২৮ জুলাই ২০২৫, সোমবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের প্রথম মহিলা পাইলট রেশমা নিলোফারের জীবনের এই ঘটনাগুলি আপনাকে বিস্মিত করবেই

পুবের কলম
  • আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, শনিবার
  • / 50

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সমুদ্রের শক্তিশালী ঢেউ তাঁকে রুখতে পারেনি।আটকাতে পারেনি তাঁর জাহাজে চড়া। অন্তরের প্রবল দৃঢ়তা তাঁকে বিশ্বের প্রথম মহিলা নদী পাইলট করে তোলে। আজ বিশ্বের অন্যতম চর্চিত নাম রেশমা নিলোফার নাহা। তিনি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে ২০১৯ সালে নারী শক্তি পুরস্কার পুরস্কার লাভ করেন।
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা রেশমা। অত্যন্ত ভদ্র বাড়ির মেয়ে। চেন্নাইয়ের একাডেমি অব মেরিটাইম এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (এএমইটি) থেকে সামুদ্রিক প্রযুক্তির পেশাগত কোর্স করেন রেশমা। কোর্স শেষ করার পর, যাত্রীবাহী জাহাজ এবং কনটেইনার জাহাজে তিনি বিশ্বজুড়ে যাত্রা করেছিলেন।অবশেষে, তিনি প্রায় সাড়ে ছ’বছর কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট এ প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন।২০১৮ সালে একই বন্দরে মেরিটাইম পাইলট হিসাবে তিনি নিযুক্ত হয়েছিলেন।

রিভার পাইলট হিসেবে নিজের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মেরিন পাইলটের ভূমিকা হল বন্দরে এবং বাইরে নিরাপদে একটি জাহাজকে পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।কাজের জন্য প্রচণ্ড শারীরিক এবং মানসিক শক্তি প্রয়োজন। যখন আপনি প্রথম কৃতিত্ব অর্জন করেন তখন এটা কখনই সহজ হয় না। ’’ তিনি আরও বলেন, “মানুষ মনে করে না যে একজন মহিলা পাইলট হবেন। তারা ভেবেছিল আমি কয়েক মাসের মধ্যে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব । কিন্তু আমি এখানে আছি, এখনও আমার কাজ করছি।তিনি আরও বলেন, রিভার পাইলট হওয়া ব্যাপারটা এত সহজ ছিল না।

রেশমা নিলোফার স্বীকার করেছেন যে রিভার পাইলট হিসাবে তার যাত্রা সহজ ছিল না। চাকরি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, `আমরা একটি বিশেষ বন্দরে সংযুক্ত স্থানীয় বিশেষজ্ঞ নেভিগেটর। আমরা জাহাজকে চিনি ঠিক আমাদের হাতের তালুর মত। তিনি আরও বলেন, জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রতিটি বন্দরে বিশেষজ্ঞ হতে পারে না, এ কারণেই মেরিন পাইলটের এত গুরুত্ব। নদীর পাইলটকে বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। যদি নদীটি খুবই সংকীর্ণ হয় এবং যদি তাতে বালুচর থাকে, কিংবা এর স্রোত যদি মারাত্মক হয় তাহলে সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে মানসিকভাবে সজাগ থাকতেই হব। প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এই কাজে ফিটনেস ভীষণ জরুরি। দেশের প্রথম রিভার পাইলট বলেন, “আমরা একটি ছোট পাইলট লঞ্চার বা একটি পাইলট নৌকা থেকে জাহাজে উঠি, এবং আমরা একটি উল্লম্ব দড়ির সিঁড়ি ব্যবহার করে জাহাজটির উপরে ও নিচে উঠি, যার জন্য কিছু পরিমাণ ফিটনেস প্রয়োজন।”

আরও খবর পড়ুনঃ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিশ্বের প্রথম মহিলা পাইলট রেশমা নিলোফারের জীবনের এই ঘটনাগুলি আপনাকে বিস্মিত করবেই

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সমুদ্রের শক্তিশালী ঢেউ তাঁকে রুখতে পারেনি।আটকাতে পারেনি তাঁর জাহাজে চড়া। অন্তরের প্রবল দৃঢ়তা তাঁকে বিশ্বের প্রথম মহিলা নদী পাইলট করে তোলে। আজ বিশ্বের অন্যতম চর্চিত নাম রেশমা নিলোফার নাহা। তিনি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত থেকে ২০১৯ সালে নারী শক্তি পুরস্কার পুরস্কার লাভ করেন।
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা রেশমা। অত্যন্ত ভদ্র বাড়ির মেয়ে। চেন্নাইয়ের একাডেমি অব মেরিটাইম এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (এএমইটি) থেকে সামুদ্রিক প্রযুক্তির পেশাগত কোর্স করেন রেশমা। কোর্স শেষ করার পর, যাত্রীবাহী জাহাজ এবং কনটেইনার জাহাজে তিনি বিশ্বজুড়ে যাত্রা করেছিলেন।অবশেষে, তিনি প্রায় সাড়ে ছ’বছর কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট এ প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন।২০১৮ সালে একই বন্দরে মেরিটাইম পাইলট হিসাবে তিনি নিযুক্ত হয়েছিলেন।

রিভার পাইলট হিসেবে নিজের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মেরিন পাইলটের ভূমিকা হল বন্দরে এবং বাইরে নিরাপদে একটি জাহাজকে পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।কাজের জন্য প্রচণ্ড শারীরিক এবং মানসিক শক্তি প্রয়োজন। যখন আপনি প্রথম কৃতিত্ব অর্জন করেন তখন এটা কখনই সহজ হয় না। ’’ তিনি আরও বলেন, “মানুষ মনে করে না যে একজন মহিলা পাইলট হবেন। তারা ভেবেছিল আমি কয়েক মাসের মধ্যে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব । কিন্তু আমি এখানে আছি, এখনও আমার কাজ করছি।তিনি আরও বলেন, রিভার পাইলট হওয়া ব্যাপারটা এত সহজ ছিল না।

রেশমা নিলোফার স্বীকার করেছেন যে রিভার পাইলট হিসাবে তার যাত্রা সহজ ছিল না। চাকরি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, `আমরা একটি বিশেষ বন্দরে সংযুক্ত স্থানীয় বিশেষজ্ঞ নেভিগেটর। আমরা জাহাজকে চিনি ঠিক আমাদের হাতের তালুর মত। তিনি আরও বলেন, জাহাজের ক্যাপ্টেন প্রতিটি বন্দরে বিশেষজ্ঞ হতে পারে না, এ কারণেই মেরিন পাইলটের এত গুরুত্ব। নদীর পাইলটকে বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। যদি নদীটি খুবই সংকীর্ণ হয় এবং যদি তাতে বালুচর থাকে, কিংবা এর স্রোত যদি মারাত্মক হয় তাহলে সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে মানসিকভাবে সজাগ থাকতেই হব। প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
এই কাজে ফিটনেস ভীষণ জরুরি। দেশের প্রথম রিভার পাইলট বলেন, “আমরা একটি ছোট পাইলট লঞ্চার বা একটি পাইলট নৌকা থেকে জাহাজে উঠি, এবং আমরা একটি উল্লম্ব দড়ির সিঁড়ি ব্যবহার করে জাহাজটির উপরে ও নিচে উঠি, যার জন্য কিছু পরিমাণ ফিটনেস প্রয়োজন।”

আরও খবর পড়ুনঃ