১৯ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্তজার্তিক আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সরব চিন, ফিলিস্তিনিদের সমর্থন বেইজিংয়ের

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, শুক্রবার
  • / 145

হেগ, ২৩ জানুয়ারি: আন্তজার্তিক আদালতে (ICJ) ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলল চিন। দীর্ঘদিন ফিলিস্তিনিদের উপর বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানিয়ে গাজাবাসীর পাশেই দাঁড়াল শি জিংপিং এর দেশ। ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের সশস্ত্র শক্তি ব্যবহারের অধিকারকে সমর্থনও জানিয়েছে। লাল ফৌজের দেশ মনে করিয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিনি জনগণের সশস্ত্র শক্তি ব্যবহারের অধিকার “আন্তর্জাতিক আইনে প্রতিষ্ঠিত একটি অবিচ্ছেদ্য অধিকার”।

 

আরও পড়ুন: ইউরোপা লিগে স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ হল ইসরাইলের ফুটবল সমর্থকরা

বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (ICJ) চতুর্থ দিনের শুনানিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন এই মন্তব্য করেন। এছাড়াও এদিন ফিলিস্তিনি ভূমিতে কয়েক দশক ধরে ইসরাইলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব নিয়ে ৫২টি দেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। বেইজিংয়ের রাষ্ট্রদূত বক্তব্যে বলেন, “বিভিন্ন সময়ে মানুষ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে নিজেদের মুক্ত করেছে। তারা সশস্ত্র সংগ্রামের সমস্ত উপায় ব্যবহার করতে পারে। ফিলিস্তিনি নাগরিকরা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এটিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলা যায় না।” ঝাং জুন আদালতকে বলেন, “উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম, দখলদারিত্ব, আগ্রাসন, বিদেশি শক্তির আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মুক্তি এবং অধিকারের জন্য যে সংগ্রাম চলছে তা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।”

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ, তবে আছে উৎকণ্ঠাও

 

আরও পড়ুন: ‘গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে ভারত সরকারকেও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে’, দাবি বামপন্থীদের

জুন তাঁর ভাষণে ইসরাইলি আগ্রাসনের সমালোচনা করে বলেন, “ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। তাদের সমস্ত অধিকারকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন ও বাধাগ্রস্ত করেছে।” সংবাদ সংস্থা রইটার্স-এর প্রতিবদনে বলা হয়েছে, আইসিজের গণশুনানি ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। পরবর্তীতে চিন ছাড়াও হাঙ্গেরি, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মিসরের মত দেশগুলি অংশ নেবে। এছাড়াও আরব লীগ, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন এবং আফ্রিকান ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এতে অংশ নেবে। তবে ইসরাইল এতে অংশ নেবে না।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আন্তজার্তিক আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সরব চিন, ফিলিস্তিনিদের সমর্থন বেইজিংয়ের

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, শুক্রবার

হেগ, ২৩ জানুয়ারি: আন্তজার্তিক আদালতে (ICJ) ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলল চিন। দীর্ঘদিন ফিলিস্তিনিদের উপর বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানিয়ে গাজাবাসীর পাশেই দাঁড়াল শি জিংপিং এর দেশ। ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের সশস্ত্র শক্তি ব্যবহারের অধিকারকে সমর্থনও জানিয়েছে। লাল ফৌজের দেশ মনে করিয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিনি জনগণের সশস্ত্র শক্তি ব্যবহারের অধিকার “আন্তর্জাতিক আইনে প্রতিষ্ঠিত একটি অবিচ্ছেদ্য অধিকার”।

 

আরও পড়ুন: ইউরোপা লিগে স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ হল ইসরাইলের ফুটবল সমর্থকরা

বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (ICJ) চতুর্থ দিনের শুনানিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন এই মন্তব্য করেন। এছাড়াও এদিন ফিলিস্তিনি ভূমিতে কয়েক দশক ধরে ইসরাইলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব নিয়ে ৫২টি দেশের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। বেইজিংয়ের রাষ্ট্রদূত বক্তব্যে বলেন, “বিভিন্ন সময়ে মানুষ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে নিজেদের মুক্ত করেছে। তারা সশস্ত্র সংগ্রামের সমস্ত উপায় ব্যবহার করতে পারে। ফিলিস্তিনি নাগরিকরা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। এটিকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলা যায় না।” ঝাং জুন আদালতকে বলেন, “উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম, দখলদারিত্ব, আগ্রাসন, বিদেশি শক্তির আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মুক্তি এবং অধিকারের জন্য যে সংগ্রাম চলছে তা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয়।”

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ, তবে আছে উৎকণ্ঠাও

 

আরও পড়ুন: ‘গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে ভারত সরকারকেও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে’, দাবি বামপন্থীদের

জুন তাঁর ভাষণে ইসরাইলি আগ্রাসনের সমালোচনা করে বলেন, “ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের উপর নিপীড়ন চালাচ্ছে। তাদের সমস্ত অধিকারকে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন ও বাধাগ্রস্ত করেছে।” সংবাদ সংস্থা রইটার্স-এর প্রতিবদনে বলা হয়েছে, আইসিজের গণশুনানি ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। পরবর্তীতে চিন ছাড়াও হাঙ্গেরি, ফ্রান্স, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মিসরের মত দেশগুলি অংশ নেবে। এছাড়াও আরব লীগ, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন এবং আফ্রিকান ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এতে অংশ নেবে। তবে ইসরাইল এতে অংশ নেবে না।