১১ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিযুক্তকে জেরার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু উল্টোডাঙা থানার সাব ইনস্পেক্টর মেহেতাবের

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২১, বুধবার
  • / 33

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ শিশু অপহরণ মামলায় অভিযুক্তকে জেরা করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন সাব ইনস্পেক্টর (Ultadanga)। উল্টোডাঙা থানার এসআই-কে তড়িঘড়ি ভরতি করা হয় হাসপাতালে। তাও শেষরক্ষা হল না। অষ্টমীর ভোরে হাসপাতালে প্রাণহানি হয় তাঁর। অভিযোগ, রাস্তায় ভিড় থাকার ফলে সময়মতো ওই পুলিশ আধিকারিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি বলেই প্রাণহানি।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত শুক্রবার উল্টোডাঙা থানা এলাকায় বছর তিনেকের একটি শিশু নিখোঁজ হয়ে যায়। তার পরিবারের তরফে অপহরণের মামলা দায়ের হয়। সাব ইনস্পেক্টর আফতাব মেহতাবই ঘটনাটির তদন্ত করছিলেন। গত মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করেন তিনি। কেন অপহরণ করেছিল, কোথায় রয়েছে শিশুটি, তা জানতে উল্টোডাঙা থানায় অভিযুক্তকে জেরা করছিলেন ওই সাব ইনস্পেক্টর (Sub Inspector)।

অন্যান্য পুলিশকর্মীদের দাবি, অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রচণ্ড ঘামছিলেন তিনি। অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। তড়িঘড়ি ওসি তাঁকে গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেন। সপ্তমীর রাতে রাস্তায় উৎসবমুখর জনতার ভিড় ছিল যথেষ্ট। অভিযোগ, তাই হাসপাতালে নিয়ে যেতে কিছুটা বেশি সময় লাগে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদিও সাব ইনস্পেক্টরকে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর স্থিতিশীল বলেই জানান। রাতেই ঘটে অঘটন। গভীর রাতে একাধিকবার ওই পুলিশ আধিকারিক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ভোর ৪টে ২০ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর।

অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের দাবি, সাব ইনস্পেক্টর আফতাব আহমেদ ভীষণ আবেগপ্রবণ ছিলেন। তাঁর একটি শিশুকন্যাও রয়েছে। তাই নিখোঁজ কাণ্ডের তদন্তে একটু বেশিই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সে কারণে এই দুর্ঘটনা বলেই মনে করছেন অনেকেই। এদিকে, নিখোঁজ ওই শিশুকন্যাকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

আরও খবর পড়ুনঃ

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অভিযুক্তকে জেরার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু উল্টোডাঙা থানার সাব ইনস্পেক্টর মেহেতাবের

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২১, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ শিশু অপহরণ মামলায় অভিযুক্তকে জেরা করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন সাব ইনস্পেক্টর (Ultadanga)। উল্টোডাঙা থানার এসআই-কে তড়িঘড়ি ভরতি করা হয় হাসপাতালে। তাও শেষরক্ষা হল না। অষ্টমীর ভোরে হাসপাতালে প্রাণহানি হয় তাঁর। অভিযোগ, রাস্তায় ভিড় থাকার ফলে সময়মতো ওই পুলিশ আধিকারিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়নি বলেই প্রাণহানি।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত শুক্রবার উল্টোডাঙা থানা এলাকায় বছর তিনেকের একটি শিশু নিখোঁজ হয়ে যায়। তার পরিবারের তরফে অপহরণের মামলা দায়ের হয়। সাব ইনস্পেক্টর আফতাব মেহতাবই ঘটনাটির তদন্ত করছিলেন। গত মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করেন তিনি। কেন অপহরণ করেছিল, কোথায় রয়েছে শিশুটি, তা জানতে উল্টোডাঙা থানায় অভিযুক্তকে জেরা করছিলেন ওই সাব ইনস্পেক্টর (Sub Inspector)।

অন্যান্য পুলিশকর্মীদের দাবি, অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রচণ্ড ঘামছিলেন তিনি। অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। তড়িঘড়ি ওসি তাঁকে গাড়িতে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেন। সপ্তমীর রাতে রাস্তায় উৎসবমুখর জনতার ভিড় ছিল যথেষ্ট। অভিযোগ, তাই হাসপাতালে নিয়ে যেতে কিছুটা বেশি সময় লাগে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদিও সাব ইনস্পেক্টরকে প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর স্থিতিশীল বলেই জানান। রাতেই ঘটে অঘটন। গভীর রাতে একাধিকবার ওই পুলিশ আধিকারিক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ভোর ৪টে ২০ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর।

অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের দাবি, সাব ইনস্পেক্টর আফতাব আহমেদ ভীষণ আবেগপ্রবণ ছিলেন। তাঁর একটি শিশুকন্যাও রয়েছে। তাই নিখোঁজ কাণ্ডের তদন্তে একটু বেশিই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সে কারণে এই দুর্ঘটনা বলেই মনে করছেন অনেকেই। এদিকে, নিখোঁজ ওই শিশুকন্যাকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

আরও খবর পড়ুনঃ