০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আমি কি আপনাদের সিটে যোগদান করবো?’ সিআইডিকে বিচারপতি বসু

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, বুধবার
  • / 92

মোল্লা জসিমউদ্দিন: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠে শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলা।মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছেলেকে ওই স্কুলেই বেআইনি ভাবে চাকরি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি এই মামলার তদন্তে রয়েছে। সিআইডি তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসু এদিন এজলাসে বলেন, ‘স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে তালা মেরে দিন। এরাই তথ্য প্রমাণ নষ্ট করছে’। এদিনের মামলার শুনানিতে সিআইডি আদালতে জানায়, ‘গোথা হাইস্কুল সংক্রান্ত মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না’।

 

আরও পড়ুন: দিল্লিতে আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে?  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট 

এই বিষয়টি জানার পরই বিচারপতি ক্ষুব্ধ হন। এরপর বিচারপতি বলেন, “সিআইডি-র ওপর আমার আস্থা আছে। কিন্তু যদি এফআইআর-এ নাম থাকা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হয় তাহলে কি তদন্ত হচ্ছে ?” সিআইডি-কে বিচারপতি বলেন , “যদি কোন কর্মীর নথি কমিশন বা পর্ষদের কাছ থেকে না পাওয়া যায়, তাহলে সরাসরি স্কুলে যান। সেখান থেকে নথি সংগ্রহ করুন। এটা কি বিরাট কোন কাজ?” বিচারপতির প্রশ্ন, “আমি কি এখানে বসব, নাকি আপনাদের সিটে যোগদান করব ?”সিআইডি বিচারপতির কাছে আরও ১৫ দিন সময় চেয়ে নেয়।

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় রাজ্যের স্বস্তি, মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের, নিয়োগে রইল না বাধা

 

আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমী পালনে আয়োজকদের ‘কড়া শর্তাবলি’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

বিচারপতি জানিয়েছেন, “যাঁদের নাম দুর্নীতির অভিযোগ আসছে, তাঁদের কাছ থেকে বেতন ফেরত নেওয়া যায় কিনা সেটা বিবেচনা করে দেখুন।”গোথা হাইস্কুল মামলায় বুধবার সিআইডির ডিআইজি কে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসু। গোথা হাইস্কুলের এই শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কার্যত কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসে। তদন্তের মাঝেই সিআইডি-র হাতে জমা পড়ে এক সরকারি আধিকারিকের চিঠি। মামলার সূত্রে খামে ভরে সেই চিঠি জমা পড়েছে আদালতে। অভিযোগ, জিটিএ এলাকায় অর্থাত্‍ পাহাড়ে ৩২৩ জন শিক্ষকের নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘আমি কি আপনাদের সিটে যোগদান করবো?’ সিআইডিকে বিচারপতি বসু

আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, বুধবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠে শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলা।মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছেলেকে ওই স্কুলেই বেআইনি ভাবে চাকরি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি এই মামলার তদন্তে রয়েছে। সিআইডি তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসু এদিন এজলাসে বলেন, ‘স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে তালা মেরে দিন। এরাই তথ্য প্রমাণ নষ্ট করছে’। এদিনের মামলার শুনানিতে সিআইডি আদালতে জানায়, ‘গোথা হাইস্কুল সংক্রান্ত মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না’।

 

আরও পড়ুন: দিল্লিতে আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে?  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট 

এই বিষয়টি জানার পরই বিচারপতি ক্ষুব্ধ হন। এরপর বিচারপতি বলেন, “সিআইডি-র ওপর আমার আস্থা আছে। কিন্তু যদি এফআইআর-এ নাম থাকা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হয় তাহলে কি তদন্ত হচ্ছে ?” সিআইডি-কে বিচারপতি বলেন , “যদি কোন কর্মীর নথি কমিশন বা পর্ষদের কাছ থেকে না পাওয়া যায়, তাহলে সরাসরি স্কুলে যান। সেখান থেকে নথি সংগ্রহ করুন। এটা কি বিরাট কোন কাজ?” বিচারপতির প্রশ্ন, “আমি কি এখানে বসব, নাকি আপনাদের সিটে যোগদান করব ?”সিআইডি বিচারপতির কাছে আরও ১৫ দিন সময় চেয়ে নেয়।

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় রাজ্যের স্বস্তি, মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের, নিয়োগে রইল না বাধা

 

আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমী পালনে আয়োজকদের ‘কড়া শর্তাবলি’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

বিচারপতি জানিয়েছেন, “যাঁদের নাম দুর্নীতির অভিযোগ আসছে, তাঁদের কাছ থেকে বেতন ফেরত নেওয়া যায় কিনা সেটা বিবেচনা করে দেখুন।”গোথা হাইস্কুল মামলায় বুধবার সিআইডির ডিআইজি কে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসু। গোথা হাইস্কুলের এই শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কার্যত কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসে। তদন্তের মাঝেই সিআইডি-র হাতে জমা পড়ে এক সরকারি আধিকারিকের চিঠি। মামলার সূত্রে খামে ভরে সেই চিঠি জমা পড়েছে আদালতে। অভিযোগ, জিটিএ এলাকায় অর্থাত্‍ পাহাড়ে ৩২৩ জন শিক্ষকের নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।