পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কর্নাটক বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস পার্টির পক্ষ থেকে যে ৫টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা অবিলম্বে পূরণ করা হবে। সরকার গঠনের পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা করা হবে। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। বিজেপিকে নিশানা করে রাহুল বলেন, ‘কর্নাটকের মানুষ বিজেপির দুর্নীতি ও ঘৃণার পরিবেশকে পরাজিত করেছে।’
এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সিদ্দারামাইয়ার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাহুল। সেখানেই সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের জবাবে কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে এই মন্তব্য করেন তিনি। রাহুলের কথায়, ‘আমি বলেছিলাম মিথ্যা প্রতিশ্রুতি আমরা দিই না। আমরা যা বলি সেটাই করি। নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকের ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই তা করা হবে। সেই বৈঠকে কংগ্রেসের দেওয়া ৫ প্রতিশ্রুতিকেই আইনে পরিণত করা হবে।’
এই ৫ প্রতিশ্রুতি হল, সমস্ত পরিবারকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ (গৃহ জ্যোতি প্রকল্প)। প্রতিটি পরিবারের কর্ত্রীকে মাসে মাসে ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা (গৃহলক্ষী প্রকল্প)। প্রতিটি বিপিএল পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে ১০ কেজি করে বিনামূল্যে চাল (আন্না ভাগ্য)। স্নাতক ডিগ্রিধারী বেকার বা কর্মহীন যুবক-যুবতীদের ২ বছরের জন্য প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা করে ও ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের (উভয় ক্ষেত্রেই বয়স ১৮-২৫) মাসিক দেড় হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা (যুবনিধি) দেওয়া হবে।
সরকারি বাসে মহিলাদের বিনামূল্যে ভ্রমণের সুযোগ। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, কংগ্রেসের এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলি সাধারণ মানুষের কাছে বিশেষ করে মহিলাদের কাছে খুব পছন্দের হয়ে উঠেছিল। বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের এই বড় জয়ের পেছনে এই প্রতিশ্রুতিগুলি বড় ভূমিকা পালন করেছিল। কংগ্রেসের প্রতি আস্থা রাখার জন্য রাজ্যের ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করে রাহুল বলেন, আমরা বুঝতে পারছি গত ৫ বছরে আপনাদের কতটা কষ্ট পেতে হয়েছে। কেন কংগ্রেস জয়ী হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া অনেক কথাই লিখেছে। বিভিন্ন বিশ্লেষণ ও বিভিন্ন তত্ত্ব তুলে ধরা হচ্ছে। সে যাই হোক, কর্নাটকে কংগ্রেসের এই বড় জয়ের কারণ হচ্ছে—কংগ্রেস রাজ্যের দরিদ্র, দুর্বল, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়, দলিত ও আদিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।’
উল্লেখ্য, ২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসভায় কংগ্রেস একাই ১৩৫টি আসন দখল করেছে। বিজেপি পেয়েছে ৬৬টি আসন। আর জেডিইউ-এর দখলে গিয়েছে মাত্র ১৯টি আসন।