০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানকে ফের ঋণ মঞ্জুর আইএমএফের, জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১০ মে ২০২৫, শনিবার
  • / 141

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানকে ফের ঋণ মঞ্জুর করল আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিল আইএমএফ। ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও এই ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। অতীতেও বিপুল ঋণ দেওয়া হয়েছে। ঋণে জর্জরিত পাকিস্তানকে ফের ঋণ মঞ্জুর। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে আইএমএফের ভূমিকা নিয়ে। ৩৫ বছরে ২৮ বার এই টাকা পেল পাকিস্তান।

অর্থনৈতিক ভাবে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান গত কয়েক বছর ধরে আইএমএফের ঋণের উপর টিকে রয়েছে। ভারত এর তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে। অতীতেও একাধিকবার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। তবে সেই অর্থ তারা সঠিক কাজে ব্যবহার করেনি বলে অভিযোগ করেছে ভারত। সরাসরি সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগানের আশঙ্কা প্রকাশ করে ভারত। ঋণের এই অর্থ পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে অপব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে দেওয়া উচত নয় বলে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এ বার এনআইএ-র জালে সিআরপিএফ জওয়ান!

ঋণ গ্রহণের পর যে সকল শর্ত মেনে চলা উচিত অতীতেও সে নিয়ম পাকিস্তান লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ । ফলে এবারও এই অর্থ অপব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত আপত্তি জানালেও ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটের ফলাফল ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। পাশাপাশি এই ভোটাভুটিতে যেহেতু বিপক্ষে ভোট দেওয়া যায় না, তাই ভোট থেকে বিরত থাকে ভারত।

আরও পড়ুন: ৬০০ দিনেরও বেশি জেলবন্দি ইমরান খান, ‘ন্যায়বিচারের অপেক্ষা’

ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পর পাক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘আইএমএফের তরফে পাকিস্তানকে এক মিনিয়ন ডলার ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। ভারত এই ঋণে আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত ভারতের দাবি ব্যর্থ হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করেছে এবং দেশটি উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে।’

আরও পড়ুন: পাক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ সারাই করে দিল সেনাবাহিনী

পাকিস্তানকে এই ঋণ দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারতের জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদকে মদত যোগান দেশকে ফের আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার ঘটনা বিশ্বের কাছে অত্যন্ত বিপজ্জনক বার্তা পাঠায়। এই ঘটনা আইএমএফের মতো সংস্থার সুনামকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মূল্যবোধের উপহাস করে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাকিস্তানকে ফের ঋণ মঞ্জুর আইএমএফের, জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ১০ মে ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানকে ফের ঋণ মঞ্জুর করল আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিল আইএমএফ। ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও এই ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। অতীতেও বিপুল ঋণ দেওয়া হয়েছে। ঋণে জর্জরিত পাকিস্তানকে ফের ঋণ মঞ্জুর। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে আইএমএফের ভূমিকা নিয়ে। ৩৫ বছরে ২৮ বার এই টাকা পেল পাকিস্তান।

অর্থনৈতিক ভাবে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তান গত কয়েক বছর ধরে আইএমএফের ঋণের উপর টিকে রয়েছে। ভারত এর তীব্র বিরোধিতা জানিয়েছে। অতীতেও একাধিকবার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। তবে সেই অর্থ তারা সঠিক কাজে ব্যবহার করেনি বলে অভিযোগ করেছে ভারত। সরাসরি সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগানের আশঙ্কা প্রকাশ করে ভারত। ঋণের এই অর্থ পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে অপব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে দেওয়া উচত নয় বলে জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এ বার এনআইএ-র জালে সিআরপিএফ জওয়ান!

ঋণ গ্রহণের পর যে সকল শর্ত মেনে চলা উচিত অতীতেও সে নিয়ম পাকিস্তান লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ । ফলে এবারও এই অর্থ অপব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত আপত্তি জানালেও ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটের ফলাফল ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। পাশাপাশি এই ভোটাভুটিতে যেহেতু বিপক্ষে ভোট দেওয়া যায় না, তাই ভোট থেকে বিরত থাকে ভারত।

আরও পড়ুন: ৬০০ দিনেরও বেশি জেলবন্দি ইমরান খান, ‘ন্যায়বিচারের অপেক্ষা’

ঋণ মঞ্জুর হওয়ার পর পাক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ‘আইএমএফের তরফে পাকিস্তানকে এক মিনিয়ন ডলার ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। ভারত এই ঋণে আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত ভারতের দাবি ব্যর্থ হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করেছে এবং দেশটি উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে।’

আরও পড়ুন: পাক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ সারাই করে দিল সেনাবাহিনী

পাকিস্তানকে এই ঋণ দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারতের জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদকে মদত যোগান দেশকে ফের আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করার ঘটনা বিশ্বের কাছে অত্যন্ত বিপজ্জনক বার্তা পাঠায়। এই ঘটনা আইএমএফের মতো সংস্থার সুনামকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মূল্যবোধের উপহাস করে।