতড়া শহরের দাসের মোড় এলাকায় মারধরা করা হয় বলে অভিযোগ।

ঘটনার পরেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও পুলিশ গিয়ে তুহিন মান্ডিকে উদ্ধার করেন। পরে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা করানো হয়। স্থানীয় বিজেপি নেতা শান্তনু সিংহ-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তুহিন মান্ডি। পুলিশ চারজন বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে।

আরও পড়ুন: অনুদানের ৮২ শতাংশই বিজেপির ঘরে, বিতর্কে ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট

রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, “অন্যান্য দিনের মতোই আমার স্বামী শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ খাতড়ার করালির দাসের মোড় এলাকায় গিয়েছিলেন। সেই সময়েই স্থানীয় বিজেপি নেতা শান্তনু সিংহের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন অতর্কিতে তাঁকে আক্রমণ করে। তাঁকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। আমার স্বামী রাজনীতি করেন না। উনি একজন সরকারি কর্মী। তারপরেও বিজেপির দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিতভাবে আমাকে টার্গেট করেই আমার স্বামীর উপর এই ঘৃণ্য হামলা চালিয়েছে।”

আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের আক্রমণের নিশানায় হুমায়ুন কবীর

মন্ত্রীর অভিযোগ, “শান্ত শহর খাতড়াকে অশান্ত করার জন্যই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার স্বামীর উপরে এই হামলার মূল পান্ডা হলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা শান্তনু সিংহ। এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে।”  খাতড়া মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে খবর, তুহিন মান্ডির একটি হাতে চোট লেগেছে।

আরও পড়ুন: নীতীশের ডেপুটি সম্রাট-বিজয়, ১৯ মন্ত্রীর মধ্যে ১০ মন্ত্রীই বিজেপির

লাঠির ঘায়ে পিঠেও আঘাত লেগেছে। এক্সরে হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার বিজেপি নেতৃত্বের। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মন্ত্রীর স্বামীর আচরণে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। সামান্য বচসা থেকেই এই গন্ডগোল হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে আমাদের দলের স্থানীয় কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এটা সত্যি।  তারা কেউ মারধর করেনি। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্যই আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে  অভিযোগ আনা হয়েছে।”