৮৪% আইটি কর্মী ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

- আপডেট : ৪ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 31
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আইটি কর্মীদের মধ্যে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, ২০২৩-২৪ সালে ৩৪৫ জন আইটি কর্মীদের নিয়ে একটি গবেষণা চালায় হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েক গবেষক। যাতে উঠে এসেছে যে, ৮৪ শতাংশ আইটি কর্মী ফ্যাটি লিভারের অসুখে ভুগছেন! কিন্তু ঠিক কেন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই সমস্যা বাড়ছে?
গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ৮৪% আইটি কর্মী মেটাবলিক ডিসফাংশন-অ্যাসোসিয়েটেড ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (এমএএফএলডি) রোগে আক্রান্ত। মূলত দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকা, উচ্চ কাজের চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদির কারণে এই রোগ সহজেই তাঁদের শরীরে বাসা বাঁধছে। তবে মদ্যপান করলেই শুধুমাত্র এই অসুখ হয়। প্রচলিত এই ধারণাকে নাকচ করে দিয়ে গবেষণায় জানানো হয়েছে, এই কথা আংশিক অসত্য। মদ্যপান ছাড়াও মূলত অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, বেহিসেবি খাওয়া-সহ নানা কারণ থাকে ফ্যাটি লিভারের নেপথ্যে। ডায়াবিটিস, স্থূলতা, খারাপ কোলেস্টেরল বেশি থাকলেও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রিপোর্ট মোতাবিক, (২০২৩ সালের জুলাই – ২০২৪ সালের জুলাই) অর্থাৎ দীর্ঘ ১ বছর হায়দরাবাদে বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত ৩৪৫ জন আইটি কর্মীদের ওপর উপরোল্লিখিত গবেষণা করা হয়। সেখানে উঠে এসেছে যে, আইটি কর্মীদের মধ্যে ফাস্ট ফুড-জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা অত্যাধিক বেশি। এছাড়া তুলনামূলকভাবে তাদের শারীরিক পরিশ্রম কম। পাশাপাশি স্ট্রেস, মদ্যপান ও ধূমপানের মতো বদভ্যাস তো রয়েছেই। যার কারণেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই রোগ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফ্যাটি লিভার কি?
এটি এমন একটি রোগ যেখানে যকৃৎ বা লিভারের উপর মেদ জমা হয়। এর ফলে হজমে সমস্যা হওয়া, বমি ভাব, পেট ব্যথা, পেটে অস্বস্তি-সহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ফ্যাটি লিভার’ দূরে থাকবে কোন অভ্যাসে?
১) নিয়মিত শরীর চর্চা ফ্যাটি লিভারের অন্যতম সুরাহা। নিয়মিত অঙ্গ সঞ্চালনে যেমন ওজন বশে রাখা সম্ভব হয়, তেমনই শরীরে রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়।
২) পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি খাওয়া বন্ধ করতে হবে। বেশি চিনি দেওয়া খাবার ও পানীয় এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৩) ফাস্ট ফুড- জাঙ্ক ফুডে একেবারে ‘না’ করার কথা জানানো হয়েছে। সরল কার্বোহাইড্রেটও খাদ্যতালিকায় যত কম রাখা যায় ততই ভাল। বদলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খেলে যকৃত ভাল থাকবে। পাশাপাশি, বিভিন্ন মাছ, শাক ও সব্জি, ওট্স, কিনোয়া খেলে শরীর ভাল থাকবে। তালিকায় রাখা দরকার মরসুমি ফলও।