আবদুল ওদুদ: আগামী ৯ মে কলকাতা থেকে হজযাত্রার প্রথম উড়ান নবী (সা.)-এর শহর মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হবে। হজ ব্যবস্থাপনা আরও সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে বেশ ততপর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হজ কমিটি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব সমস্ত বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। হজযাত্রীদের ৭ মে থেকে প্রথম রিপোটিং শুরু হচ্ছে তার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিউ টাউনের মদিনাতুল হুজ্জাজে। হজ ভবনের পাশেই তৈরি হয়েছে বিরোট প্যান্ডেল। সেই প্যান্ডেলে যাবতীয় ব্যবস্থা থাকছে। হজযাত্রীরা এসে এখানে বিশ্রাম করবেন। আত্মীয় স্বজনরাও আসতে পারবেন এখানে। তবে রাজ্য হজকমিটির পক্ষ থেকে বার বার অনুরোধ জানানো হয়েছে হজযাত্রীর সঙ্গে খুব বেশি পরিবারের সদস্যদের আনবেন না। তীব্র দাবদাহ চলছে। এখানে এলে আরও সমস্যা বাড়বে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হজ কমিটি এই বিশাল তাঁবুর মধ্যে বেকলমাত্র হজযাত্রীদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করেছে। হজযাত্রীরা এই প্যান্ডেলে বিশ্রাম করার সুযোগ পাবেন। রাজ্য হজ কমিটি জানিয়েছে এ বছরও সমস্ত চেকিং প্রক্রিয়া মদিনাতুল হুজ্জাজেই করা হবে। বিমান ব¨রে লাগেজ চেকিং থেকে শুরু করে বোডিং পাস সব টাই মদিনাতুল হুজ্জাজেই মিলবে। রাজ্য সরকাররে পক্ষ থেকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাসে করে হজযাত্রীদের বিমান ব¨রে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকেই সউদি এয়ার লাইন্সে উঠবেন। এই বছরও ফ্লাই-এ-ডিল সংস্থাকে হজযাত্রীদের পরিবহনে বরাদ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী বিমান ব¨রে হজযাত্রীদের সেবায় নিয়োজিত থাকবেন।
রাজ্য হজ কমিটির কার্য্যনির্বাহি আধিকারিক মুহাম্মদ নকি জানিয়েছেন, সুষ্ঠভাবে হজ পরিচালনা করার জন্য সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর কাজ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবং সংখ্যালঘু দফতরের প্রধান সচিব পিবি সালিমের ব্যবস্থাপনায় সমস্ত কাজ চলছে। কলকাতা পুলিশ, বিধাননগর কমিশনরারেট, স্বাস্থ্য দফতর, পূর্ত দফতর, উত্তর ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন সব রকমভাবে সহযোগিতা করছে। পিবি সালিম প্রতিনিয়ত খবর রাখছেন। সংখ্যালঘু দফতরের কমিশনার সাকিল আহমেদ যাবতীয় কাজের তদারকি করছেন।
মুহাম্মদ নকি জানিয়েছেন, হজযাত্রীরা যখন রিপটিং করতে আসবেন কোনওভাবে বাড়ি থেকে বেশি লোকজন নিয়ে আসবেন না। বেশি মানুষ এলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই য়ত কম সংখ্যক লোক আসবেন ততই ভালো। হজযাত্রীদের কোনও সমস্যা হলে রাজ্য হজ কমিটির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন অথবা জেলা ডোমা অফিসারকে অবগত করলে সেই সমস্যা সমাধান করে দেবে।