০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পর্তুগিজ চার্চে ৫ হাজার শিশুকে যৌন নির্যাতন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 36

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পর্তুগালের একটি ক্যাথলিক চার্চে ১৯৫০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার শিশুকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে  নতুন এক তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সোমবার এ বিষয়ে গঠিত তদন্তকারী কমিশন এই তথ্য জানায়। তদন্তকারী কমিশন বলেছে, পর্তুগালের বিভিন্ন চার্চে ১৯৫০ সাল থেকে ৪ হাজার ৮১৫ শিশুকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।

৭৭ জন নির্যাতনকারীই চার্চের যাজক বলে জানা যায়। তদন্ত  কমিশনের প্রধান এবং শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ পেড্রো স্ট্রেচ্ট বলেন, ‘যারা শৈশবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তারা নীরবতা ভেঙে প্রতিবাদ করার সাহসী উদ্যোগ নিয়েছেন। এজন্য তাদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।’ স্ট্রেচ্ট জানান, চার্চ ছাড়াও চার্চের জায়গার মধ্যে শিশুদের ক্যাথলিক স্কুল যাজকদের বাড়ি এবং কনফেসনের স্থানেও শিশুদের নির্যাতন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: গোদাবরী নদীতে স্নান করতে গিয়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

তদন্তকারী কমিশনের কাছে শৈশবে নির্যাতনের শিকার ৪২৪ জন তাদের  তিক্ত অভিজ্ঞতা জানিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।  প্রায় সব ভুক্তভোগীর ভাষ্য, ১৯৫০ সাল থেকে পাদ্রি বা গির্জার কর্মকর্তারা তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘মোস্ট হোলি রোজারি’ চার্চকে কেন্দ্র করে ক্যালকাটা সিড ও আইএইচএ ফাউন্ডেশনের মানবিক প্রচেষ্টা

উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের চার্চে শিশু নির্যাতনের শত শত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ে চলেছে। ফলে চার্চের ছবি ক্রমেই খারাপ হয়ে আসছে। বিভিন্ন মহল থেকে ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের ওপরও চাপ বাড়ছে। পোপ ফ্রান্সিস আগস্টে পর্তুগিজ রাজধানী লিসবন সফর করবেন বলে জানা গেছে। তিনি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাইবেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ৯১ শিশুকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ ৪৫ বছরের অস্ট্রেলিয়র

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পর্তুগিজ চার্চে ৫ হাজার শিশুকে যৌন নির্যাতন

আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পর্তুগালের একটি ক্যাথলিক চার্চে ১৯৫০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার শিশুকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে  নতুন এক তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সোমবার এ বিষয়ে গঠিত তদন্তকারী কমিশন এই তথ্য জানায়। তদন্তকারী কমিশন বলেছে, পর্তুগালের বিভিন্ন চার্চে ১৯৫০ সাল থেকে ৪ হাজার ৮১৫ শিশুকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।

৭৭ জন নির্যাতনকারীই চার্চের যাজক বলে জানা যায়। তদন্ত  কমিশনের প্রধান এবং শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ পেড্রো স্ট্রেচ্ট বলেন, ‘যারা শৈশবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তারা নীরবতা ভেঙে প্রতিবাদ করার সাহসী উদ্যোগ নিয়েছেন। এজন্য তাদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।’ স্ট্রেচ্ট জানান, চার্চ ছাড়াও চার্চের জায়গার মধ্যে শিশুদের ক্যাথলিক স্কুল যাজকদের বাড়ি এবং কনফেসনের স্থানেও শিশুদের নির্যাতন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: গোদাবরী নদীতে স্নান করতে গিয়ে ছয় শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

তদন্তকারী কমিশনের কাছে শৈশবে নির্যাতনের শিকার ৪২৪ জন তাদের  তিক্ত অভিজ্ঞতা জানিয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।  প্রায় সব ভুক্তভোগীর ভাষ্য, ১৯৫০ সাল থেকে পাদ্রি বা গির্জার কর্মকর্তারা তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘মোস্ট হোলি রোজারি’ চার্চকে কেন্দ্র করে ক্যালকাটা সিড ও আইএইচএ ফাউন্ডেশনের মানবিক প্রচেষ্টা

উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের চার্চে শিশু নির্যাতনের শত শত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ে চলেছে। ফলে চার্চের ছবি ক্রমেই খারাপ হয়ে আসছে। বিভিন্ন মহল থেকে ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের ওপরও চাপ বাড়ছে। পোপ ফ্রান্সিস আগস্টে পর্তুগিজ রাজধানী লিসবন সফর করবেন বলে জানা গেছে। তিনি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দেখা করে ক্ষমা চাইবেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ৯১ শিশুকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ ৪৫ বছরের অস্ট্রেলিয়র