সরোবরের জলে ভারী ধাতুর আস্তরণ, পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেএমডিএ

- আপডেট : ১৪ মে ২০২৫, বুধবার
- / 97
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বহু দশক ধরে সঠিকভাবে পলি তোলার কাজ হয়নি আর তার ফলেই রবীন্দ্র সরোবরে জমেছে ভারী ধাতুর আস্তরণ। যার জেরে এখন বিপাকে জলজ জীবন। এই ভারী ধাতুর আস্তরণ অবিলম্বে তুলে ফেলা না হলে রবীন্দ্র সরোবরের জলে থাকা মাছ-সহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে জলে উপস্থিত দস্তা, ম্যাগনেসিয়ামের মতো ধাতু। রবীন্দ্র সরোবরের জলজ প্রাণীদের জন্য এই সব ধাতু মারাত্মক ক্ষতিকর। এই বিষয়টি সামনে আসার পরই পরই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরবরের দেখভালের দায়িত্বে থাকা কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা কেএমডিএ।
জানা গেছে, সরোবরের জল থেকে পলি তোলার কাজ শুরু করছে কেএমডিএ। এ বিষয়ে কেএমডিএ’র এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, জলের মান আপাতত সন্তোষজনক। রবীন্দ্র সরোবরের তলায় যে পলি জমেছে, তার মধ্যে বিষাক্ত ধাতু আছে। দ্রুত সেই রিপোর্ট পরিবেশবিদ কল্যাণ রুদ্রর নেতৃত্বে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পাঠানো হবে। বহুদিন পলি তোলা হয়নি বলেই জমেছে ভারী ধাতব আস্তরণ।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস রবীন্দ্র সরোবরকে দূষণ মুক্ত রাখতে ছট পুজোয় বা অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সরোবর বন্ধ রাখা হয়। সরোবরের জল যেন কোনভাবেই দূষিত হয়ে না, পড়ে তার জন্যেও চলে নজরদারি। প্রসঙ্গত, রবীন্দ্র সরোবরে সকাল এবং সন্ধ্যায় ভিড় করেন বহু মানুষ। গরমকালে লেকের ধারে যান অনেক প্রবীণ নাগরিক। কিছুদিন আগে রবীন্দ্র সরোবরের জলে মাছ মরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এবার ভারী ধাতুর আস্তরণ জমার বিষয় উঠতে পরিবেশপ্রেমীরা মনে করছেন, রবীন্দ্র সরোবরে দূষণের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।