২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেটে পুনরায় ৩৯ জন কে নিয়ে মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার
  • / 36

মোল্লা জসিমউদ্দিন: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে উঠে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশে জানিয়েছেন, ‘৩৯ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করার জন্য নতুন প্যানেল প্রকাশ করতে হবে’। এই মামলায় ৯,৫৩৩ জনের নিয়োগের একটি প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ আগেই দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০২২ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সেই স্থগিতাদেশ তুলে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রায় ১২ হাজার প্রার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই ৯,৫৩৩ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে ডিএলএড এবং বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়। আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেছিলেন যে, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল প্রাথমিক স্কুলে পড়াতে পারবেন শুধুমাত্র ডিএলএড প্রশিক্ষিতরা। কিন্তু তাঁরা বিএড প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ করেই চাকরির আবেদন করেছিলেন’। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কলকাতা হাইকোর্টে প্রথমে ১২ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন যাঁরা ডিএলএড, বিএড দু’রকম প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। পরবর্তী সময়ে ডিএলএড প্রশিক্ষিত আরও ৩৯ জনও আলাদা করে মামলা করেন। ১২ জনের জন্য আলাদা মেধাতালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ আগেই দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থার। এবার ৩৯ জনের জন্য এই নির্দেশ।

 

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় রাজ্যের স্বস্তি, মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের, নিয়োগে রইল না বাধা

প্রসঙ্গত, ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল ২০২২ সালে। সম্প্রতি টেট পরীক্ষার পরে এই নিয়োগের প্যানেল নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ২০২০ সালের আগে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং টেট উত্তীর্ণ ৯ হাজার ৫৩৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং তাদের দেওয়া হবে নিয়োগপত্র। সেই অনুযায়ী গত ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত হয় প্রাথমিকের মেধাতালিকা। এরপর মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমী পালনে আয়োজকদের ‘কড়া শর্তাবলি’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

আরও পড়ুন: শপথ নিলেন বিচারপতি Joymalya Bagchi

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

টেটে পুনরায় ৩৯ জন কে নিয়ে মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ

আপডেট : ১ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে উঠে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশে জানিয়েছেন, ‘৩৯ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করার জন্য নতুন প্যানেল প্রকাশ করতে হবে’। এই মামলায় ৯,৫৩৩ জনের নিয়োগের একটি প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ আগেই দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০২২ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সেই স্থগিতাদেশ তুলে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রায় ১২ হাজার প্রার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই ৯,৫৩৩ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে ডিএলএড এবং বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়। আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেছিলেন যে, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল প্রাথমিক স্কুলে পড়াতে পারবেন শুধুমাত্র ডিএলএড প্রশিক্ষিতরা। কিন্তু তাঁরা বিএড প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ করেই চাকরির আবেদন করেছিলেন’। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কলকাতা হাইকোর্টে প্রথমে ১২ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন যাঁরা ডিএলএড, বিএড দু’রকম প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। পরবর্তী সময়ে ডিএলএড প্রশিক্ষিত আরও ৩৯ জনও আলাদা করে মামলা করেন। ১২ জনের জন্য আলাদা মেধাতালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ আগেই দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থার। এবার ৩৯ জনের জন্য এই নির্দেশ।

 

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় রাজ্যের স্বস্তি, মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের, নিয়োগে রইল না বাধা

প্রসঙ্গত, ১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল ২০২২ সালে। সম্প্রতি টেট পরীক্ষার পরে এই নিয়োগের প্যানেল নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ২০২০ সালের আগে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং টেট উত্তীর্ণ ৯ হাজার ৫৩৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং তাদের দেওয়া হবে নিয়োগপত্র। সেই অনুযায়ী গত ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত হয় প্রাথমিকের মেধাতালিকা। এরপর মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমী পালনে আয়োজকদের ‘কড়া শর্তাবলি’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

আরও পড়ুন: শপথ নিলেন বিচারপতি Joymalya Bagchi