০৫ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিন মাসের জামিন আশারামের

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৫, সোমবার
  • / 255

উদ্বেগে তরুণীর পরিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক ফের অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে জেলের বাইরে এলেন ধর্ষণে দোষীসাব্যস্ত ধর্মগুরু আশারাম বাপু। আর যেভাবে বারবার জেলের বাইরে বেরিয়ে আসছেন এবং সমস্ত কাজকর্ম করছেন তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার বাবার আশংকা, যে কোনও দিন তাঁদেরকে সপরিবারে শেষ করে দিতে পারে আশারাম। যে কোনও দিন তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে পারে এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারম বাপু। তিনি আরও জানান, যেভাবে আশারাম বারবার অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে যাচ্ছেন, তাতে তাঁরা ভয়ে সি¥টিয়ে রয়েছেন।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে উদ্ধারকার্যে অপারেশন ‘ব্রহ্মা’

আরও পড়ুন: এক কাফ কফি ৭০০ টাকা! মাল্টিপ্লেক্সগুলির দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট

২০১৩ সালে উত্তরপ্রদেশের জোধপুরে নিজের আশ্রমে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আশারামের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে আশারামকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার আশারাম অন্তর্র্বর্তী জামিন পেয়েছেন। গত ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট ৮৬ বছরের বৃদ্ধের অন্তর্র্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছিল। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আগামী ৩১ মার্চ। তার আগেই আশারামের আইনজীবী গুজরাত হাইকোর্টে ফের আবেদন করলে হাইকোর্ট তাঁর অন্তর্র্বর্তী জামিনের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে আইনের কড়াকড়ি ছাড়িয়ে সুবিচার, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

আরও পড়ুন: অনলাইনে বাতিল করা যাবে কাউন্টারে কাটা সংরক্ষিত টিকিট, স্বস্তির খবর যাত্রীদের

আরও পড়ুন: ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের সময়সীমা বেঁধে দিতে চায় সুপ্রিম কোর্ট

আশারামকে আদালতের জামিন দেওয়া প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘আশারামকে যখন জেলে পাঠানো হল, আমরা জিতেছিলাম। কিন্তু এখন তো উনি সবাইকে হাত করে নিয়েছেন। আদালত বারবার ওঁর অন্তর্র্বর্তী জামিন মঞ্জুর করছে। এতে আমি স্তম্ভিত। প্রথমে সাত দিন, তার পর ১২ দিন, তার পর আড়াই মাস আর এখন তিন মাস! উনি তো জোধপুর থেকে ইনদওর, উজ্জয়িনী থেকে সুরাত; ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করছেন। এটা কী ধরনের অসুস্থতা? আমাদের পরিবারের বিপদ এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে। যখন তখন উনি আমাদের সঙ্গে যা খুশি করে ফেলতে পারেন। ঈশ্বরই আমাদের ভরসা।’’ নির্যাতিতা তরুণীর বাবা আরও বলেন, ‘আশারাম জেলের বাইরে বেরোনোর পর থেকেই তাঁর সমর্থকেরা বলছেন, তিনি আর ভিতরে ঢুকবেন না। সেই কথাই সত্যি হচ্ছে।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তিন মাসের জামিন আশারামের

আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৫, সোমবার

উদ্বেগে তরুণীর পরিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক ফের অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে জেলের বাইরে এলেন ধর্ষণে দোষীসাব্যস্ত ধর্মগুরু আশারাম বাপু। আর যেভাবে বারবার জেলের বাইরে বেরিয়ে আসছেন এবং সমস্ত কাজকর্ম করছেন তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। নির্যাতিতার বাবার আশংকা, যে কোনও দিন তাঁদেরকে সপরিবারে শেষ করে দিতে পারে আশারাম। যে কোনও দিন তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে পারে এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারম বাপু। তিনি আরও জানান, যেভাবে আশারাম বারবার অন্তর্বর্তী জামিন পেয়ে যাচ্ছেন, তাতে তাঁরা ভয়ে সি¥টিয়ে রয়েছেন।

আরও পড়ুন: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে উদ্ধারকার্যে অপারেশন ‘ব্রহ্মা’

আরও পড়ুন: এক কাফ কফি ৭০০ টাকা! মাল্টিপ্লেক্সগুলির দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট

২০১৩ সালে উত্তরপ্রদেশের জোধপুরে নিজের আশ্রমে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আশারামের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালে আশারামকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার আশারাম অন্তর্র্বর্তী জামিন পেয়েছেন। গত ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট ৮৬ বছরের বৃদ্ধের অন্তর্র্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছিল। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আগামী ৩১ মার্চ। তার আগেই আশারামের আইনজীবী গুজরাত হাইকোর্টে ফের আবেদন করলে হাইকোর্ট তাঁর অন্তর্র্বর্তী জামিনের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে আইনের কড়াকড়ি ছাড়িয়ে সুবিচার, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

আরও পড়ুন: অনলাইনে বাতিল করা যাবে কাউন্টারে কাটা সংরক্ষিত টিকিট, স্বস্তির খবর যাত্রীদের

আরও পড়ুন: ফৌজদারি মামলায় চার্জ গঠনের সময়সীমা বেঁধে দিতে চায় সুপ্রিম কোর্ট

আশারামকে আদালতের জামিন দেওয়া প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘আশারামকে যখন জেলে পাঠানো হল, আমরা জিতেছিলাম। কিন্তু এখন তো উনি সবাইকে হাত করে নিয়েছেন। আদালত বারবার ওঁর অন্তর্র্বর্তী জামিন মঞ্জুর করছে। এতে আমি স্তম্ভিত। প্রথমে সাত দিন, তার পর ১২ দিন, তার পর আড়াই মাস আর এখন তিন মাস! উনি তো জোধপুর থেকে ইনদওর, উজ্জয়িনী থেকে সুরাত; ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করছেন। এটা কী ধরনের অসুস্থতা? আমাদের পরিবারের বিপদ এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে। যখন তখন উনি আমাদের সঙ্গে যা খুশি করে ফেলতে পারেন। ঈশ্বরই আমাদের ভরসা।’’ নির্যাতিতা তরুণীর বাবা আরও বলেন, ‘আশারাম জেলের বাইরে বেরোনোর পর থেকেই তাঁর সমর্থকেরা বলছেন, তিনি আর ভিতরে ঢুকবেন না। সেই কথাই সত্যি হচ্ছে।’