১৮ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ৩১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার যুদ্ধ যেন নারী সংহার : ইউএন উইমেন

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ২ মার্চ ২০২৪, শনিবার
  • / 109

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বোমা পড়ছে ত্রাণের লাইনে। বোমা পড়ছে সাধের ঘরে। কখনও বা ত্রিপল বাঁধা তাঁবুতে। ইসরাইলের বোমায় মরছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। যুদ্ধের কিছু নিয়ম আছে। প্রাচীনকাল থেকেই যুদ্ধের সময় শত্রুপক্ষের মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধদের আক্রমণ করা হত না। কিন্তু ইসরাইল না শোনে ধর্মের কথা, আর না শোনে রাষ্ট্রসঙ্ঘের।

ইসরাইল প্রতিমুহুর্তে বোমা বর্ষণ করছে ফিলিস্তিনের উপর। আর এই মৃত্যু মিছিলে প্রতিদিন অন্তত ৬৩ জন মহিলারও মৃত্যু হচ্ছে। আবার এদের মধ্যে ৩৭ জনই মা। নিজের সন্তানদের অসহায় করে প্রতিদিন চলে যাচ্ছে তারা। এই পরিসংখ্যান দিয়েছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘেরই সংস্থা ইউএন উইমেন। মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষে কাজ করে এই সংস্থা। ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মানুষ মারা শুরু হলে তাদের প্রতিনিধিরা পৌঁছায় গাজায়। সেখান থেকে হৃদয়বিদারক তথ্য নিয়ে ফিরেছে তাদের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ, তবে আছে উৎকণ্ঠাও

ইউএন উইমেন এর মতে, গতবছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত গাজায় ৯ হাজার মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এখন সেখানার মহিলারা বিধ্বস্ত। প্রতিমুহুর্তে মৃত্যুর ভয়ে দিন কাটছে তাদের। গাজার ৫ জনের মধ্যে ৪ জন মহিলা (৮৪ শতাংশ) জানিয়েছেন, তাদের পরিবার এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন আধপেটা বা তার থেকেও কম খাবারে সন্তুষ্ট থাকে। সেখানকার ৮৭ শাতাংশ মহিলারা পুরুষের তুলনায় কম খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন প্রতিদিন। খাবার না পেয়ে ফিলিস্তিনের বহু মহিলা ধ্বংসস্তুপ খুঁড়ছেন। ভেঙে পড়া কোনও ভবনে পড়ে থাকা খাবার যদি মেলে সেই আশায়। কেউ বা আস্তাকুঁড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ফেলে দেওয়া খাবার সংগ্রহের আশায়।

আরও পড়ুন: কে রুখবে নেতানিয়াহুকে? ট্রাম্পের শান্তি আহ্বান অগ্রাহ্য করে গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৭০

গাজায় অবিলম্বে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হোক, এই যুদ্ধ বন্ধ হোক শিঘ্রী বলছে ইউএন উইমেন।

আরও পড়ুন: মাঝ পথেই থেমে গেল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা, আটক শেষ জাহাজটিও

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গাজার যুদ্ধ যেন নারী সংহার : ইউএন উইমেন

আপডেট : ২ মার্চ ২০২৪, শনিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বোমা পড়ছে ত্রাণের লাইনে। বোমা পড়ছে সাধের ঘরে। কখনও বা ত্রিপল বাঁধা তাঁবুতে। ইসরাইলের বোমায় মরছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। যুদ্ধের কিছু নিয়ম আছে। প্রাচীনকাল থেকেই যুদ্ধের সময় শত্রুপক্ষের মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধদের আক্রমণ করা হত না। কিন্তু ইসরাইল না শোনে ধর্মের কথা, আর না শোনে রাষ্ট্রসঙ্ঘের।

ইসরাইল প্রতিমুহুর্তে বোমা বর্ষণ করছে ফিলিস্তিনের উপর। আর এই মৃত্যু মিছিলে প্রতিদিন অন্তত ৬৩ জন মহিলারও মৃত্যু হচ্ছে। আবার এদের মধ্যে ৩৭ জনই মা। নিজের সন্তানদের অসহায় করে প্রতিদিন চলে যাচ্ছে তারা। এই পরিসংখ্যান দিয়েছে, রাষ্ট্রসঙ্ঘেরই সংস্থা ইউএন উইমেন। মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষে কাজ করে এই সংস্থা। ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মানুষ মারা শুরু হলে তাদের প্রতিনিধিরা পৌঁছায় গাজায়। সেখান থেকে হৃদয়বিদারক তথ্য নিয়ে ফিরেছে তাদের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে গাজাবাসীর আনন্দ, তবে আছে উৎকণ্ঠাও

ইউএন উইমেন এর মতে, গতবছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত গাজায় ৯ হাজার মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এখন সেখানার মহিলারা বিধ্বস্ত। প্রতিমুহুর্তে মৃত্যুর ভয়ে দিন কাটছে তাদের। গাজার ৫ জনের মধ্যে ৪ জন মহিলা (৮৪ শতাংশ) জানিয়েছেন, তাদের পরিবার এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন আধপেটা বা তার থেকেও কম খাবারে সন্তুষ্ট থাকে। সেখানকার ৮৭ শাতাংশ মহিলারা পুরুষের তুলনায় কম খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন প্রতিদিন। খাবার না পেয়ে ফিলিস্তিনের বহু মহিলা ধ্বংসস্তুপ খুঁড়ছেন। ভেঙে পড়া কোনও ভবনে পড়ে থাকা খাবার যদি মেলে সেই আশায়। কেউ বা আস্তাকুঁড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ফেলে দেওয়া খাবার সংগ্রহের আশায়।

আরও পড়ুন: কে রুখবে নেতানিয়াহুকে? ট্রাম্পের শান্তি আহ্বান অগ্রাহ্য করে গাজায় ইসরাইলের ভয়াবহ হামলা, নিহত ৭০

গাজায় অবিলম্বে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হোক, এই যুদ্ধ বন্ধ হোক শিঘ্রী বলছে ইউএন উইমেন।

আরও পড়ুন: মাঝ পথেই থেমে গেল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা, আটক শেষ জাহাজটিও