০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিবিআইয়ের কাছে কেস ডায়েরি চাইল হাইকোর্ট, ধর্ষণ না গণধর্ষণ তা নিয়েও প্রশ্ন বিচারপতির

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, সোমবার
  • / 288

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টে শুরু হল আর জি কর ধর্ষণ-খুনের মামলা। সোমবার ছিল শুনানির প্রথমদিন। এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ একাধিক জরুরি প্রশ্ন তোলেন। ধর্ষণ না গণধর্ষণের মামলা, তা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন বিচারপতি। গণধর্ষণ হয়ে থাকলে বাকি সন্দেহভাজন কারা সেই বিষয়েও প্রশ্ন করেন তিনি। আগামী তিনদিনের মধ্যে সিবিআইয়ের কাছে কেস ডায়েরিও তলব করেছেন বিচারপতি। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। মামলাটির পরবর্তী শুনানি ২৮ মার্চ।

সিবিআইয়ের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবা। সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা চলায় হাইকোর্ট সেই আবেদন ফিরিয়ে দেয়। তারপর সুপ্রিম নির্দেশে সোমবার থেকে হাইকোর্টে শুরু হল আরজি কর মামলার শুনানি।

আরও পড়ুন: গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের ভাতা নয়, রাজ্যের নির্দেশ খারিজ হাইকোর্টের

আরও পড়ুন: মুসলিম সংরক্ষণ বিল নিয়ে উত্তপ্ত সংসদ, কার্যবিবরণী ছাড়াই মুলতবি রাজ্যসভা

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসসি, এসটি ও ওবিসি কোটায় স্থগিতাদেশ বোম্বে হাইকোর্টের

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “এটা কি গণধর্ষণের ঘটনা? এই মামলায় একজনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে? সেক্ষেত্রে কোন কোন ধারায় চার্জ গঠন হয়েছিল? সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই কি একমাত্র অভিযুক্ত? নাকি আরও কেউ আছ?। যদি গণধর্ষণের ঘটনা হয়, তাহলে সেই সন্দেহভাজন কারা? মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন: মহেশতলা কাণ্ডে NIA তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু

পরবর্তী তদন্ত আদালতের নজরদারিতে করার আবেদন জানিয়েছেন আরজি করের নির্যাতিতার আইনজীবী। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিকদের দিয়ে সিট গঠন করার আবেদন জানানো হয়। নিরাপত্তারক্ষী, নার্স এবং হাসপাতালের সহকারী সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তাই স্টেটাস রিপোর্ট দেওয়ার দাবি জানা পরিবার।

বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর পরবর্তী পর্যায়ের তদন্ত করা যায় কিনা, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলে রাজ্য। বিশেষ আদালতে না গিয়ে কেন হাইকোর্টে পরিবার আবেদন জানাচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। পরবর্তী তদন্তের নির্দেশ আদালত দিলে এবং আইন যদি অনুমতি দেয় তাহলে কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে রাজ্য।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সিবিআইয়ের কাছে কেস ডায়েরি চাইল হাইকোর্ট, ধর্ষণ না গণধর্ষণ তা নিয়েও প্রশ্ন বিচারপতির

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টে শুরু হল আর জি কর ধর্ষণ-খুনের মামলা। সোমবার ছিল শুনানির প্রথমদিন। এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ একাধিক জরুরি প্রশ্ন তোলেন। ধর্ষণ না গণধর্ষণের মামলা, তা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন বিচারপতি। গণধর্ষণ হয়ে থাকলে বাকি সন্দেহভাজন কারা সেই বিষয়েও প্রশ্ন করেন তিনি। আগামী তিনদিনের মধ্যে সিবিআইয়ের কাছে কেস ডায়েরিও তলব করেছেন বিচারপতি। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। মামলাটির পরবর্তী শুনানি ২৮ মার্চ।

সিবিআইয়ের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবা। সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলা চলায় হাইকোর্ট সেই আবেদন ফিরিয়ে দেয়। তারপর সুপ্রিম নির্দেশে সোমবার থেকে হাইকোর্টে শুরু হল আরজি কর মামলার শুনানি।

আরও পড়ুন: গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের ভাতা নয়, রাজ্যের নির্দেশ খারিজ হাইকোর্টের

আরও পড়ুন: মুসলিম সংরক্ষণ বিল নিয়ে উত্তপ্ত সংসদ, কার্যবিবরণী ছাড়াই মুলতবি রাজ্যসভা

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসসি, এসটি ও ওবিসি কোটায় স্থগিতাদেশ বোম্বে হাইকোর্টের

বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিবিআইকে প্রশ্ন করেন, “এটা কি গণধর্ষণের ঘটনা? এই মামলায় একজনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে? সেক্ষেত্রে কোন কোন ধারায় চার্জ গঠন হয়েছিল? সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই কি একমাত্র অভিযুক্ত? নাকি আরও কেউ আছ?। যদি গণধর্ষণের ঘটনা হয়, তাহলে সেই সন্দেহভাজন কারা? মামলায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন: মহেশতলা কাণ্ডে NIA তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু

পরবর্তী তদন্ত আদালতের নজরদারিতে করার আবেদন জানিয়েছেন আরজি করের নির্যাতিতার আইনজীবী। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিকদের দিয়ে সিট গঠন করার আবেদন জানানো হয়। নিরাপত্তারক্ষী, নার্স এবং হাসপাতালের সহকারী সুপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তাই স্টেটাস রিপোর্ট দেওয়ার দাবি জানা পরিবার।

বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর পরবর্তী পর্যায়ের তদন্ত করা যায় কিনা, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলে রাজ্য। বিশেষ আদালতে না গিয়ে কেন হাইকোর্টে পরিবার আবেদন জানাচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। পরবর্তী তদন্তের নির্দেশ আদালত দিলে এবং আইন যদি অনুমতি দেয় তাহলে কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে রাজ্য।