১৬ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওড়িশায় রোহিঙ্গা, বাংলাদেশী সন্দেহে আটক ৪৪৪ শ্রমিক

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার
  • / 77

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক : ওড়িশায় ঝাড়সুগুড়া পুলিশ বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গা বলে চিহ্নিত করে ৪৪৪ জনকে আটক করে বন্দি শিবিরে রেখে দিয়েছে। এঁরা সকলেই ভিন রাজ্য থেকে কাজ করতে এসেছিল ওড়িশার ঝাড়সুগুড়ায়। এই খনি অঞ্চলে ভিন রাজ্যের বহু মানুষ কাজ করেন। পুলিশ বলছে, ওই ধৃতেরা কোনও নথিপত্র দেখাতে পারেনি।

 

আরও পড়ুন: মৃত্যু হল ওড়িশার নির্যাতিতার

এরা সব খনি, নির্মাণশিল্প এবং কারখানায় কাজ করতেন। এদিকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছেন, ওড়িশায় যে ৪৪৪ জনকে ঝাড়সুগুড়া পুলিশ আটক করেছে ওদের মধ্যে ২৩ জন তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা। এঁরা ওখানকার স্থায়ী বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: ওড়িশায় কলেজ ছাত্রীর গায়ে আগুন দেওয়ার পর গুরুতর অবস্থা, ভুবনেশ্বর এমসে ৯৫% দগ্ধ নির্যাতিতা লাইফ সাপোর্টে

 

আরও পড়ুন: গায়ে আগুন দিয়ে ক্যাম্পাসেই ছুটছেন ছাত্রী, হাড়হিম ঘটনার স্বাক্ষী ওড়িশা

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ওড়িশার মুখ্যসচিব মনোজ আহুজাকে ফোন করে এঁদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, ওড়িশায় আমাদের রাজ্য থেকে যারাই কাজ করতে গিয়েছেন তাদের পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে।

 

এ ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকারের বিরোধী কাজ। পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি ৩০ লক্ষের মতো ভিন রাজ্যের লোক কর্মরত। আমরা তো কখনও এ জিনিস করিনি। ওড়িশা পুলিশ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ পেয়ে রাজ্যের সব জেলায় পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেক টাস্ক ফোর্সে একজন করে বিদেশি রেজিষ্ট্রেশন অফিসার রয়েছেন। এরাই বিভিন্ন জেলায় খোঁজ খবর নিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ধরার কাজ করছে। ঝাড়সুগুড়ার পুলিশ সুপার সুমিত কুমারও বলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ মতো কাজ করা হচ্ছে।

 

এর জন্য রাজ্য সরকার আতাগড়ে এক পুরনো জেলকে মেরামত করে বন্দিশিবির তৈরি করেছে। সদ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন যে, ওড়িশায় এরাজ্য থেকে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের বাংলাদেশী বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারপরই ঝাড়সুগুড়া থেকে ৪৪৪ জনকে আটকানোর খবর এল। বিজেপি ওড়িশায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করার কথা বলেছিল। এখন সেই অনুযায়ীই কাজ হচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ওড়িশায় রোহিঙ্গা, বাংলাদেশী সন্দেহে আটক ৪৪৪ শ্রমিক

আপডেট : ৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক : ওড়িশায় ঝাড়সুগুড়া পুলিশ বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গা বলে চিহ্নিত করে ৪৪৪ জনকে আটক করে বন্দি শিবিরে রেখে দিয়েছে। এঁরা সকলেই ভিন রাজ্য থেকে কাজ করতে এসেছিল ওড়িশার ঝাড়সুগুড়ায়। এই খনি অঞ্চলে ভিন রাজ্যের বহু মানুষ কাজ করেন। পুলিশ বলছে, ওই ধৃতেরা কোনও নথিপত্র দেখাতে পারেনি।

 

আরও পড়ুন: মৃত্যু হল ওড়িশার নির্যাতিতার

এরা সব খনি, নির্মাণশিল্প এবং কারখানায় কাজ করতেন। এদিকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছেন, ওড়িশায় যে ৪৪৪ জনকে ঝাড়সুগুড়া পুলিশ আটক করেছে ওদের মধ্যে ২৩ জন তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দা। এঁরা ওখানকার স্থায়ী বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: ওড়িশায় কলেজ ছাত্রীর গায়ে আগুন দেওয়ার পর গুরুতর অবস্থা, ভুবনেশ্বর এমসে ৯৫% দগ্ধ নির্যাতিতা লাইফ সাপোর্টে

 

আরও পড়ুন: গায়ে আগুন দিয়ে ক্যাম্পাসেই ছুটছেন ছাত্রী, হাড়হিম ঘটনার স্বাক্ষী ওড়িশা

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ওড়িশার মুখ্যসচিব মনোজ আহুজাকে ফোন করে এঁদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, ওড়িশায় আমাদের রাজ্য থেকে যারাই কাজ করতে গিয়েছেন তাদের পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে।

 

এ ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক অধিকারের বিরোধী কাজ। পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি ৩০ লক্ষের মতো ভিন রাজ্যের লোক কর্মরত। আমরা তো কখনও এ জিনিস করিনি। ওড়িশা পুলিশ জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ পেয়ে রাজ্যের সব জেলায় পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেক টাস্ক ফোর্সে একজন করে বিদেশি রেজিষ্ট্রেশন অফিসার রয়েছেন। এরাই বিভিন্ন জেলায় খোঁজ খবর নিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ধরার কাজ করছে। ঝাড়সুগুড়ার পুলিশ সুপার সুমিত কুমারও বলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ মতো কাজ করা হচ্ছে।

 

এর জন্য রাজ্য সরকার আতাগড়ে এক পুরনো জেলকে মেরামত করে বন্দিশিবির তৈরি করেছে। সদ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন যে, ওড়িশায় এরাজ্য থেকে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের বাংলাদেশী বলে দাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারপরই ঝাড়সুগুড়া থেকে ৪৪৪ জনকে আটকানোর খবর এল। বিজেপি ওড়িশায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করার কথা বলেছিল। এখন সেই অনুযায়ীই কাজ হচ্ছে।