মোল্লা জসিমউদ্দিন: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে উঠে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা।’এসএসসি থেকে প্রাথমিক এবং পুর নিয়োগ দুর্নীতি একে অপরের সঙ্গে জড়িত। গোটাটাই একটা দুর্নীতির চক্র। একটি সুতোর জট ছাড়াতে গেলে অন্যটিতে টান পড়ছে’। এদিন প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চে রিপোর্ট দিয়ে এমনটাই দাবি করেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির রিপোর্টে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলেও সূত্রে প্রকাশ । এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান -‘ আমরা ইতিমধ্যে অনেক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছি। আসলে এটা প্যান্ডোরার বাক্স। একটা দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে আর একটা দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে’। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, -‘ কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্ট এখনও তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয়নি’। এরপর বিচারপতি বলেন, -‘দুমাস হয়ে গেল। সেটা ব্যবহার না করতে পারলে তদন্ত অগ্রসর হবে কী করে?’ ঘটনাচক্রে এসএসসির দুর্নীতি মামলায় এদিন বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, -‘ নিয়োগ দুর্নীতি প্রমাণিত হলে নিয়োগ সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে যেতে পারে কিংবা গোটা নিয়োগের অংশ বিশেষ বাতিল হতে পারে। এই দুটি বিকল্পই আমাদের কাছে রয়েছে। যদিও এটা একেবারে প্রাথমিক পর্যায়। এখনও অনেক কিছু আদালত খতিয়ে দেখবে। সবটা বেআইনি হলে পরিণতি যা হওয়ার তাই হবে। পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি পেলে তাঁর সঙ্গে কী করা উচিত। পদ ভরাতে হবে বলে অযোগ্যদের নিয়োগ কেন।’এদিনও স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী। বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, -‘কমিশনকে বিশ্বাস না করলে তো গোটা নিয়োগটাই বাতিল করা উচিত। একটা পচা আপেল গোটা ঝুড়ির সব আপেলকে নষ্ট করে দেয়’।