৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হস্টেলে আত্মঘাতী আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, সম্পর্কের টানাপোড়েন, না অন্য কিছু, উঠছে প্রশ্ন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার
  • / 54

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে নিউ টাউন ক্যাম্পাসে। সম্পর্কের টানাপোড়েন, না অন্য কিছু, উঠছে প্রশ্ন। সোমবার সন্ধেয় আলিয়ার নিউটাউন ক্যাস্পাসের হস্টেলে ঘটনাটি ঘটেছে।

আর জি কর হাসপাতালে আবদুর রহমান নামে ওই ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষনা করে। ময়না তদন্তের পর মঙ্গলবার সন্ধায় লাস বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মালদার বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সকাল ৯ টা নাগাদ দাফনকার্য সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে পরিবার। পুবের কলমকে মঙ্গলবার মৃত ছাত্র আবদুর রহমানের বড় ভাই ইসমাইল হক বলেন, এই ঘটনা কীভাবে হল বুঝতে পারছি না। আমার ভাই ভালো ছেলে ছিল।

মঙ্গলবার হস্টেলের ১৯ তলায় বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ এবং বর্তমানে সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রের বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরের কালীনগর গ্রামে। টেকনোসিটি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

 

প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই ছাত্র।আলিয়া বিশ্ববিদ্যালের হস্টেলের পড়ুয়াদের একাংশ জানান, পারিবারিক কিছু সমস্যা চলছিল আবদুর রহমানের। এ ছাড়াও বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল তাঁর। সে কারণেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন আবদুর রহমান।

অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের হস্টেলেও সোমবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। তবে সহপাঠীদের তৎপরতায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ায়। পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত কিছু কারণে তিনি বেশ কয়েক দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। দিন কয়েক আগে বন্ধুরা কয়েকজন মিলে তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতেও নিয়ে গিয়েছিলেন।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হস্টেলে আত্মঘাতী আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, সম্পর্কের টানাপোড়েন, না অন্য কিছু, উঠছে প্রশ্ন

আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে নিউ টাউন ক্যাম্পাসে। সম্পর্কের টানাপোড়েন, না অন্য কিছু, উঠছে প্রশ্ন। সোমবার সন্ধেয় আলিয়ার নিউটাউন ক্যাস্পাসের হস্টেলে ঘটনাটি ঘটেছে।

আর জি কর হাসপাতালে আবদুর রহমান নামে ওই ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষনা করে। ময়না তদন্তের পর মঙ্গলবার সন্ধায় লাস বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মালদার বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সকাল ৯ টা নাগাদ দাফনকার্য সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে পরিবার। পুবের কলমকে মঙ্গলবার মৃত ছাত্র আবদুর রহমানের বড় ভাই ইসমাইল হক বলেন, এই ঘটনা কীভাবে হল বুঝতে পারছি না। আমার ভাই ভালো ছেলে ছিল।

মঙ্গলবার হস্টেলের ১৯ তলায় বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ এবং বর্তমানে সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রের বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরের কালীনগর গ্রামে। টেকনোসিটি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

 

প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই ছাত্র।আলিয়া বিশ্ববিদ্যালের হস্টেলের পড়ুয়াদের একাংশ জানান, পারিবারিক কিছু সমস্যা চলছিল আবদুর রহমানের। এ ছাড়াও বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল তাঁর। সে কারণেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন আবদুর রহমান।

অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের হস্টেলেও সোমবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। তবে সহপাঠীদের তৎপরতায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ায়। পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত কিছু কারণে তিনি বেশ কয়েক দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। দিন কয়েক আগে বন্ধুরা কয়েকজন মিলে তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতেও নিয়ে গিয়েছিলেন।