বিজেপির কাছ থেকে কংগ্রেস হিন্দুত্বের পাঠ নেবে না,বিশ্বাস ব্যক্তিগত ব্যাপার:শচীন পাইলট
- আপডেট : ১৩ জানুয়ারী ২০২৪, শনিবার
- / 9
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক:
কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট বলেছেন, কোন রাজনৈতিক দলই শংসাপত্র দিতে পারে না কে রামের ভক্ত,আর কে ভক্ত নয়। বিশ্বাস ব্যক্তিগত ব্যাপার। রামমন্দির প্রসঙ্গে বিজেপির সমালোচনার জবাবে শচীন পাইলট এ কথা বলেছেন।রামমন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র ফেরাতেই কংগ্রেসকে নিশানা করে গেরুয়া শিবির। পালটা বিজেপিকে নিশানা করেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর অভিযোগ, “তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে কংগ্রেস লাগাতার হিন্দু বিশ্বাসের বিরুদ্ধাচরণ করে চলেছে। গত দু’-চার দশকে যতবারই রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ এসেছে প্রতিবারই তার বিরোধিতা করেছে। এমনকী এও বলেছে, রাম কাল্পনিক চরিত্র। বর্তমান কংগ্রেস পার্টি তোষণের তুঙ্গে পৌঁছে গিয়েছে।” পালটা কংগ্রেসের তরফে জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য শচীন পাইলট গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণের নিশানা করে জানান, বিজেপির কাছ থেকে কংগ্রেস হিন্দুত্বের পাঠ নেবে না। তাঁরা কি সনাতনীদের ঠিকাদারি নিয়ে রেখেছে নাকি? সংবিধান সকল ভারতবাসীকে নিজের ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে। বিজেপি আসলে ভোটের ময়দানে বিভাজনের রাজনীতি করতে নেমেছে।
রামমন্দির উদ্বোধনে যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস । তারা বলেছে, মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার রাজনীতি করছে। এই অনুষ্ঠানটি তাদের। তাই সম্মানের সঙ্গে আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানায় শতাব্দীপ্রাচীন দল। ইন্ডিয়া জোটের একের পর এক শরিক মন্দির উদ্বোধনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে ব্যাকফুটে চলে যায় পদ্মপক্ষ।
কারণ মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির রাজনীতি সহজভাবে নিচ্ছে জড়িত অনেক সংগঠন। তাই বিপাকে পড়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল-সহ ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের আক্রমণে নেমেছে গেরুয়া শিবির।
শচীন পাইলটের আরও অভিযোগ, “মানুষের সমস্যাগুলিকে ইন্ডিয়া জোট ইস্যু করায় বিজেপি বিপাকে পরে গিয়েছে। তাই রামের শরণাপন্ন হয়েছে। দেশের মূল সমস্যাগুলি নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই অকারণ বিরোধীদের নিশানা করছে। বিজেপি ধর্ম ও রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেলেছে। তাই রামকে দখল করতে নেমেছে। রাম সনাতনী হিন্দু সকলের।বিজেপি ভাল হিন্দু বা খারাপ হিন্দুর শংসাপত্র দিতে পারে না৷ আমাদের সকলের নিজস্ব বিশ্বাস রয়েছে৷ এর জন্য কারও অনুমতি বা আমন্ত্রণের প্রয়োজন নেই৷ কেন্দ্রে ১০ বছরের বিজেপি শাসনে ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান বেড়েছে, জাতীয় সম্পদগুলি ব্যক্তিগত সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।কৃষকদের বিরুদ্ধে তিনটি কালো আইন আনা হয়েছিল, অগ্নিবীর সামরিক নিয়োগ প্রকল্পে যুবকদের প্রতারিত করা হয়েছে, মানুষ নোটবন্দি এবং জিএসটি নিয়ে কষ্ট পেয়েছে।”






























