১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হ্যাট্রিক জয়ের পর ফের আশীর্বাদ নিতে মন্দির ও গুরদোয়ারায় মুখ্যমন্ত্রী

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৪ অক্টোবর ২০২১, সোমবার
  • / 74

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ উপনির্বাচনের আগে আশীর্বাদ নিয়ে গিয়েছিলেন মা শীতলার। বলেছিলেন নির্বাচনে জিতে আবার আসবেন। ভবানীপুরের হ্যাট্রিক জয়ের পর ভবানীপুরের শীতলা মন্দিরে এসে মায়ের আশীর্বাদ নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই পায়ে হেঁটে পৌঁছালেন গুরদোয়ারায়। সঙ্গী অভিষেক এবং সুব্রত বক্সী।

রবিবার রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে জয়ের পর সোমবার শীতলা মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করলেন আরতিও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীও।

আরও পড়ুন: দিনভর রোযা রেখে, ইফতারের পর মাঠে নেমে হ্যাট্রিক বেনজিমার

ভবানীপুরে শুধুমাত্র জয়ের হ্যাটট্রিকই নয়। নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙেন মমতা। এরপর পায়ে হেঁটে গুরদোয়ারার উদ্দেশে যাওয়ার পথে প্রচুর মানুষ রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি প্রণাম জানিয়ে, হাত নাড়েন মমতা।

গুরদোয়ারায় ভোটের প্রচারের সময় এসেছিলেন তিনি। এদিন গুরদোয়ারায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুষ্পস্তবক নিয়ে স্বাগত জানানো হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করেন।

২০১১ সালে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে ৫৪ হাজারের বেশি কিছু ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন মমতা। কিন্তু এবার সেই ব্যবধানও টপকে গেলেন তিনি। রবিবার উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ হলে দেখা যায়,  ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে জিতেছেন মমতা। শুধু তাই নয়,  ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলাফল দেখলেও,  প্রতিটি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছেন তিনিই।

একদিকে বিধানসভা নির্বাচনে দলের বিরাট জয়,  তারপর নিজের কেন্দ্রেও রেকর্ড মার্জিনে জয় পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী। ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলার প্রতিটি মানুষকে। একইসঙ্গে পরবর্তী লক্ষ্যও নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এক টুকরো ভারত, ভবানীপুরের এই জয়ই আগামী দিনে ভারত জয় করার সাহস জোগাল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

উল্লেখ্য,  শনিবার ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। ওই কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে হ্যাট্রিক করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ের পর তিনি বলেছিলেন, ‘কোনও ওয়ার্ড থেকে হারিনি। এটা দেখে খুবই ভালো লেগেছে।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হ্যাট্রিক জয়ের পর ফের আশীর্বাদ নিতে মন্দির ও গুরদোয়ারায় মুখ্যমন্ত্রী

আপডেট : ৪ অক্টোবর ২০২১, সোমবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ উপনির্বাচনের আগে আশীর্বাদ নিয়ে গিয়েছিলেন মা শীতলার। বলেছিলেন নির্বাচনে জিতে আবার আসবেন। ভবানীপুরের হ্যাট্রিক জয়ের পর ভবানীপুরের শীতলা মন্দিরে এসে মায়ের আশীর্বাদ নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই পায়ে হেঁটে পৌঁছালেন গুরদোয়ারায়। সঙ্গী অভিষেক এবং সুব্রত বক্সী।

রবিবার রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে জয়ের পর সোমবার শীতলা মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করলেন আরতিও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীও।

আরও পড়ুন: দিনভর রোযা রেখে, ইফতারের পর মাঠে নেমে হ্যাট্রিক বেনজিমার

ভবানীপুরে শুধুমাত্র জয়ের হ্যাটট্রিকই নয়। নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙেন মমতা। এরপর পায়ে হেঁটে গুরদোয়ারার উদ্দেশে যাওয়ার পথে প্রচুর মানুষ রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি প্রণাম জানিয়ে, হাত নাড়েন মমতা।

গুরদোয়ারায় ভোটের প্রচারের সময় এসেছিলেন তিনি। এদিন গুরদোয়ারায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুষ্পস্তবক নিয়ে স্বাগত জানানো হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করেন।

২০১১ সালে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে ৫৪ হাজারের বেশি কিছু ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন মমতা। কিন্তু এবার সেই ব্যবধানও টপকে গেলেন তিনি। রবিবার উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ হলে দেখা যায়,  ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে জিতেছেন মমতা। শুধু তাই নয়,  ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলাফল দেখলেও,  প্রতিটি ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছেন তিনিই।

একদিকে বিধানসভা নির্বাচনে দলের বিরাট জয়,  তারপর নিজের কেন্দ্রেও রেকর্ড মার্জিনে জয় পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী। ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলার প্রতিটি মানুষকে। একইসঙ্গে পরবর্তী লক্ষ্যও নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এক টুকরো ভারত, ভবানীপুরের এই জয়ই আগামী দিনে ভারত জয় করার সাহস জোগাল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

উল্লেখ্য,  শনিবার ভবানীপুর উপ-নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। ওই কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে হ্যাট্রিক করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ের পর তিনি বলেছিলেন, ‘কোনও ওয়ার্ড থেকে হারিনি। এটা দেখে খুবই ভালো লেগেছে।’