৩১ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবিধানকে ঘৃণা করত যারা, আজ তারাই সংবিধানের পাঠ শেখাচ্ছে: খাড়গে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার
  • / 44

নয়াদিল্লি, ১৬ ডিসেম্বর: রাজ্যসভায় সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রাজ্যসভায় আলোচনা চলছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের বাক্যুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। এদিন রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, কংগ্রেস নির্লজ্জভাবে পরিবার ও রাজবংশকে সাহায্য করার জন্য সংবিধান সংশোধন করে চলেছে।

 

এরপরই বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে নির্মলা সীতারামনকে তীব্র শ্লেষে বিধে বলেন, ‘যারা তেরঙ্গা, অশোক চক্র এবং সংবিধানকে ঘৃণা করতেন, তারাই আজ শিক্ষা দিচ্ছেন। সংবিধান যখন তৈরি হয়েছিল, এরাই তা পুড়িয়ে দিয়েছে। যেদিন সংবিধান গৃহীত হয়েছিল, সেদিন দিল্লির রামলীলা ময়দানে বাবাসাহেব আম্বেদকর, জওহরলাল নেহেরু, মহাত্মা গান্ধির কুশপুত্তলিকা পোড়ায়। আরএসএস নেতারা সংবিধানের বিরোধিতা করেন কারণ এটি মনুস্মৃতির উপর ভিত্তি করে নয়।

খড়গে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) স্নাতক। আমি একটি মিউনিসিপ্যাল স্কুলে পড়াশোনা করেছি, তবে আমি সংবিধানও একটু পড়েছি। নির্মলাজির ইংরেজি এবং হিন্দি ভালো হতে পারে, কিন্তু তার কাজ ভালো নয়। সংবিধান অনুযায়ী দেশ চালাতে হবে। বিজেপির পাপ গুরুতর, সেই দাগ সহজে মুছবে না। দেশের জন্য যারা লড়াই করেননি তাদের স্বাধীনতা নিয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়। যাঁরা দেশের জন্য যুদ্ধ করেননি তারা স্বাধীনতার গুরুত্ব বুঝবে কী করে।

এদিন তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বি¥ধে খাড়গে বলেন, নরেন্দ্র মোদি বর্তমান নয়, অতীতে থাকতে ভালোবাসেন। তিনি যদি গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তাঁদের অবদানের কথা তুলে ধরতেন তাহলে ভালো হতো। বিজেপি দেশের মানুষকে বোকা বানানোর জন্য ‘জুমলা’-তেই বিশ্বাসী। নিজেদের দোষ-ত্রুটি না খুঁজে বিরোধীদের দোষারোপ করছে।

আজ ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা দিবস। ইন্দিরা গান্ধির মতো সাহসী নেত্রী সেসময় বাংলাদেশকে স্বাধীন  করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু এখন যা ঘটছে, তাতে হয়তো এটাও সম্ভব যে বিজেপি নেতারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সাহায্য করতে সেখানকার সংখ্যালঘুদের দ্বারাই অনুপ্রাণিত হতে পারে। সরকারের কিছু করা উচিত।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সংবিধানকে ঘৃণা করত যারা, আজ তারাই সংবিধানের পাঠ শেখাচ্ছে: খাড়গে

আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার

নয়াদিল্লি, ১৬ ডিসেম্বর: রাজ্যসভায় সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রাজ্যসভায় আলোচনা চলছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের বাক্যুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। এদিন রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, কংগ্রেস নির্লজ্জভাবে পরিবার ও রাজবংশকে সাহায্য করার জন্য সংবিধান সংশোধন করে চলেছে।

 

এরপরই বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে নির্মলা সীতারামনকে তীব্র শ্লেষে বিধে বলেন, ‘যারা তেরঙ্গা, অশোক চক্র এবং সংবিধানকে ঘৃণা করতেন, তারাই আজ শিক্ষা দিচ্ছেন। সংবিধান যখন তৈরি হয়েছিল, এরাই তা পুড়িয়ে দিয়েছে। যেদিন সংবিধান গৃহীত হয়েছিল, সেদিন দিল্লির রামলীলা ময়দানে বাবাসাহেব আম্বেদকর, জওহরলাল নেহেরু, মহাত্মা গান্ধির কুশপুত্তলিকা পোড়ায়। আরএসএস নেতারা সংবিধানের বিরোধিতা করেন কারণ এটি মনুস্মৃতির উপর ভিত্তি করে নয়।

খড়গে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) স্নাতক। আমি একটি মিউনিসিপ্যাল স্কুলে পড়াশোনা করেছি, তবে আমি সংবিধানও একটু পড়েছি। নির্মলাজির ইংরেজি এবং হিন্দি ভালো হতে পারে, কিন্তু তার কাজ ভালো নয়। সংবিধান অনুযায়ী দেশ চালাতে হবে। বিজেপির পাপ গুরুতর, সেই দাগ সহজে মুছবে না। দেশের জন্য যারা লড়াই করেননি তাদের স্বাধীনতা নিয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়। যাঁরা দেশের জন্য যুদ্ধ করেননি তারা স্বাধীনতার গুরুত্ব বুঝবে কী করে।

এদিন তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বি¥ধে খাড়গে বলেন, নরেন্দ্র মোদি বর্তমান নয়, অতীতে থাকতে ভালোবাসেন। তিনি যদি গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে তাঁদের অবদানের কথা তুলে ধরতেন তাহলে ভালো হতো। বিজেপি দেশের মানুষকে বোকা বানানোর জন্য ‘জুমলা’-তেই বিশ্বাসী। নিজেদের দোষ-ত্রুটি না খুঁজে বিরোধীদের দোষারোপ করছে।

আজ ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা দিবস। ইন্দিরা গান্ধির মতো সাহসী নেত্রী সেসময় বাংলাদেশকে স্বাধীন  করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু এখন যা ঘটছে, তাতে হয়তো এটাও সম্ভব যে বিজেপি নেতারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সাহায্য করতে সেখানকার সংখ্যালঘুদের দ্বারাই অনুপ্রাণিত হতে পারে। সরকারের কিছু করা উচিত।