পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ঘরের মাঠ বার্নাব্যুতেই প্রতিপক্ষ সেলটা ভিগোর বিপক্ষে হারতে হারতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিল বার্সেলোনা। এই ম্যাচে একপর্যায়ে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে হারের আশঙ্কায় কাঁপছিল কাতালান ক্লাবটি। তবে ৬ মিনিটের ব্যবধানে পরপর ২টি গোল করে ম্যাচ দারুণভাবে কামব্যাক করেন হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। এরপর শেষদিকে পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সার জয় নিশ্চিত করে দেন রাফিনহা। এতে পিছিয়ে থাকা ম্যাচটি বার্সেলোনা জেতে ৪-৩ গোলে। দুর্দান্ত এই জয়ের পর ৩২ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট ৭৩। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়ালের পয়েন্ট ৬৬।

লামিনে ইয়ামালকে ছাড়া খেলতে নামলেও, বেশ আগ্রাসী ফুটবল খেলেছে বার্সা। তবে বিপরীতে থাকা সেলটা ভিগোও তাদের ছেড়ে কথা বলেনি। বার্সার আক্রমণের পাল্টা আক্রমণ দারুণভাবে দিয়েছে তারা। যদিও ম্যাচের প্রথম গোলটা পেয়েছে বার্সাই। ১২তম মিনিটে ইনিয়েগো মার্টিনেজের কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ শটে গোল করেন ফেরান তোরেস। যদিও তাদের এই লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র ৩ মিনিটের ব্যবধানে সেলটার হয়ে গোল করে যান ইগলেসিয়াস। বিরতির পর ইয়োয়েল লাগোর লং বল ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং মিস করলে তা পেয়ে যান ইগলেসিয়াস। দারুণভাবে সেই বল নিয়ে বক্সে ঢুকে আবারও একটি গোল করে সেলটাকে এগিয়ে দেন এই তরুণ ßT্রাইকারটি।

ম্যাচের ৬২ মিনিটে গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ইগলেসিয়াস। এতে সেলটা ভিগোর জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে ওঠেন গ্যালারিতে উপস্থিত থাকা তাদের সমর্থকরা। তবে ম্যাচের ৬৪ মিনিটে দানি অলমো এক গোল শোধ করে বার্সাকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দেন। এর মধ্যে ৫৯ মিনিটে ইয়ামাল মাঠে নামায় বার্সার খেলাতেও গতি বাড়ে। ৬৮ মিনিটে সেই ইয়ামালের অ্যাসিস্টে গোল করেন রাফিনিয়া। এরপর যোগ করা সময়ে দানি অলমো বক্সের ভিতরে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় বার্সা। আর সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে বার্সাকে জয় এনে দেন সেই রাফিনহাই।