০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হামাসের সমর্থনে পোস্টে লাইক করে বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ

আবুল খায়ের
  • আপডেট : ৮ মে ২০২৪, বুধবার
  • / 9

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ হামাসের সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমের একটি পোস্টে লাইক করার অপরাধে বরখাস্ত করা হল নামী এক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে।

জানা গেছে, মুম্বাইয়ের সোমাইয়া স্কুলের অধ্যক্ষ পারভীন শেখ কয়েক দিন আগে এক্স হ্যান্ডেলে হামাসের সমর্থনে একটি পোস্টে নিজের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করেন। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে গোটা ঘটনার জের পদত্যাগ করতে বললেও তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেন। এরপরই প্রিন্সিপ্যালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উদ্যোগ নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। শনিবার পারভীনের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চান ম্যানেজমেন্ট। এরপরই মঙ্গলবার তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। সমগ্র বিষয়টিকে “রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে উল্লেখ করেছেন দাবি করেছেন পারভীন।

এ দিন গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সোমাইয়া স্কুলের তরফে বলা হয়, “এটা আমাদের নজরে এসেছে যে পারভীন শেখের সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপগুলি আমাদের মূল্যবোধগুলির বিরুদ্ধাচারণ করছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে,পারভীন শেখকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” স্কুলটি জানায় যে তারা, “দৃঢ়ভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে সমর্থন করে” তবে এটি “দায়িত্বের সাথে প্রয়োগ করা উচিত” বলেই তারা মনে করেন।

এই ঘটনার পর হতাশা প্রকাশ করে বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে জানিয়েছেন, ‘সোমাইয়া স্কুলের সঙ্গে বারো বছরের সম্পর্ক। সাত বছর আগে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাই। তা আমি যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করেছি ম্যানেজমেন্টের কাছ৯ থেকে বহিষ্কারের খবর পাওয়ার আগেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমার বহিষ্কারের খবর জেনে বিস্মিত হয়েছি। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অন্যায়।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ আমাকে পদত্যাগের জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আইনি পথে হাঁটতে আমি বাধ্য হবো।”

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হামাসের সমর্থনে পোস্টে লাইক করে বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ

আপডেট : ৮ মে ২০২৪, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ হামাসের সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমের একটি পোস্টে লাইক করার অপরাধে বরখাস্ত করা হল নামী এক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে।

জানা গেছে, মুম্বাইয়ের সোমাইয়া স্কুলের অধ্যক্ষ পারভীন শেখ কয়েক দিন আগে এক্স হ্যান্ডেলে হামাসের সমর্থনে একটি পোস্টে নিজের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করেন। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে গোটা ঘটনার জের পদত্যাগ করতে বললেও তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেন। এরপরই প্রিন্সিপ্যালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উদ্যোগ নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। শনিবার পারভীনের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চান ম্যানেজমেন্ট। এরপরই মঙ্গলবার তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। সমগ্র বিষয়টিকে “রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে উল্লেখ করেছেন দাবি করেছেন পারভীন।

এ দিন গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সোমাইয়া স্কুলের তরফে বলা হয়, “এটা আমাদের নজরে এসেছে যে পারভীন শেখের সোশ্যাল মিডিয়া কার্যকলাপগুলি আমাদের মূল্যবোধগুলির বিরুদ্ধাচারণ করছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে,পারভীন শেখকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” স্কুলটি জানায় যে তারা, “দৃঢ়ভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে সমর্থন করে” তবে এটি “দায়িত্বের সাথে প্রয়োগ করা উচিত” বলেই তারা মনে করেন।

এই ঘটনার পর হতাশা প্রকাশ করে বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে জানিয়েছেন, ‘সোমাইয়া স্কুলের সঙ্গে বারো বছরের সম্পর্ক। সাত বছর আগে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাই। তা আমি যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করেছি ম্যানেজমেন্টের কাছ৯ থেকে বহিষ্কারের খবর পাওয়ার আগেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমার বহিষ্কারের খবর জেনে বিস্মিত হয়েছি। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অন্যায়।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ আমাকে পদত্যাগের জন্যও চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আইনি পথে হাঁটতে আমি বাধ্য হবো।”