০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রান্নার কাজে সাহায্য করতে বলায় পরিবারের ৫ জন সদস্যের গলা কেটে হত্যা

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ২৯ অগাস্ট ২০২২, সোমবার
  • / 32

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ  সারাদিন তিনি পুজোপাঠ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। উপার্জন বলতে, দাদার পাঠানো মাসিক ১৫-২০ হাজার টাকা। সংসার চলে সেই টাকাতেই। বাইরে তো নয়, এমনকি বাড়ির কাজ করতেও নারাজ তিনি। এই নিয়ে প্রায়ই বচসা লেগে থাকতো স্ত্রীর সঙ্গে। সোমবার সকাল ৭ টা নাগাদ সকালের খাবার রান্না করছিলেন স্ত্রী নীতু। স্বামী মহেশকে রান্নার কাজে সহায়তা করতে বলায়, রেগে গিয়ে গলা কেটে হত্যা করলেন নিজের মা, স্ত্রী সহ সন্তানদের।

অভিযুক্ত মহেশ কুমার (৪৭) দেরাদুনের নাগঘেরের বাসিন্দা। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত ৫ জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মহেশ তার মা, স্ত্রী এবং তিন কন্যাকে হত্যা করলেও ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছে তার অন্য এক কন্যা সন্তান। এই হত্যাকাণ্ডের সময় সে তার পিসির বাড়িতে ছিল। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মহেশ পৌরহিত্যের কাজ করতো। তার মা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল এবং একটি মেয়ে প্রতিবন্ধী। তার দাদা ঋষিকেশে থাকতেন। তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: নীতিশিক্ষা হারিয়ে যাওয়ার ফলেই কি এত অপরাধ এত দুর্নীতি?

ধৃত মহেশ শুধুমাত্র পুজো অর্চনাই করতেন। সংসার চালানোর জন্য নূন্যতম রোজগারও তিনি করতেন না। দাদা উমেশের পাঠানো টাকায় সংসার চলত তাদের। এই নিয়ে প্রায়শই বিবাদ লেগে থাকতো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এদিন সকালে রান্নার কাজে সাহায্য করতে বলায় রান্নার কাজে ব্যবহৃত ছুরি দিয়েই গলা কেটে সে হত্যা করে ৫ জন সদস্যকে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মহেশের সঙ্গে কথা বলার সময় মনে হয়েছে, সে মানসিক অবসাদে ভুগছিল।

আরও পড়ুন: ১১ লক্ষ টাকা দিয়ে বান্ধবীকে গাড়ি উপহার, কনস্টেবল মনোজিতের কোটির সম্পত্তি দেখে চোখ কপালে

আরও পড়ুন: মরদেহের সঙ্গে ‘যৌনক্রিয়া’ ভারতীয় আইনে অপরাধ নয়’, মর্গে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ: কর্নাটক হাইকোর্ট

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রান্নার কাজে সাহায্য করতে বলায় পরিবারের ৫ জন সদস্যের গলা কেটে হত্যা

আপডেট : ২৯ অগাস্ট ২০২২, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ  সারাদিন তিনি পুজোপাঠ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। উপার্জন বলতে, দাদার পাঠানো মাসিক ১৫-২০ হাজার টাকা। সংসার চলে সেই টাকাতেই। বাইরে তো নয়, এমনকি বাড়ির কাজ করতেও নারাজ তিনি। এই নিয়ে প্রায়ই বচসা লেগে থাকতো স্ত্রীর সঙ্গে। সোমবার সকাল ৭ টা নাগাদ সকালের খাবার রান্না করছিলেন স্ত্রী নীতু। স্বামী মহেশকে রান্নার কাজে সহায়তা করতে বলায়, রেগে গিয়ে গলা কেটে হত্যা করলেন নিজের মা, স্ত্রী সহ সন্তানদের।

অভিযুক্ত মহেশ কুমার (৪৭) দেরাদুনের নাগঘেরের বাসিন্দা। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত ৫ জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মহেশ তার মা, স্ত্রী এবং তিন কন্যাকে হত্যা করলেও ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছে তার অন্য এক কন্যা সন্তান। এই হত্যাকাণ্ডের সময় সে তার পিসির বাড়িতে ছিল। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মহেশ পৌরহিত্যের কাজ করতো। তার মা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল এবং একটি মেয়ে প্রতিবন্ধী। তার দাদা ঋষিকেশে থাকতেন। তার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: নীতিশিক্ষা হারিয়ে যাওয়ার ফলেই কি এত অপরাধ এত দুর্নীতি?

ধৃত মহেশ শুধুমাত্র পুজো অর্চনাই করতেন। সংসার চালানোর জন্য নূন্যতম রোজগারও তিনি করতেন না। দাদা উমেশের পাঠানো টাকায় সংসার চলত তাদের। এই নিয়ে প্রায়শই বিবাদ লেগে থাকতো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এদিন সকালে রান্নার কাজে সাহায্য করতে বলায় রান্নার কাজে ব্যবহৃত ছুরি দিয়েই গলা কেটে সে হত্যা করে ৫ জন সদস্যকে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মহেশের সঙ্গে কথা বলার সময় মনে হয়েছে, সে মানসিক অবসাদে ভুগছিল।

আরও পড়ুন: ১১ লক্ষ টাকা দিয়ে বান্ধবীকে গাড়ি উপহার, কনস্টেবল মনোজিতের কোটির সম্পত্তি দেখে চোখ কপালে

আরও পড়ুন: মরদেহের সঙ্গে ‘যৌনক্রিয়া’ ভারতীয় আইনে অপরাধ নয়’, মর্গে সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ: কর্নাটক হাইকোর্ট